জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের সমাপ্তি ঘটালো বাংলাদেশ। নিজেদের শেষ ম্যাচে আমিরাতকে হেসেখেলে হারালেও নিট রান রেটের মারপ্যাঁচে সেমিফাইনালে যেতে ব্যর্থ হলো দিশা বিশ্বাসের দল।
পচেফস্ট্রুমে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দিলারা আক্তার দোলার পরিবর্তে উন্নতি আক্তার ও অর্থির পরিবর্তে একাদশে ফেরেন রিয়া আক্তার শিখা।
বোলিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নেন মারুফা। পাওয়ারপ্লেতে আর উইকেট হারায়নি তারা। ধীরেসুস্থে পুরো ওভার খেলে তারা। ওপেনিংয়ে নামা লাভণ্য কেনি ২৯ ও চারে নামা মাহিকা গৌর ১৭ রান করেন। শেষ ওভারে রাবেয়া জোড়া উইকেট নিলে আমিরাতের ইনিংস শেষ হয় ৬৯ রানে। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন উইকেট নেয়া রাবেয়া এদিনও তিনটি উইকেট নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ধীরে এগোতে গিয়ে পাঁচ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ২ চার-২ ছক্কায় ২০ রান তোলেন স্বর্ণা আক্তার। দারুণ জুটির পর নবম ওভারে রাবেয়া ও স্বর্ণা উভয়ই সাজঘরে ফেরেন। পরের ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটের ম্যাচ জিতে ১৬ দলের আসরে পঞ্চম হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করলো বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে সুপার সিক্সে উঠলেও রান রেটে বরাবরই পিছিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। এই রাউন্ডে এসে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবে একইদিনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার বাংলাদেশকে কার্যত ছিটকে দেয় সেমিতে যাওয়ার দৌড় থেকে। শেষদিনে এসে কঠিন সমীকরণ থাকলেও আগে বোলিং পাওয়ায় সে আশাও শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ এর। বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শেষ করেছে +1.211 রান রেট নিয়ে, সুপার সিক্সের গ্রুপ ১ এ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া +2.210 নিয়ে ভারতের সাথে সেমিতে উঠেছে।
আইসিসির নতুন এই ইভেন্টের প্রথম আসরে বাংলাদেশ খেলেছে দারুণ। শেষ পর্যন্ত সেরা চারে যেতে না পারলেও পাঁচ নাম্বার হয়ে শেষটা তারা। প্রথমবার এমন দারুণ পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছে বৈশ্বিক অঙ্গনে। আগামীতে তাদের উত্তরসূরিদের হাত ধরে হয়তো আসবে আরও বড় কোনো সাফল্য। ততদিনে এই দলের প্লেয়াররা নিশ্চয়ই মাঠ মাতাবেন জাতীয় দলের হয়ে।
আরব আমিরাত ৬৯-৯(২০)
কেনি ২৯, গৌর ১৭, মহেষ ৭;
মারুফা ৪-০-১৬-২, দিশা ৩-০-১৪-০, দিপা ৩-০-৫-১, রাবেয়া ৪-০-১৪-৩, শিখা ২-০-৯-১, স্বর্ণা ৪-০-১১-১।
বাংলাদেশ ৭৩-৫(৯.১)
প্রত্যাশা ১৫, মিষ্টি ১, স্বর্ণা ৩৮(১৯) ৪ চার – ২ ছক্কা, সুমাইয়া ০, রাবেয়া ১৪, উন্নতি ৫*;
সামাইরা ১৮-২, ইন্ধুজা ৩৪-২ |