এবিডি ভিলিয়ার্স, নামটি শোনার পর আপনার মনে হতেই পারে ইয়াসির কিভাবে ভিলিয়ার্সের পরামর্শ পেয়েছে! উত্তর খুঁচিয়ে গেলে বেড়িয়ে আসে তথ্য, প্রথম ওয়ানডের আগে কোচ ডোমিঙ্গোর চাওয়াতে বাংলাদেশ দলের সাথে দেখা করেন এই আফ্রিকান কিংবদন্তি। যেখানে এবিডি ভিলিয়ার্সের থেকে পরামর্শ নিতে ভুল করেননি ইয়াসির আলী।
চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সাথে দুর্দান্ত জুটি গড়া ইয়াসির ব্যাট হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। শুরুতে মানিয়ে নিয়ে উপহার দিয়েছেন ৫০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট কিংবা পাওয়া হিটিং, সবকিছুতেই মুগ্ধ করেছেন ইয়াসির। এখানেই শেষ নয়, ফিল্ডিংয়েও অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে বাহবা পেয়েছেন সতীর্থদের। ম্যাচ শেষে ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেশকিছু ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন ইয়াসির আলী।
প্রথমবার আফ্রিকার মাটিতে আফ্রিকাকে হারানোর পর ফুরফুরে মেজাজে টিম টাইগাররা। ম্যাচে চার বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলা ইয়াসির কাজে লাগিয়েছেন ভিলিয়ার্সের টোটকা! এই বিষয়ে ইয়াসির বলেন, “এবি ডি ভিলিয়ার্স ম্যাচের আগেরদিন আমাদের হোটেলে এসেছিলেন। তিনি কিছু জিনিস বলেছিলেন যা সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছিল। আমি আফগানিস্তান সিরিজে ভালো করতে পারিনি, তাই এই নকটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।”
এবিডি ভিলিয়ার্সের থেকে পাওয়া পরামর্শ কাজে লাগিয়ে ইয়াসির পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ফিফটি, সেটিও অচেনা কন্ডিশনে। অবশ্য ইয়াসিরের শুরুর গল্পে সাকিবের কথাগুলোও ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। সাকিবের বিষয়ে বলতে গিয়ে ইয়াসির বলেন, “যখন আমি সাকিব ভাইকে উইকেট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, তিনি আমাকে সরাসরি বলেছিলেন যে এটি একটি খুব ভালো উইকেট।”
সাকিবের এই কথাটি কাজে লাগিয়েছেন ইয়াসির, হয়েছেন সফল। দিনশেষে প্রশংসায় ভেসেছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। ব্যাটার ইয়াসিরের গল্প বাদ দিলে আসবে ফিল্ডার ইয়াসিরের গল্প। যেখানে বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে লুফে নেন ডুসেনের ক্যাচ। সুযোগ লুফে নেওয়ার বিষয়ে ইয়াসির বলেন, “ ঐসময় টেনশন কাজ করছিলো, পার্টনারশিপ বাড়ছিল, কিন্তু আমরা তাদের চাপে রেখেছিলাম। তারা বাউন্ডারি পাচ্ছিল কিন্তু আমরা অনেক ডট বলও করছিলাম। রান-রেট সবসময়ই বাড়ছিল। আমি ভাবছিলাম যে আমার বিশেষ কিছু করা দরকার। আমি আমার পথে আসা যে কোনও সুযোগ লুফে নিতে চেয়েছিলাম। সবাই ক্যাচের প্রশংসা করেছে।”
ক্যাচ নিয়ে মুগ্ধ করা ইয়াসির জানিয়েছেন তাসকিনের ভালো করার রহস্যও। তাসকিনকে নিয়ে প্রশংসা করতেও ভোলেননি ইয়াসির। তাসকিনকে নিয়ে ইয়াসির বলেন, “করোনা মহামারীর পর সে নিজেকে বদলিয়েছে। সে ভালো অবস্থায় আছে। সবাই এই জয়ে অবদান রেখেছে কিন্তু তাসকিন বিশেষ অবদান রেখেছেন। এক ওভারে তিনি দুটি উইকেট নিয়েছিলেন, যা একটি বড় ধাক্কা ছিল। একজনকে তার প্রশংসা করতে হবে।”