৩০০-এর গল্প

Marajul Islam
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

শর্ট লেন্থে পিচ করা হাফভলিটাকে মিড অনের বাঁ দিক দিয়ে পুল করে ওয়ার্নার সীমানা ছাড়া করলেন। তারপর তার ট্রেডমার্ক সেলিব্রেশন। হয়ত আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশীই ছিল। তাই একবারে কি আর মন ভরে! তাই আবারো ব্যাট, হ্যালমেটকে ঢাল-তলোয়ারের মত করে নিজেকে শূন্যে উড়িয়ে নিলেন। এডিলেড ওভালে থাকা সব দর্শক তাকে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানাল। যেন তারা সবাই ক্রিকেট ইতিহাসের এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। ৩০ নভেম্বর ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার করেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১ম ট্রিপল সেঞ্চুরি। তার আগে ক্রিকেট ইতিহাসের ১৪৩ বছর আর প্রায় ২৪০০ টেস্টে হয়েছে মাত্র ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি। তাইতো ওয়ার্নারের তেমন বাঁধ ভাঙ্গা উদযাপন সারাদিন দেখলেও মোটেই বিরক্তিকর হবে না। বরং যত দেখব ততই যেন প্রশান্তি পাব।

৪ এপ্রিল ১৯৩০। জামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্ক। চলছে ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার পঞ্চম এবং শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। সেই দিনই এন্ড্রু স্যান্ডহাম নামক এক ইংলিশ ভদ্রলোক করলেন টেস্ট ইতিহাসের প্রথম কোন ট্রিপল সেঞ্চুরি। সাথে করলেন টেস্ট ইতিহাসের সেই সময়ের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের রেকর্ড। সেই শুরু তারপর স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান হয়ে শেষ ট্রিপল করলেন ডেভিড ওয়ার্নার।।

৩০০ বা তার উপরে রান। নিশ্চয়ই চাট্টিখানি কথা নয়। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক সাটক্লিফ সেই ১৯২৫ সালে মাত্র ১২ ইনিংসে করেন ১০০০ রান। আর সেই ১০০০ রানের ৩০ শতাংশ রান এক ইনিংসে! কত ধরনের রোমাঞ্চ, কত ধরনের শট বা কত বোলারকে খেলে সে রান। এক একটা ইতিহাস। সেই ঐতিহাসিক ইনিংসের চুম্বক কিছু নিয়ে আজকে কিছু সময় কিবোর্ড নাড়াচাড়া করলাম,

  • মোট ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মধ্যে ২৯ টি হয়েছে টেস্টের ১ম ইনিংসে। আর হানিফ মোহম্মদের(৩৩৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ,১৯৫৮) আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৩০২ বনাম ভারত,২০১৪) শুধুমাত্র দলের দ্বিতীয় ইনিংসে হয়েছে। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ট্রিপল সেঞ্চুরির কোন রেকর্ড নেই। আর এটা যে অসম্ভব তা সবাই জানি।
  • সময়ের হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ইংল্যান্ডের স্যার ওয়ালি হ্যামন্ড (৩৩৬* বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৩৩)। তিনি ৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। আর বলের হিসেবে মাত্র ২৭৮ বল খেলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ভারতের বীরেন্দর শেবাগ (৩১৯ বনাম সাউথ আফ্রিকা, ২০০৮)। ধীরগতি হিসেব করলে সময়ের হিসেবে সবচেয়ে বেশী সময়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন পাকিস্তানের হানিফ মোহম্মদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউনে তিনি ৮৫৮ মিনিট ব্যাট করে করেন টেস্ট ইতিহাসের ৬ নম্বর ট্রিপল সেঞ্চুরি। আর এশিয়া তথা উপমহাদেশের হিসেবে ১ম। আর বল হিসেব করলে ধীরগতির ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড দখল করে আছেন অস্ট্রেলিয়ার আরবি সিম্পসন (৩১১ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৬৪)। ম্যানচেস্টারে তিনি ৭১১ বল খেলে তুলে নেন ট্রিপল সেঞ্চুরি।
  • গ্যারি সোবার্স তার জীবনের ২১ বছর ২১৩ দিনের মাথায় করেন অপরাজিত ৩৬৫ রান। ২৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৫৮ সালে টেস্ট ইতিহাসের ৪৫০ নম্বর টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার খেলা সেই ইনিংসটি তাকে বানিয়ে দিয়েছে সর্বকনিষ্ঠ ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান। তার আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিল আরেক গ্রেট স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১ বছর ৩১৮ দিনের মাথায় করেন ৩৩৪ রান। আর প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করা এন্ড্রু স্যান্ডহামের সাথেই এখন অব্দি রয়েছে সবচেয়ে বেশী বয়সে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড। তিনি ৩৯ বছর ২৭১ দিনের মাথায় করেন তার ট্রিপল সেঞ্চুরি।
  • এখন পর্যন্ত ট্রিপল সেঞ্চুরি করা প্লেয়ারদের মধ্যে ২ জন করে ১৯৩৬ এবং ১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে ট্রিপল করেন ৩ জন। ১৯৭১ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারী ৬ জন প্লেয়ার করেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন ৫ জন। ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ইংল্যান্ডের এন্ড্রু স্যান্ডহাম, তিনি ৬ জুলাই ১৮৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। উনিশ শতকে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। আর ট্রিপল সেঞ্চুরি ক্লাবের সবচেয়ে নবীন সদস্য হলেন ভারতের করুন নায়ার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৩০৩ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যানের জন্ম ১৯৯১ সালে।
  • ৬ মার্চ ১৯৭৪ থেকে ২৬ জুলাই ১৯৯০। এই সময়ের মধ্যে ক্রিকেট বিশ্ব ৪ টি বিশ্বকাপ দেখেছে। দেখেছে ভিভিয়ান রিচার্ডসের রাজত্ব। কিন্তু এই ১৬ বছর ৪ মাস ২০ দিন ক্রিকেট কোন ট্রিপল সেঞ্চুরি দেখেনি। ১৯৭৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রুইয়ের ৩০২ রানের পর ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচের ৩৩৩ রানের মাধ্যমে আবার টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া যায়। গ্রাহাম গুচের ৩৩৩ রানের ইনিংসটি হল ক্রিকেটের তীর্থস্থান খ্যাত লর্ডসে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি। আর টেস্টে ৩৩৩ বা ট্রিপল নেলসন স্কোর হয়েছে ২ বার। গুচ ছাড়াও ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল করেন ৩৩৩ রান। ৩২৯ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক আর পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক। আর ৩৩৪ রানের ইনিংস খেলেন দুই অস্ট্রেলিয়ান স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান এবং মার্ক টেইলর। ১৯৯৮ সালে মার্ক টেইলরের সামনে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রানের টেস্ট ইনিংস ৩৩৪ যা ১৯৩০ সালে স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান খেলেন তা ছাড়িয়ে যাবার সুযোগ ছিল। কিন্তু, ব্র্যাডম্যানের পাশে তার নাম রাখার জন্য তিনি আর রান করেননি। আর রান করেননি বলার কারণ হল তিনি ঐ সময় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন। ৩০২ রানের ইনিংস হয়েছে ৩ বার। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, আজহার আলি আর লরেন্স রুই তিনজনই ট্রিপল করার পর আউট হন ৩০২ রান করে।
  • এক ট্রিপল সেঞ্চুরি থেকে আরেক ট্রিপল সেঞ্চুরির সর্বনিম্ন পার্থক্য ছিল মাত্র ১৪ দিনের। ২৮ মার্চ ২০০৪ সালে ভারতের ভিরেন্দার শেবাগ পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ৩০৯ রান। এর ১৪ দিন পরেই ১০ এপ্রিল ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৪০০ রানের ইনিংস।
  • ছয় মেরে সেঞ্চুরি করতে গিয়ে অনেক ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। তাই ছয় মেরে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা, এই রকম ভাবনা কারো মধ্যে থাকলে অন্তত নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো তাকে নিষেধ করবেন। কেননা তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যে ২৯৯ রানে আউট হন। আর ডন ব্র্যাডম্যান একবার অপরাজিত ছিলেন ২৯৯ রানে। তবে ছয় মেরে ট্রিপল সেঞ্চুরি এমন ঘটনা ঘটেছে দুইবার। ২০০৪ সালে ভিরেন্দর শেবাগ পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় মেরে পৌঁছান ট্রিপল সেঞ্চুরিতে। আর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা একই ভাবে ট্রিপল-এ পৌঁছান।
  • এই পর্যন্ত হওয়া ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মধ্যে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা করেন ১২ টি। ১৯৫৮ সালে গ্যারি সোবার্সের অপরাজিত ৩৬৫ রানের মাধ্যমে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি বাঁহাতিদের দখলে নেন। ডান হাতি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি মাহেলা জয়াবর্ধনের দখলে। ২০০৬ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তার করা ৩৭৪ রানের ইনিংসটি ডানহাতিদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
  • টেস্টে যে দলের ব্যাটসম্যান ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তারা কোন সময় ম্যাচ হারেননি। ১৮ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি হওয়া ম্যাচ ড্র হয়েছে। আর ফলাফল হয়েছে ১৩ টি ম্যাচে। টাইমলেস টেস্ট সাধারণত ম্যাচের ফল বের করার জন্য খেলা হত। কিন্তু, প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হওয়া ম্যাচটি টাইমলেস হওয়া সত্বেও ড্র হয়েছে।
  • মোট ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মধ্যে ২০ টি হয়েছে ব্যাটসম্যানের নিজ দেশের মাটিতে ( ইউএইকে যদি পাকিস্তানের হোম ভেন্যু ধরা হয়)। আর ১১ জন ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন প্রতিপক্ষের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ইংল্যান্ডে হয়েছে ৭ টি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি। আর অস্ট্রেলিয়ায় হয়েছে ৪ টি।
  • এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ৭ জন ব্যাটসম্যান ৮ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ জন ব্যাটসম্যান করেন ৬ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা করেন যথাক্রমে ৫ টি এবং ৪ টি করে। ভারতের এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা করেন ৩ টি করে ট্রিপল সেঞ্চুরি। সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সেই সংখ্যা সমান ১ টি করে। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা কোন ট্রিপল সেঞ্চুরি করেননি।
  • অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা ৮ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেও তাদের বিপক্ষে হয়েছে মাত্র ১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি। সবচেয়ে বেশী হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ টি। ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে হয়েছে সমান ৪ টি করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হয়েছে ৩ টি করে। আর বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয়েছে ১ টি করে।
  • মোট ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মধ্যে ১৬ টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন অপেনাররা। ৩ নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানরা ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ৮ বার। ৪ নম্বর পজিশনে সে সংখ্যা ৩ টি এবং ৫ নম্বরে সংখ্যাটা ৪ টি।
  • মোট ৩১ টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মধ্যে অধিনায়কেরা করেন ৮ টি। অধিনায়কের ট্রিপল সেঞ্চুরি এই ক্লাবের সূচনাকারী হলেন অস্ট্রেলিয়ার বব সিম্পসন। তার পর এই ক্লাবের সদস্য হয়েছে ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ, অস্ট্রেলিয়ার মার্ক টেইলর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা, শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে, পাকিস্তানের ইউনিস খান, অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লার্ক এবং নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারার (৪০০) দখলে।
  • দুইবার করে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন মাত্র ৪ জন ব্যাটসম্যান। তারা হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (৩০৪,৩৩৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা (৩৭৫,৪০০*), ভারতের ভিরেন্দর শেবাগ (৩০৯,৩১৯) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (৩১৭,৩৩৩)। এদের মধ্যে ব্র্যাডম্যান এবং শেবাগের ২৯০ রানের ইনিংস রয়েছে। তবে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম ব্রায়ান লারা। টেস্টে ৩৫০ রানের ইনিংস হয়েছে ৬ টি। তার মধ্যে তার রয়েছে ২ টি। তিনি দুইবার টেস্টে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক হন।
  • ৯ জন ব্যাটসম্যান ট্রিপল সেঞ্চুরি করার পরো অপরাজিত ছিলেন। এই ঘটনা প্রথম করেন স্যার ওয়ালি হ্যামন্ড। সর্বশেষ ১০ ট্রিপল সেঞ্চুরির পর ৪ টি ইনিংসে ব্যাটসম্যানকে আউট করা যায়নি।

আবারো ফিরে যাই সেই উদযাপনে। বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যান যখন সেঞ্চুরি করে সেই উদযাপন দেখতে খুবই ভাল লাগে। অনেক লম্বা সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলাম কবে বাংলাদেশী কোন ব্যাটসম্যান ডাবল সেঞ্চুরি করবে। সেই আশা পূরণ হলেও স্বপ্নটা এবার সামনের দিকে। বাংলাদেশের কোন এক ব্যাটসম্যান টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করবে আর তা সরাসরি দেখব, সেই দৃশ্য যাতে খুব জলদি দেখি সেই আশাতেই আছি।

 

, , , , ,

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর