ক্রিকেটখোর কমিউনিটি প্রোগ্রাম

ক্রিকেটখোরের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল মূলত লাল সবুজের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা দলটার একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে কিছু সম মানসিকতার তরুণ এক ছাদের নিচে এসেছিল এবং দেশের আপামর ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াস করেছিল।

৭ বছর পেরিয়ে এসে পেছন ফিরে দেখলে অনুভব করা যায়, মানসিক শক্তি কতটা দৃঢ় হলে গুটি কয়েক তরুণের প্রচেষ্টা হাজার পেরিয়ে লক্ষ তরুণের হৃদয় ছুঁয়ে দিতে পারে! অনেকটা বন্ধুর পথ পেরিয়ে ক্রিকেটখোর তাই নিজেই একটা ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে। নিজস্ব স্বকীয়তা ধরে রেখে নিজেকে আলোকিত করার পাশাপাশি আলোকিত করেছে চারপাশ।

সেক্ষেত্রে রাতের অন্ধকারেও ফ্লাড লাইটের দরকার হয়নি ক্রিকেটখোরের। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, শহর ছাড়িয়ে মফস্বল থেকে উঠে আসা প্রতিটা ডেডিকেট ছেলেই ক্রিকেটখোরের একটা হাজার ওয়াটের ফ্লাড লাইট। গ্রুপকে, দলকে সর্বোপরি দেশকে ভালোবেসে তারা প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দিচ্ছে আলোর বার্তা।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রণ-কৌশলের অংশ হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক তেমনি ক্রিকেটখোরকে দ্রুত সারা দেশে বিস্তার করার জন্য গঠন হয়েছিল অঞ্চল ভিত্তিক কমিউনিটি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে যার সংখ্যা এখন পঁচিশ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া, কাতার এবং সৌদি-আরবেও গড়ে উঠেছে ক্রিকেটখোর কমিউনিটি। শুধুমাত্র টেলিভিশনের পর্দায় দেশকে সমর্থনের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জোরালো করতে কমিউনিটিগুলো একে অপরের সাথে ম্যাচ খেলে থাকেন। এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে সিপিএল (ক্রিকেটখোর প্রিমিয়ার লীগ) আয়োজনের মাধ্যমে নতুন-পুরনো মানুষদের জন্য মিলনমেলার আয়োজন হয়।

এছাড়াও কয়েকটি কমিউনিটি একত্র হয়ে সিসিএল (ক্রিকেটখোর চ্যম্পিয়নস লীগ) আয়োজন করে। মাঠের খেলার বাইরে দেশের সুনাগরিক হিসেবে কিছু নৈতিক দায়িত্ব পালন করে প্রতিটা কমিউনিটিগুলো। প্রতিটা কমিউনিটি নিজস্ব জায়গা থেকে সর্বোস্তরের উপকার হয় এমন কিছু সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ- রক্তদান, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, স্কুল-কলেজে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পথশিশুদের সাহায্য!