ফাইনাল তো এমনি হওয়া উচিত। প্রতিটা মূহুর্তে টানটান উত্তেজনা; চাপকে জয় করে ড্র্যাকস চালিয়েছেন ব্যাটিং তাণ্ডব। ফাইনাল ম্যাচটি হয়েছে ফাইনালের মতোই। যেখানে শেষ বলের নাটকীয়তায় নবম আসরের শিরোপা জিতেছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
ফাইনালে টস ভাগ্যে জয়ী সেন্ট লুসিয়া কিংস নিয়েছিলো ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। কনওয়ের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া লুসিয়া ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও চেজ-কনওয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর হঠাৎই জমে ওঠে ম্যাচ, শেষ দিকে পল চালায় ব্যাটিং তাণ্ডব। মাত্র ২১ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রানে পল আউট হলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে লুসিয়া সংগ্রহ করে ১৫৭ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে চেজ ও কনওয়ের ব্যাটে। প্যাট্রিয়টস বোলারদের পক্ষে নাসিম ও ফাওয়াদ ২ টি উইকেট শিকার করেন।
শিরোপা উল্লাসে মাততে প্যাট্রিয়টসের প্রয়োজন দাঁড়ায় ঠিক ১৫৮ রান। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে ব্রাভোর দল; শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন ক্রিস গেইল। এরপর দলীয় ২৬ রানে লুইসের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া প্যাট্রিয়টস ডি সিলভা ও রাদারফোর্ড দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেও প্রয়োজনীয় রান রেট হিসেবে রান তুলে না পারলে চাপে পড়তে থাকে প্যাট্রিয়টস! সেই চাপকে জয় করতে গিয়ে ৯৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্রাভোর দল।
সেখান থেকে ম্যাচ জমিয়ে দেন ডমিনিক ড্র্যাকস। সাথে এ্যালেনও খেলেন ক্যামিও! ড্র্যাকসের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ বলে জয় পায় ব্রাভোর সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। ড্র্যাকস ২৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ে। সেন্ট কিটস জয় পায় ৩ উইকেটে। সেই সাথে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) নবম আসরে এসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
সেন্ট লুসিয়া কিংস : ১৫৯/৭ (২০ ওভার)
কর্নওয়াল ৪৩, চেজ ৪৩
নাসিম ২৬/২, ফাওয়াদ ৩২/২
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস : ১৬০/৭ (২০ ওভার)
ড্র্যাকস ৪৮*, ডা সিলভা ৩৭
ওয়াহাব ৩৬/২, আলজারি ২২/১
ফলাফল: সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ৩ উইকেটে জয়ী।
হিরো অব দ্য ফাইনাল: ডমিনিক ড্র্যাকস।
হিরো অব দ্য টুর্নামেন্ট: রোষ্টন চেজ।