ক্রিকেটে কত-কিছুই না ঘটে। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলেই ক্রিকেট সুন্দর। শান্তর লড়াকু ৭১ রানের পর তাসকিন – মোস্তাফিজের ফেরা, শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৩ রানের জয়ে স্বস্তি ফিরিছে টাইগার শিবিরে।
গাব্বায় আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-শান্তর চেষ্টাও বৃথা হলে সাকিবকে সাথে নিয়ে শান্ত এগিয়ে যেতে থাকেন সামনের দিকে। কিন্তু সাকিব ২৩ রানে ফিরলে আবারও চাপে পরে বাংলাদেশ।
তিন সতীর্থ হতাশা নিয়ে ফিরলেও শান্ত তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি। ফিফটির পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠা শান্তকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে স্বস্তি এনে দেন রাজা। শেষ দিকে আফিফের ২৯ রানে ভর করে ১৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়ের। দুর্দান্ত তাসকিনে প্রথম ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উদযাপনে মাতন তাসকিন। দলীয় ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।
শুরুর চাপ কাটিয়ে ওঠার আগে সাজঘরে ফেরেন চাকাভাও। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রায়ান বার্ল ও শন উইলিয়ামস অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। এক প্রান্তে ফিফটি তুলে নেন উইলিয়ামস। ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সাকিবের দুর্দান্ত থ্রোতে উইলিয়ামস ফিরলে আবারও জমে উঠে ম্যাচ। শেষ ওভারে ১৬ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের সামনে।
বল হাতে মোসাদ্দেক আসেন শেষ ওভারে। প্রথম ৫ বলে ১১ রান খরচ করলে শেষ বলে ৫ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায়। শেষ বলে মুজারাবানি স্ট্যাম্পিং হলে জয়ের উদযাপনে মাতেন বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার ঘোষণা দেন বলটি ছিলো নো-বল। আবারও বল হাতে আসেন মোসাদ্দেক। শেষ বলে কোনো রান নিতে পারেননি মুজারাবানি। এতেই ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১৫০/৭(২০ ওভার)
শান্ত ৭১, সাকিব ২৩, আফিফ ২৯*
মুজারাবানি ১৩/২, উইলিয়ামস ১০/১
জিম্বাবুয়ে ১৪৭/৮(২০ ওভার)
উইলিয়ামস ৬৪, বার্ল ২৭*
তাসকিন ১৯/৩, মোস্তাফিজ ১৫/২
ফলাফল: বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: তাসকিন আহমেদ।