স্পিনারদের দিনে জাকির-শহিদুলের শতক!

  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন নাসির হোসাইন। অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড জুটির পর সেঞ্চুরি করেছেন শহিদুল ইসলাম। ফলো-অনে পড়া দলের দলের হাল ধরেছেন জাকির হাসান, করেছেন সেঞ্চুরি।
ফলো-অনে পড়ে তৃতীয় দিনশেষে স্বল্প রানের লিড নিয়েছে সিলেট এবং বরিশাল। ওদিকে ২৬৪ রানের টার্গেটে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে রংপুর। ২৮৩ রানের লক্ষ্যে শেষদিনে রাজশাহীর প্রয়োজন ১৩৬ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট।

প্রথম ম্যাচঃ
খুলনা 🆚 সিলেট, খুলনা স্টেডিয়াম।

খুলনার ৩৭৫ রানে জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩০ রানে ছিলো সিলেট। সেখান থেকে তৃতীয় দিনের শুরুতেই আর মাত্র ৪ রান যোগ করেই অল আউট হয় সিলেট। ফলো-অনে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। দুই অপেনারই ইনিংস বড় করতে পারেনি। এরপর অমিত হাসান এবং জাকির হাসান ম্যাচের হাল ধরেন, দুজনে ১১০ রানের জুটি গড়েন। অমিত ৬৬ রানে আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম শতক তুলে নেন জাকির হাসান। তবে অপরপ্রান্তে একসময় ১৭ রানে পিছিয়ে থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। স্ট্যাম্পের পেছনে দারুণ ছিলেন নুরুল হাসান সোহান, প্রথম ইনিংসে ৩ ডিসমিসালের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ৩টি ডিসমিসাল করেন। দিনশেষে সিলেটের সংগ্রহ ২৫০-৫। ৯ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
খুলনা(প্রথম ইনিংস): ৩৭৫-১০।
তুষার-৯৯, ইমরুল-৯০;রাহী-৯৪/৩, এবাদত-৭৯/৩।
সিলেট: ১৩৪-১০।
ইমতিয়াজ-৩৭, এনামুল জুনিয়র-৩০;মাসুম-৩৪/৪, মিনহাজ-৩১/৪।
সিলেট(দ্বিতীয় ইনিংস, ফলো-অন): ২৫০-৫।
জাকির-১১৮*, অমিত-৬৬;মইনুল-৩০/২, হালিম-৪০/২।

দ্বিতীয় ম্যাচঃ
ঢাকা 🆚 রংপুর, বিকেএসপি-৩।

আগেরদিন ঢাকার ৩৬৫ রানের জবাবে রংপুরের ১৯৪ সংগ্রহে শেষ হয়েছিলো খেলা। পরদিন শুরুতেই সেঞ্চুরি তুলে নেন নাসির হোসাইন। অন্য কেউই ভালো করতে না পারায় ২৩০ রানে থামে তাদের প্রথম ইনিংস। লিড পেয়ে ঢাকা ব্যাটিংয়ে নামে ভালো টার্গেট দেয়ার লক্ষ্যে, তবে দুই স্পিনার নাসির-সোহরাওয়ার্দীর ঝলকে মাত্র ১২৮ রানে অল আউট হয় ঢাকা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬টি ডিসমিসাল করে রংপুরের উইকেটরক্ষক আকবর আলী। ২৬৪ রানের টার্গেটে রংপুরের দুই ওপেনারই ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ম্যাচে ফেরার লড়াইয়ে সোহরাওয়ার্দী -মাহমুদুল রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলীয় ৩৫-২ রানে দিনের খেলা শেষ হয়। আগামীকাল জয়ের জন্য শেষদিনে ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ঢাকা (প্রথম ইনিংস): ৩৬৫-১০।
সাইফ-১২৭, নাদিফ-৬৯;আলাউদ্দিন বাবু- ৪৬/৪।
রংপুর (প্রথম ইনিংস): ২৩০-১০।
নাসির-১১৫; নাজমুল অপু- ৮৯/৪।
ঢাকা(দ্বিতীয় ইনিংস): ১২৮-১০।
জুনিয়র সানি- ৪০; নাসির- ২১/৪, শুভ- ২৬/৩। রংপুর (দ্বিতীয় ইনিংস): ৩৫-২। শুভ-১২; অপু-৯/১,

তৃতীয় ম্যাচঃ
বরিশাল 🆚 ঢাকা মেট্রো, বরিশাল স্টেডিয়াম।

প্রথম ইনিংসে বরিশালের ২৪১ রানের জবাবে বড়সড় লিড নেয় ঢাকা মেট্রো। অষ্টম উইকেট জুটিতে আবু হায়দার -শহিদুলের ১৪০ রানের পর আজ লাঞ্চের আগে তাদের ইনিংস থামে ৪১৩ রানে। মেট্রোর হয়ে মার্শাল আইউবের পর শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বরিশাল।তবে শুরতেই ১রান করে আউট হন মোহাম্মদ আশরাফুল। আরেক অপেনার মনির ১৯৯ মিনিট ক্রিজে থেকে ৬৩ রান করে আউট হন। মিডল অর্ডারে ছোট ছোট তিন ইনিংস এলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। দিনের খেলা শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৭ রানে। ৫ রানের লিডে আছে বরিশাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বরিশাল(প্রথম ইনিংস): ২৪১-১০।
আশরাফুল-৪৮, আবু সায়েম-৪৬;রকিবুল-৭৬/৩, আবু হায়দার-৩৪/৩।
ঢাকা মেট্রো: ৪১৩-১০।
মার্শাল-১১২, শহিদুল-১০৬;কামরুল-৪৯/২।
বরিশাল(দ্বিতীয় ইনিংস): ১৭৭-৭।
মইনুল-৬৩,সালমান-৪৪;শহিদুল-৩৪/২, আবু হায়দার-৩৫/২।

চতুর্থ ম্যাচঃ
চট্টগ্রাম 🆚 রাজশাহী, রাজশাহী স্টেডিয়াম।

আগেরদিন প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রানে শেষ হয় খেলা। এদিনে মাহমুদুল জয়ের ৩৯ রানের পর ইরফান শুক্কুরের ৬৫ রানের সুবাদে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৭ করতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম। রাজশাহীর উইকেটরক্ষক প্রিতম কুমার প্রথম ইনিংসে ১ ডিসমিসালের পর দ্বিতীয় ইনিংসে একাই করেছেন ৬টি ডিসমিসাল! ২৮৩ রানের লক্ষ্যে আক্রমনাত্মক শুরু করে রাজশাহী। দুই অপেনার তানজিদ ২৮ ও জহুরুল অমি ২৩ রানে ফিরলে ম্যাচের হাল ধরেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, তুলে নেন ফিফটি। অপরপ্রান্তে ফরহাদ ব্যর্থ হলে তৌহিদ হৃদয় করেন ২৩। ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির রুম্মন। জুনায়েদ-ফরহাদ রেজার জুটিতে ১৪৭-৫ রানে দিন শেষ করে রাজশাহী। চট্টগ্রামের উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর প্রথম ইনিংসে ৪টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো ২টি ডিসমিসাল করেছেন। শেষদিনে জয়ের জন্য ১৩৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
চট্টগ্রাম(প্রথম ইনিংস): ২৮৭-১০।
শাহাদাত-১০৮, ইয়াসির-৬৩, মেহেদি-৫৫;ফরহাদ-৪৪/৪।
রাজশাহী: ১৫২-১০।
ফরহাদ-২৭*, সাব্বির-২৪;নোমান-৪৭/৪, মেহেদি-২২/৩।
চট্টগ্রাম(দ্বিতীয় ইনিংস): ১৪৭-১০।
ইরফান-৬৫, মাহমুদুল-৩৯;ফরহাদ-৩৭/৩, তাইজুল-৪৮/৩, তৌহিদ-১৯/৩।
রাজশাহী:১৪৭/৫।
জুনায়েদ-৫১;ইরফান-৩৫/২।

 

, , , ,

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর