অপরাজেয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে ইতিহাস রচনা করা বাংলাদেশ, ওলট-পালট করলো রেকর্ডবইও। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। এর আগে দেশ এবং
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন টেস্ট ম্যাচ জিতেনি বাংলাদেশ। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এই জয় টায় ছিল বাংলাদেশের প্রথম। টেস্ট এই জয়ের ফলে অনেক রেকর্ড গড়ছে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিছু রেকর্ড।
১৬ তম দেখায় জয়
টেস্ট নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬তম দেখায় বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেলো। এর আগে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ টি টেস্ট ম্যাচে ১২ বার হেরেছিল, ড্র করেছিল ৩ ম্যাচ।
৬ষ্ঠ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়
টেস্টে খেলুড়ে ষষ্ঠ কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে টেস্টের জয়গুলো এসেছে জিম্বাবুয়ে (৮), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৪), অস্ট্রেলিয়া (১), ইংল্যান্ড (১) ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাকি ভারত, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো কোন টেস্টেই খেলেনি বাংলাদেশ।
শীর্ষ ৫ য়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১ম জয়
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান দুই নম্বরে। সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে টেস্ট জয় করলো বাংলাদেশ। এর আগে
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫-এ থাকা দলগুলোর বিপক্ষে দেশের বাইরে কোন ম্যাচ জিতে নি বাংলাদেশ যা এবার প্রথম।
উইকেটের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়
উইকেটের হিসেবে দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এটাই। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে ৪ উইকেটের ব্যবধানে টেস্ট জয়টাই ছিল উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
নিজেদের মাটিতে অপরাজেয় কিউই বধ
টানা ১৭ ম্যাচ দেশের মাটিতে টেস্টে অপরাজিত ছিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৭ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছিল কিউরা। এরপর ৪ বছরেও অপরাজেয় কিউরা অবশেষে টাইগারদের কাছে পরাজয় বরণ করলো।
১১ বছর পর
২০১১ সালে পাকিস্তানের কাছে টেস্ট হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ১১ বছর উপমহাদেশের কোন দল হারিতে পারেনি তাদের। কিন্তু অবশেষে তা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
৮ সিরিজ পর
দেশের মাটিতে নিজেদের সর্বশেষ ৮টি সিরিজেই জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ২ টেস্টের সিরিজে এবার প্রথমটিই হেরে যাওয়ায় ভাঙল সে ধারাও।
কিউইদের ডেরায় এক ইনিংসের সেরা বোলিং ফিগার
২য় ইনিংসে ৪৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন পেসার ইবাদত হোসেন, যা টেস্ট নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন বাংলাদেশী বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে ১৬৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। যা ছিল এযাবৎ কালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন বাংলাদেশী বোলারের এক ইনিংসের সেরা বোলিং ফিগার।
ম্যাচের সেরা বোলিং ফিগার
এক ইনিংসের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোন বাংলাদেশী বোলারের সেরা বোলিং ফিগার এখন এবাদত হোসেনের দখলে। এর আগে ২০০৮ সালে ডানেডিনে ৮৮ রানে নেওয়া মাশরাফির ৫ উইকেট ছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশী বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ১২১ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট নিয়ে তা ছাড়িয়ে গেলেন এবাদত হোসেন।
পেসার হিসেবে প্রথম
বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পেসার হিসেবে ম্যাচসেরা হলেন এবাদত হোসেন। তার আগে কোন বাংলাদেশী পেসার বিদেশের মাটিতে ম্যাচসেরা পুরস্কার পায়নি। এছাড়া মাশরাফি ও মোস্তাফিজুর রহমানের পর তৃতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন ডানহাতি এই পেসার।