ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিনে অজি অধিনায়ক ফিঞ্চের লড়াকু ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যে এতোটা ভয়ংকর হয়ে উঠবে সেটা হয়তো কল্পনাও করেনি কিউইরা। রিচার্ডসন, অ্যাগার, ম্যাক্সওয়েল, জ্যাম্পার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০৬ রানে অলআউট হওয়া নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে টানা ২ ম্যাচে পেলো হারের লজ্জা!
এর আগে ওয়েলিংটনে টস ভাগ্যে জয়ী অজি কাপ্তান নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। নিজের সিদ্ধান্তকে ফিঞ্চ সঠিক প্রমাণ করতে পারলেও ব্যর্থ ছিলেন দলের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চের অপরাজিত ৭৯ রানের উপর ভর করে সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্টয়নিসের ব্যাটে। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে সোধি ৩ উইকেট শিকার করেন।
১ ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ১২০ বলে ১৫৭ রান! কিন্তু সিরিজে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা শুরু থেকেই চেপে ধরে স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদের। গত ম্যাচের হিরো অ্যাগার আজও শুরুতেই ফিরিয়েছেন গাপটিলকে। এরপর অফফর্মে থাকা সেইফার্ট স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস খেলে আউট হলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এরপর ২ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ফিরলে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
শুরুর চাপ জয় করতে না পারা নিউজিল্যান্ড নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। শেষ দিনে জেমিসনের ৩০ রান হারের ব্যবধান কমালেও ৫০ রানে হার মেনে নেওয়া নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ১০৬ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে জেমিসনের ব্যাটে।অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট শিকার করেন কেন রিচার্ডসন! এছাড়াও অ্যাগার, জ্যাম্পা এবং ম্যাক্সওয়েল ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।
৪র্থ টি-২০ তে ৫০ রানের জয় পাওয়া অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-২ এ সমতা পেলো। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড পেলো ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচ হারের লজ্জা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
অস্ট্রেলিয়া – ১৫৬/৬(২০)
ফিঞ্চ ৭৯*, স্টয়নিস ১৯, ম্যাক্সওয়েল ১৮
সোধি ৩২/৩, বোল্ট ২৭/২
নিউজিল্যান্ড – ১০৬/১০(১৮.৫)
জেমিসন ৩০, সেইফার্ট ১৯
রিচার্ডসন ১৯/৩, অ্যাগার ১১/২
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৫০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: অ্যারোন ফিঞ্চ।