আজ অনেকদিন পর দাদার সাথে দেখা-
দাদা- ” কীরে বাঙাল ছোঁড়া? কি করজিস?”
আমি- ” তুমি এগানে? তুমি না খানসামা লেনে থাকদে?”
দাদা- ” ছে অনেক কাহিনীরে ছোঁড়া। আগে বল দেগিনি তোর মন এদো খারাপ কেন? আর্হেন্তিনা হেরেজে বলে?”
আমি- ” আরে ধুর। আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি নাকি?”
দাদা- ” তাহলে কিজন্যরে?”
আমি- ” সাকিবের জন্য গো দাদা। সাকিবের জন্য”
দাদা- ” ও, ওই বাঙাল ছোঁড়ার জন্য? ভালোই তো করেজে বিছিঃবি। খুব ভালো ছিদ্ধান্ত নিয়েজে রে। ওই বাঙাল ছোঁড়ার কারণে আমি রাত্তিতবেলা ফিল্ম দেগতে পারতুম না। তোর বৌদি আর আমার মেয়েটা সারাক্ষণ টিভির দিগে তাগিয়ে থাকদো। আমার যে কি আনন্দ লাগজেরে ছোঁড়া কি বলব তোকে?
ও ছালা আইপিএলেও জ্বালিয়েজে, ভারত সিরিজেও জ্বালিয়েজে। ছালা কেন যে এদো ভাল খেলে “
আমি- ” তুমি কি পাগল হলে?”
দাদা- ” হ্যাঁ রে। সেজন্যেই তো এদেছে আজি। মাত্রই হেমায়েতপুর থেগে ছাড়া পেলুম রে”
আমি- ” মানে কি গো দাদা? কি বলজোটা কি?”
দাদা- ” আরে আর বলিছ না। পাপন ছাহেবের ছিদ্ধান্তে লাফ দিয়ে উঠতে গিয়ে ধূতি তো খুলেজিলামই উল্টো নাংগা হয়ে নাচদে গিয়ে তোর বৌদির কয়েগটা দামী শোপিছ ভেঙে ফেলেজিলুম। আর তোর বৌদি তো রেগে আগুন। ডিরেক্ট কল করলো বাংলাদেছের পাবনায়.… বুঝদেই পারজিস”
আমি- ” তা গলগাদায় কি পাগলাগারদ নেই গো দাদা?”
দাদা- ” তা আজে বটে কিন্দু তোর বৌদি বললো আমার মত বিছেছ পাগলদের জন্য নাগি পাবনায় স্পেশাল থেরাপী আজে”
আমি- ” হা হা হা। বৌদি তো জিনিয়াস দেগজি। তা কি কি থেরাপী দিল গো?”
দাদা- ” জিজ্ঞেছ করজিস কেন? দেগতে পারজিস না আমি বছতে পারজি না। থেরাপীটা এমন জায়গায় দিয়েজে যে তোর বৌদীকে পজ্জন্ত দেগাতে পারজিনে। ও ছালা পাগলাগারদের লোগটা ছাক্ষাৎ সাকিব ভক্ত। ওকে কত করে বললুম ছিদ্ধান্তটা ছটিক… কিন্দু যত বলি তত থেরাপীতে উপাদান বাড়ে। প্রথমে আনলো ডিম, পরে আরো কি কি জানি আনলো.…”
আমি- ” হয়েজে হয়েজে। আর বলদে হবেনা। রোজা রমজানের মাস। মুগে লাগাম তো দিবে দাদা। যাও দেছে যাও”
দাদা- ” এই। ইফদারি খাওয়াবি না আমাগে?”
আমি- ” তুমি যে খাবে বলজো। তা খাবার পরিপাক হবার পর যগন তোমার দেহ থেগে বেরোতে চাইবে তখন কি তুমি পারবে? তুমি না বসতে পারজো না বললে?”
দাদা- ” কি বলজিস কি? তাহলে আমি এগন খাব কি?”
আমি- ” কেন? বাংলা মদ। তোমার অন্তরাত্মা জুড়িয়ে যাবে গো। যাও, খাও গিয়ে। তবে ভুলেও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যেওনা… খেক খেক”
দাদা- ” যাহ দুষ্টু”