পাঁচ হাজার রান, ১০০ উইকেট, ১০০ ক্যাচ এবং ১০০ টি ম্যাচ। এই সবকিছু যখন একজনের নামের পাশে তখন তাকে চিনতে আর কি বা লাগে! আর সেটি যদি হয় টেস্ট ও ওয়াইডের দুই ফরম্যাটেই তাহলে আর চিনতে বাকি রইলো কি? তবুও যদি অচেনা লাগে তাহলে ইতিহাস ঘাঁটতে হবে। উত্তরে আপনি দুইটি নাম খুঁজে পাবেন, যার একটি জ্যাক ক্যালিস আরেকটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কিংবদন্তী। সদা ঠান্ডা মাথায় অবিচল, দুর্দান্ত পাওয়ার হিটিং! অফ ব্রেক বোলিংয়ের সাথে স্লিপে দুর্দান্ত সব ক্যাচ নিয়ে যিনি জায়গা করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়, তিনি তো বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হয়েও যেনো নেই আলোচনায়। যাকে নিয়ে আজকেট গল্প তিনি জর্জটাউনে জন্ম নেওয়া কার্ল লিউলিন হুপার।
আধুনিক ক্রিকেটে সেরা অলরাউন্ডারের দৌড়ে সাকিব বেশ উপরেই, এই তালিকায় আছেন স্টোকস, জাদেজার মতো ক্রিকেটাররা। একটু পিছনে ফিরলে ভেসে আসবে জ্যাক ক্যালিস, ইমরান খান কিংবা ড্যানিয়েল ভেট্টরির নাম। এবার আরেকটু পিছনে ফিরলে রিচার্ড হ্যাডলি, কপিল দেবরা নিবে অনেকটা জায়গা। ইয়ান বোথাম কিংবা গ্যারি সোবার্সকে নিয়ে তো একেকটা উপন্যাস লেখা সম্ভব। এদের মাঝে একজন যেনো নিরবে নিভৃতেই নিজেকে নিয়েছেন এগিয়ে, ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে ঠিকই পৌঁছেছেন ইতিহাসে; জায়গা করে নিয়েছেন প্রথম পাতায়। তবুও তাকে নিয়ে নেই এতো আলোচনা, নেই কৌতুহলও। তাতে কি? কার্ল যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নক্ষত্র সেটি মানতে দ্বিধা থাকার কথা নয় কারো।
তবুও যদি খটকা লাগে তাহলে দেখুন হুপারের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার। সবধরনের ক্রিকেটে নামের পাশে ৪৮ হাজার ১৪ রান ও ১২৬৬ উইকেট সাথে ৮৫৮ ক্যাচ! একজন অলরাউন্ডার হতে এটাই কি যথেষ্ট নয়? উত্তরটা হ্যা হলেও কোথাও একটা শূন্যতা থেকেই যায়। কেননা হুপার তার প্রতিভার অর্ধেকও বিকাশ ঘটাননি। অথচ প্রবল সম্ভাবনাময় এক ক্রিকেটার ছিলেন হুপার। ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, ভিভ রিচার্ডস, ম্যালকম মার্শাল, ডেসমন্ড হেইন্স আর কোর্টনি ওয়ালশদের মতো ক্রিকেটারদের সতীর্থ। এখানে সতীর্থ বললেও ভুল হবে, কেননা হুপার পেয়েছিলেন তাদের সান্নিধ্য! তবুও হুপার নিজেকে মেলে ধরেননি কোনো এক অজানা কারণে।
অথচ ওয়ার্নকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারা কিংবা ওয়াসিম আকরামের নাভিশ্বাস তুলে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলেন হুপার। যেই ওয়ার্নের স্পিন সামলাতে হিমসিম খেয়েছিলো বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটাররা সেখানে হুপার ছিলেন অনবদ্য, ছিলেন ওয়ার্নের গলার কাঁটা। কথাটি ওয়াসিমের ক্ষেত্রেও বলা যায়। একবার এক সাক্ষাৎকারে হুপারকে নিয়ে বলতে গিয়ে ওয়াসিম বলেছিলেন, “হুপার যেদিন খেলেন, সেদিন বাকীরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেন!” এতেই আপনি আন্দাজ করতে পারেন হুপার কতোটা প্রতিভা নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে পা রেখেছিলো!
১৮ দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, ম্যাচে পাঁচ উইকেটের সাথে ফিফটি কিংবা দারুণ সব ক্যাচ নিয়ে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেওয়া, এর সবটাই করে দেখিয়েছেন হুপার। একজন হুপারের অতীতে ফিরলে ভেসে আসবে কিছু সোনালী স্মৃতি, যেখানে হুপার থাকবে রাজার বেশে, যেনো সেদিনেরর পুরোটাই ছিলো তার! এবার ফিরে দেখা যাক হুপারের সোনালী অতীতে।
• ১৮৮৭ সাল, ইডেন গার্ডেন ও হুপারের তিন অঙ্কে পৌঁছা…
সবেমাত্র নিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে মেনেছিলেন হুপার। যতক্ষণে বাইশ গজে পা রেখেছিলেন ততক্ষণে গ্রিনিজ মেতেছিলো সেঞ্চুরির উদযাপনে। পিছিয়ে ছিলোনা রিচার্ডসনও! বিপক্ষে বল হাতে কপিল দেব, চেতন শর্মা তো ছিলেনই। তবুও যেনো হুপার একটুকুও ভয় পাননি। ছয় নাম্বারে নেমে দারুণ সব বাহারি শটে মেতেছিলেন সেঞ্চুরির উদযাপনে। হুপার সেদিন যেনো জানান দিতে চেয়েছিলেন তিনি বিশ্বকে কিছু দিতেই এসেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে।
• যেই ইনিংসটি হুপারকে চিনিয়েছিলো নতুন করে…
১৯৯৭ সালের স্মৃতি, দলের বিপদে লালার সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪৪ রান! তখনও যেনো তাকে নিয়ে এতো আলোচনা নেই। কিন্তু ওয়ার্নকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির উদযাপনে মাতা হুপারকে নিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষে যেনো এক প্রকার ঝড় তুলেছিলেন রিচি বেনো! যেটিকে বলা হয় কথার ঝড়। সেদিন হুপারের অনবদ্য ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিলো ৭ বল হাতে রেখেই।
হুপার যেনো সেরাদের বিপক্ষে যমদূত হতে হাজির হতেন! তৎকালীন সময়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলো ওয়ার্ন, ক্রেগদের মতো বোলার। পাকিস্তান দলে ছিলো ওয়াসিম আকরাম ওয়াকার ইউনুসদের মতো বোলার। অনিল কুম্বলে কিংবা ডোনাল্ডদের বিপক্ষেও খেলেছেন দারুণ ভাবে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে টেস্টে রয়েছে ১০০০+ রান, পাকিস্তানের পেস বোলারদের বিপক্ষে ২ রানের জন্য হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেননি হুপার। তবুও তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা একজন।
ব্যাকফুটে দারুণ সব শট, মূহুর্তেই পায়ের পজিশন বদলে ফেলা হুপার ছিলেন স্ট্রোক মেকারও! আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ে যতোটা দর্শকদের আনন্দ দিতেন তার চেয়ে বেশী হতাশায় ডুবিয়েছেন নিজেকে। তবুপ হুপারের যেনো কোনো আফসোসই ছিলোনা, ছিলোনা নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা। তবুও তার প্রতিভা তাকে এগিয়ে নিয়েছে বেশ খানিকটা পথ। এবার এগিয়ে নেওয়া পথের কিছু স্মৃতিচারণ করা যাক।
• টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে ফিফটি ও পাঁচ উইকেটের ঘটনা রয়েছে অনেক, যেখানেও নিজের নামটি লিখেছেন হুপার। ২৯ তম বয়স্ক ব্যাটার হিসেবে মেতেছেন ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপনেও! ব্যাটার কিংবা বোলার হুপারের গল্প এড়িয়ে গেলেও ফিডার হুপার যে এড়িয়ে যেতে দিবেনা। ওয়ালশ কিংবা অ্যমব্রোসদের বলে স্লিপে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে কতো যে ক্যাচ নিয়েছেন সেটি বলা বাহুল্য। রয়েছে এক ইনিংসে ৪ টি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডও! আবার একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ডাক মারার রেকর্ডেও যুক্ত হুপার। রঙিন পোশাকেও ছিলেন না পিছিয়ে। এর মাঝে সাদা পোশাকে তৎকালীন সময়ে ৬৩ টি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে হুপার বেশ দারুণ পারফর্মার ছিলো সেটি বলতেই হয়।
ঐ যে বললাম রঙিন পোশাকেও ছিলেন না পিছিয়ে। ৫৭৬১ রানের সাথে ১৯৩ উইকেট; একজন অলরাউন্ডার হতে আর কি লাগে? রয়েছে এক ম্যাচে চার চারটি ক্যাচ নেওয়ারও স্মৃতি। ২৯ বার ছিলের দলের টপ রান সংগ্রাহক! বল হাতে সর্বোচ্চ স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলা টপ ছয় বোলালের একজন হুপার কট এন্ড বোল্ড আউট করার স্মৃতিতে আছেন ১৮ বার। ১৯৩ উইকেটের ৬০ উইকেট নিয়েছেন বোল্ড আউটের মাধ্যমে। স্মরণীয় হয়ে আছেন দারুণ কিছু ইনিংস খেলে। এবার তার কিছু ইনিংস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
• বিপদের দিনে হুপের সেরা ইনিংস:
পরিসংখ্যান বলে হুপ দলকে বিপদেই ঠেলে দিতেন বেশ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অপ্রয়োজনীয় শট কিংবা আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে যেই মানুষটি নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে সাজঘরে ফিরতেই সেই মানুষটি ভারতের বিপক্ষে দলের বিপদে খেলেছিলেন দারুণ একটা ইনিংস। ১০৩ রানে চার উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পুঁজি এনে দিয়েছিলেন ২৭৮ রানের, যেখানে হুপারকে আউট করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা। তবে ১২ চার ও ২ ছক্কায় হুপার খেলেছিলেন ১১৩ রানে অনবদ্য ইনিংস। হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
• ১৩২ বলের মোকাবিলায় ৩ চারে ৫৯!
কি ভাবছেন এটি টেস্টের ঘটনা? একদমই না। ঘটনা বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৪৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ রানেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেখান থেকে নিজের সহজাত ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে এসে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছিলেন হুপার। হুপারের ৫৯ রানের অপরাজিত এই ইনিংসটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়েছিলো ফাইনালে। এই ইনিংসটি হুপারের অন্যতম সেরা ইনিংস বলতে দ্বিধা থাকার কথা নয়।
এবার বিশ্ব ক্রিকেটে ফেরা যাক। যেখানে হুপের সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা মিলেছে নানান রথি- মহারথিদের। পরিসংখ্যান বলে ১৯৮৭-২০০৩ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় লালার পরেই ছিলো হুপের স্থান। এখানেই শেষ নয় বিশ্ব ক্রিকেটের রঙিন পোশাকে ব্যাট হাতে ৫ হাজার রান ও বল হাতে কমপক্ষে ১৫০ উইকেট শিকারী চার বোলারের একজন ছিলেন হুপার। এছাড়াও সাদা পোশাকে ৫ হাজার রান ও ১০০ উইকেট শিকারী ২ ক্রিকেটারের একজন হুপার, অপরজন জ্যাক ক্যালিস।
এবার ওয়ানডে ও টেস্ট এক করলে যেটার দেখা মিলবে সেখানো হুপার যেনো রয়েছেন কিংবদন্তিদের তালিকায়। তার সময়কালে দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশী রান ও ৩০০ এর বেশী উইকেট শিকারী ৩ ক্রিকেটারের একজন এই হুপার। তালিকায় বাকি দুই মুখ ক্যালিস ও সনাৎ জয়াসুরিয়া।
অলরাউন্ডার হুপারকে তো বেশ জানা হলো। ক্যারিয়ার জুড়ে বেশকিছু তারকা ক্রিকেটারের সাথেই লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু নিজের প্রতি অবহেলা তাকে যেনো আলোচনা থেকে দূরে ঢেলে দিয়েছে। এর মাঝে লালার সাথে তার জুটিও জমেছিলো বেশ। ওয়ানডে ও টেস্টে ৯৪ ইনিংসে ৪৫ গড়ে তাদের যুগলবন্দীতে এসেছে ৪০৫৭ রান!
• যেখানে হুপার অনন্য উচ্চতায়!
ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ইতিহাস বেশ পুরোনো। সেখানেও ব্যাট হাতে বাইশ গজ মাতিয়েছেন হুপার। এখানেই পৌঁছে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কেন্ট ও ল্যাঙ্কশায়ারের হয়ে মাঠ মাতানো হুপার সেঞ্চুরির উদযাপনে মেতেছিলেন বেশকিছুবার। যেখানে ১৮ টি ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে তার। কাউন্টি ক্রিকেটে এমন ঘটনার দেখা মিলেছে ৩ বার, যার একটি হুপারের হাত ধরেই।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১৯৩ বার অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া হুপার ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলো ঠিক ১০৪ টি, সাথে ২৪৫ টি হাফ সেঞ্চুরি তো রয়েছেই। এইসবের ভীড়ে তিনি অন্য একটা কারণে আলোচনায় আসতে বাধ্য! অস্ট্রেলিয়ার ঘূর্ণি জাদুকর ওয়ার্নকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে সাবলীল ভাবে ছক্কা হাঁকানো হুপার যেনো ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনন্তকাল।
অথচ এই হুপারের ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার শেষ হতে পারতো ১৯৯৯ সালেই! মানুষ যে আবেগের দাস সেটিই যেনো প্রমাণ করেছিলো হুপার। পরিবারের পাশে থাকবেন বলে বিদায় জানিয়েছিলেন ক্রিকেটকে। তবে তিনি ফিরেছিলেন ক্রিকেটে, যদি না ফিরতেন তাহলে বেশকিছু রেকর্ড যেনো অপূর্ণই রয়ে যেতে। তবে আবেগী হুপারের ফেরাটা ছিলো রাজকীয় ভাবেই, ফিরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হয়েই।
রঙিন পোশাকে অধিনায়ক হুপার খুব বেশী আলো ছড়াতে না পারলেও সাদা পোশাকে কাপ্তান হুপার ছিলেন দারুণ এক পারফর্মার। ২২ ম্যাচে প্রায় ৪৬ গড়ে ১৬০৯ রান করা হুপার টেস্ট ক্যারিয়ারের একটি মাত্র ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন কাপ্তান হয়েই!
সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার রান ও ১২৬২ উইকেটের মালিক হুপার ক্যাচ নিয়েছেন ৮৫৮ টি! এর চেয়েও স্মরণীয় হয়ে থাকবে স্লিপে নেওয়া কিছু ক্যাচের কারণেই। বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যরকম ডাবলে যিনিই ছিলেন প্রথম তিনি তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন বেশ আগেই। ব্যাট – বল তুলে রাখলেও ছাড়তে পারেননি ক্রিকেটের মায়া। হুপার উডভিল ক্রিকেট ক্লাব এবং স্যাগিকর হাই পারফরম্যান্স সেন্টার সহ বেশ কয়েকটি ক্রিকেট ক্লাবকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন তিনি।
শেষটা করবো অন্যরকম একটা তথ্য দিয়ে! যেটিকে অদ্ভুতও বলা যায়। কেননা হুপারের আন্তর্জাতিক রান দুই ফরম্যাটে যথাক্রমে ৫৭৬১ ও ৫৭৬২! তথা আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটের চেয়ে মাত্র এক রান বেশি টেস্ট ক্রিকেটে। ইতিহাসে এমন অদ্ভুত পরিসংখ্যানের দেখা মিলেছে খুবই কম।
ক্রিকেট মাঠে ব্যাটে বলে জৌলুস ছড়ানো হুপার ছিলেন নিপাঁট এক ভদ্রলোকও! বাইশ গজে ওয়ার্ন-ওয়াসিমদের বিপক্ষে সাবলীল ক্রিকেট খেলে যাওয়া হুপার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কিংবদন্তি। বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের তালিকায় যার নাম থাকার কথা বেশ উপরেই সেই তিনি যেনো আন্ডাররেটেড কোনো এক অজানা কারণে। বিশ্ব ক্রিকেটের আন্ডাররেটেড এই ক্রিকেটার ব্যক্তিজীবনে ৫৪ পেরিয়ে পা রেখেছেন ৫৫ বছরে।
শুভ জন্মদিন কার্ল হুপার!