ক্রিকেটখোর ব্যাটেলিয়ন
ক্রিকেট পাগল কিছু ছেলের নিছক সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা দলটাই যে একটা সময়ে ব্রান্ড হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে সেটা হয়তো খোদ প্রেসিডেন্ট একে এম কাউসার ভাবতে পারেননি, অধিনায়ক ফারুক হাসানও কখনো ভাবতে পেরেছিলেন, দলের কম্বিনেশন সাজাতেই ম্যাচের আগেরদিন নির্ঘুম রাত কাটবে?
সেইসব দিনগুলি শিরোনামে লেখাটা শুরু করলে অনেকেই নস্টালজিক হয়ে যেতেন। নব্বই এর দশকে জন্ম নেওয়া আপনি আমিও হয়তো পাড়ার কোন না কোন ব্যাটেলিয়ন দলের সদস্য ছিলাম। না থাকাটাই বরং সেই সময়ের কিডসদের জন্য অন্যায় ছিল! তবে অন্য পাঁচটা ক্রিকেট দলের চেয়ে ব্যাটেলিয়ন আলাদা, কিছুটা নয় বেশ খানিকটা।
কারণ ব্যাটেলিয়নের একটা গল্প আছে, এতিহ্য-সংস্কৃতি আছে, পরিবর্তনের একটা ধারা আছে আর আছে দলের একটা লম্বা ইতিহাস। যেই দলের টপ অর্ডারে খেলেন নাদিম-ইমামুল-শুভরা। একটা সময় সেই জায়গা আলোকিত করতেন রিফাত-সোহান-তন্ময় বোসরা। যেই রান আপ আসিফরা শুরু করেছিলেন সেটা বয়ে নিচ্ছে আহসান স্বপ্নীল-রাব্বির হাসানরা।
এই খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের একেকটা গল্প আছেন। কেউ সিপিএল খেলে এসেছেন, কেউবা সিপিএল দেখে কেউবা সেই সিপিএলের গল্প শুনেই! তবে এদের প্রত্যেককে একসুঁতোয় গেথে যে মাইটি ব্যাটেলিয়ন তৈরী করেছেন তিনি ফারুক হোসেন, আমাদের প্রিয় ফারুক ভাই। সেই শুরুর দিনের জোড়াতালি দেওয়া দল থেকে এক অদম্য শক্তিশালী দলে পরিণত করার গল্পটা অন্য সবার চেয়ে ফারুক ভাইয়ের ভালো জানা।
ক্রিকেটখোর ব্যাটেলিন দল নামে সারা দেশের ২০-২৫টি অঞ্চলে ক্রিকেটাররা খেলেন নিজ অঞ্চলের ছোট বড় দলগুলির সাথে। তবে যখন বড় কোন টুর্নামেন্টে দল অংশগ্রহণ করে তখন ক্রিকেটখোর ব্যাটেলিয়ন মূল দলটাই প্রতিনিধিত্ব করে। ক্রিকেটখোর ব্যাটেলিয়ন এ্যমেচার লীগ টুর্নামেন্ট জিতে নেয় ২০১৯ সালে, প্রতিপক্ষ ছিল ক্রিকেট ফিয়েস্তা এবং বাংলা টাইগার্স! এছাড়া চলতি বছর মুজিব বর্ষীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং চট্টগ্রামে একটি স্থানীয় টুর্নামেন্টেও বেশ ভালো অবস্থানে আছে দল।
যদিও করোনার কারণে স্থগিত হয়ে আছে সব মাঠের খেলা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আশা করি মাঠের ক্রিকেটে ভালো ফল বয়ে আনবে দল৷ ক্রিকেটখোর ব্যাটেলিয়নের হোম গ্রাউন্ড প্রত্যাশা মাঠ, টঙ্গী, ঢাকা। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত ক্রিকেটখোর প্রিমিয়ার লীগে ভালো পারফরম্যান্স করা খেলোয়াড়রাই মূলত বাছাই প্রক্রিয়া শেষে দলে ঢোকার সুযোগ পান।