Who Wants to be KING…!!

Mehrab Elahi
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২১ জুন, ২০২০
  • শেয়ার করুন

  • Facebook

র‍্যাগনার লথব্রোক, বিয়র্ন আয়রনসাইড, ল্যাগার্থা বা রোলো, আইভার দ্য বোনলেস বা ফ্লোকি দ্য বোট বিল্ডার_ নামগুলো কেমন পরিচিত লাগছে তাই না। এগুলো হচ্ছে হিস্টরি এর বিখ্যাত সিরিজ “ভাইকিংস” এর ক্যারেক্টার৷আর উপরের টাইটেলটা সেই ভাইকিংস সিরিজেরই। আজকের গল্পটা সেই “ভাইকিংস” দের নিয়েই।

৮ম শতক থেকে বিপুল পরিমাণ স্ক্যান্ডেনেভিয়ান মানুষ নিজের ভাগ্যর আশায় পশ্চিমে পাড়ি দেয়। তাদের ধ্যান জ্ঞ্যান সবছিল ওই সমুদ্রেই। উত্তর থেকে তারা আসে বিধায় তাদের নাম হয় নর্সম্যান। ভাইকিংসরা কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট জাতিস্বত্তা না। নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ, ড্যানিশসহ অনেক জাতির মানুষ মিলে ভাইকিংসদের উদ্ভব । ভাইকিংসরা এমন এক জাতি যাদের সামনে এংলো স্যাক্সনরা দাঁড়াতেই পারতোনা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হুট করেই আক্রমণ করতো আবার হূট করেই সমুদ্রে মিলিয়ে যেতো। মজার বিষয় এই এংলো স্যাক্সনরাই ২০০ বছর আগে এই ইংল্যান্ড দখল করেছিলো আর আজ তারাই ভাইকিংসদের সামনে হাঁটু ভেঙে পড়ে গিয়েছে।

৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের উত্তরপূর্ব উপকূলের লিন্ডেসফার্নের মোনাস্ট্রিতে আক্রমণ করে লুটতরাজ করে তারা। এইভাবে একের পর এক অংশ দখলের পর তারা এসে বসলো ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে। তবে বারবার আক্রমণ করেও তারা ফ্রান্সে ঢুকতে পারছিলোনা। তবে এরপর বেশ কিছু ভয়ংকর আক্রমণের পর যখন ফ্রান্স হাতছাড়া হবার পথে তখন ফ্রান্সের রাজা চার্লস ভাইকিংসদের রাজা রোল্লোকে উত্তরাঞ্চলের বিশাল অংশ দিয়ে দেন। যে অংশে তারা বসবাস শুরু করে সেই অংশের নাম ছিলো নরম্যান্ডি। তো তারা সেই অঞ্চলে বেশ ভালো ভাবেই নিজেদের মানিয়ে চলা শুরু করেছে। ভাইকিংসরা ছিলো প্যাগানস ধর্মের অনুসারী। তাদের নিজস্ব দেব দেবি ছিলো। থর, ওডিন, লোকি ছিল তাদের দেবতা। তো সেই নরম্যান্ডি থাকাকালে ভাইকিংসরা আস্তে আস্তে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। নিজেদের ফ্রান্সের সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে নেয় কিন্তু তাদের মাঝে সেই যুদ্ধের মনোভাব ঠিকই রয়ে গেলো।

নরম্যান্ডির ডিউক উইলিয়াম ও তার দল জাহাজ নিয়ে ইংল্যান্ডের হেস্টিংয়ে নামেন। সেখানে রাজা হেরাল্ডের সাথে ভয়াবহ যুদ্ধ হয় নরম্যানদের। ওহ আচ্ছা, তাদেরকে নর্সম্যানও বলা হতো। ল্যাটিন নর্স থেকে ইংরেজি নর্থ আর সেখান থেকে নরম্যান। তো নরম্যানদের সাথে কিং হেরাল্ডের সেই যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ৭০ মিটারের এক দেয়াল চিত্র রয়েছে। যেখানে কিং হেরাল্ডের চোখে বর্শার আঘাতকে নরম্যানদের বিজয় হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইতিহাসে ডিউক অব নরম্যান্ডি উইলিয়ামকে বলা হয় “ উইলিয়াম দ্য কনকোয়েরার” আর এই ঘটনাকে বলা হয় “দ্য নরম্যান কনকোয়েস্ট”।

এরপর ওয়েলস, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে ছডিয়ে পড়ে আর নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে। এরপর তারা জেরুজালেমের উপকথা শুনে মেডিটোরিয়ান অঞ্চলে যাত্রা শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যে তারা যুদ্ধ শুরু করে নিজেদের বিস্তার করতে থাকে। ১০৯৫ থেকে ১০৯৯ পর্যন্ত চলা প্রথম ক্রুসেড যুদ্ধেও নরম্যানরা অংশ নিয়েছিলো।

দুই নরম্যান উইলিয়াম আয়রানভ এবং রবার্ট ক্রাফটি ইতালির উপকূলে সিসিলি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। রাজা দ্বিতীয় রজারের সময় সিসিলি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতির নিদর্শন হয়। মুসলমান কবি পন্ডিতরা সিসিলির রাজ্যসভায় অংশ নিতেন। আর এই ভাবেই নরম্যানরা বদলে দিয়েছিলো পুরো ইউরোপকে।

ভাইকিংস বা নরম্যান বা প্যাগানসদের সময় উইল্ডে বসবাসকারী তাদের শিশুরা ক্রিকেট খেলা শুরু করে। ইংল্যান্ডের ক্যান্ড আর সাসেক্সের মাঝখানে এক বিশাল অরণ্যর মাঝে একটা ফাঁকা জায়গা ছিলো আর সেইখানেই শুরু হয় ক্রিকেট যাত্রা। ১১৮৩ খ্রীস্টাব্দে জোসেফ অব এক্সেটার নামক লেখকের লেখা থেকে জানা যায় ১০৬৬ খ্রীস্টাব্দে নরম্যানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর তারা তাদের বিনোদনের জন্য ব্যাট বলের খেলা শুরু করে। এবং তাদের দ্বারাই ক্রিকেটের প্রসার হয়। তারা ক্রিঘ বা ক্রিকে নাম দিয়ে সপ্তাহের রোববার খেলাটি খেলতো৷

এরপর নেমে আসে ক্রিকেটের অন্ধকার সময়, রাজা দ্বিতীয় রিচার্ডের মাথায়া আবার রাজ্য জয়ের ভূত চাপে। ক্রিকেটের কারণে তিনি তার সৈন্যদের পেতনা। আর এরপর তিনি ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করেন। কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্রিকেট খেলতো তাহলে তাকে শাস্তি দেয়া হতো।

এরপর ১৫০০ সালের পর থেকে আবার ক্রিকেটের জনপ্রিয়টা বাড়তে থাকে। ততদিনে ইউরোপে রাজ্য জয় শেষ হয়। নরম্যানরা আস্তে আস্তে মিশে যেতে থাকে ইউরোপিয়ান সংস্কৃতিতে। যেই ব্রিটিশরা একসময় পুরো বিশ্ব শাসন করতো, সেই ব্রিটিশদেরই একঘরে করে রেখেছিলো নরম্যানরা। অসভ্য জাতি থেকে নিজেদের নিয়ে আসে এক সভ্য জাতিতে। শিক্ষা সংস্কৃতিতে নিজেদের নিয়ে যায় এক অন্য উচ্চতায়। এরপর এংলো স্যাক্সন আর নিজেরা মিলে পুরো বিশ্বকেই বদলে তারা। আর তাদের হাত ধরেই আজকের ক্রিকেটের শুরু।

ক্রিকেটকে বলা হয় জেন্টেলম্যানস গেইম। অভিজাত মানুষের খেলা ছিলো এই ক্রিকেট আর বর্তমানে এটি সব মানুষের প্রিয় খেলা। প্রতিটা খেলায়ই হারজিত থাকে। তবে কিছু ম্যাচর থাকে যেগুলো বিয়ন্ড এভ্রিথিং। হাজার বার দেখলেও বারবার দেখতে মন চাইবে সেগুলো।

১৯৯৯ বিশ্বকাপ, সেমিফাইনাল আর ভেন্যু এজবাস্টন। মুখোমুখি দুই পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া আর সাউথ আফ্রিকা। একদিকে গিলি, পন্টিং, ওয়াজ ব্রাদার্স, বেভান, মুডি, ওয়ার্ন, ম্যাকগ্রা আরেকদিকে গিবস, ক্যালিস, রোডস, ক্লুজনার, পোলক, বাউচারের মতো ভয়ংকর সব প্লেয়াররা৷ ২১৪ রানের টার্গেটে ব্যাটে নাম সাউথ আফ্রিকা। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে কাভার আর লং অফ দিয়ে চার মেরে নিজেদেরকে জয়ের কাছে নিয়ে গেলেন ক্লুজনার, তৃতীয় বল ডট আর চতুর্থ বলে ডোনাল্ডের খেপাটে দৌড়ে রান আউট। ফলাফল ম্যাচ ড্র। সেই সময় সুপার ওভারের সিস্টেম ছিলনা। আর তারজন্য রান রেট বিবেচনায় ফাইনালে যায় অস্ট্রেলিয়া।

২০০৫, এজবাস্টন। চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামলো অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর ম্যাথু হেইডেন। এক অদ্ভুত সুন্দর ইনিংসের শুরু, জাস্টিন ল্যাঙ্গারের অফের দিকে মারা চারগুলো যেন এক একটা ব্যাটিং কাব্য। কিন্তু না দলীয় ৪৭ রানেই থামতে হলো তাকে, ফ্লিনটফের বলে বোল্ড। নামলেন দ্যা পান্টার অর্থাৎ রিকি পন্টিং কিন্তু প্যাভিলিয়নে ফিরলেন শূন্য রানে। তারপর মার্টিন, ক্লার্ক, কেটিচ, গিলক্রিস্ট, গিলেস্পি, ওয়ার্ন সবাই ব্যর্থ। ২২০ রানে ৯ উইকেট শেষ। ২২ গজে তখন ব্রেট লি আর ক্যাসপ্রোউইচ। তারপর শুরু আরেক ক্রিকেটীয় কাব্য লেখা। সেদিন সেই দুইজনের ব্যাটিং দেখে সবাই ভেবেছিলো এজবাস্টনের ইতিহাস সেদিন অস্ট্রেলিয়াই লেখবে, কিন্তু না সে আর হলো না। ব্রেট লি পারলো না নায়ক হতে। ৩ রান আগে থেমে গেলো কাব্য লেখা। হার্মিসনের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় ক্যাসপ্রোউইচ। এশেজের এই ম্যাচকে বলা হয় গ্রেটেস্ট ম্যাচ অফ এশেজ হিস্টোরি।


বিশ্বকাপ ২০১৯; ফাইনাল- লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ওল্ডেস্ট অব দ্য হিস্টরী। ‘৯৯ এর পর ক্রিকেট সেবার ফিরেছিলো নিজের আঁতুড়ঘরে। ফাইনাল ম্যাচ, ৩০ হাজার দর্শকে ঠাঁসা গ্যালারি। একদিকে স্বাগতিক ইংল্যান্ড আরেকদিকে ব্ল্যাক ক্যাপস। ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বোল্টের স্লোয়ার বলকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে মাঠ ছাড়া করলেন স্টোক্স। স্টোক্স তখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কাপের নেশায়। এরপরের বল ফুলটস এবং ডিপ মিড উইকেট দিয়ে আরেকটা ছক্কা। দুই বলে দরকার তখন তিন রান। ফিফটি – ফিফটি মোমেন্ট। ওভারের পঞ্চম বলে স্টোকস দুইরান নেয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু একরান নিতে পারলেন আরেক রান নেয়ার সময় আউট হয় আদিল রশিদ। শেষ বল দুই রান, স্ট্রাইকে স্টোক্স, আবারো দুই রান নেয়ার চেষ্টা কিন্তু পারলেই একরান নিতে ওইদিকে আউট হলেন উড। ফলাফল ম্যাচ টাই। এরপর সুপার ওভার, সেখানেও টাই এবং নাটকীয় ভাবে শেষ বল কিন্তু সেই রান আউট। শেষে ম্যাচের ফলাফল আনা হলো বাউন্ডারি হিসেবে, চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

২০১৯, হেডিংলি। ১৯৮১ সালের ইয়ান বোথাম সেদিন ফিরেছিলেন হেডিংলিতে সাথে গ্রাহাম ডিলি। বিখ্যাত ১১৭ রানের জুটি সেদিন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে হেডিংলিতে মিরাকল সৃষ্টি করেছিল। হ্যাঁ তারা ফিরেছে তবে বোথাম ফিরেছে স্টোকস রুপে আর গ্রাহাম ডিলি ফিরেছে জ্যাক লিচ হিসেবে। এইবার চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। টার্গেট ৩৫৯। শুরুতেই ব্যর্থ দুই ওপেনার বার্নস এন্ড রয়। তারপর রুট আর ডেনলি পার্টনারশিপ স্বপ্ন দেখায় জয়ের। কিন্তু দলীয় ১৪১ রানে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ডেনলি। আসেন স্টোকস এবং কিছুক্ষণ পরেই আউট হন রুট। এরপর একে একে বাইশ গজ থেকে ফিরেন বেয়ারস্টো, বাটলার, ওকস, আর্চার, ব্রড। ২৮৬ রান ৯ উইকেট। ক্রিজে আসেন এক চশমা পরা প্লেয়ার, নাম জ্যাক লিচ। বারবার হেলমেটের ফাঁক দিয়ে চশমা বের করে পকেটের থেকে চশমা মোছার রুমাল নিয়ের চশমা মুছছিলেন। বিপরীত প্রান্তে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে বেন স্টোক্স। জয়ের জন্য রান বেশি নেই তখন। টেস্ট মেজাজকে পুরোপুরি ওয়ানডে মেজাজে নিয়ে গিয়েছেন তখন। মোটামুটি সব বলকেই বাউন্ডারি ছাড়া করছেন। ড্রেসিং রুমে সেদিন জাস্টিন ল্যাঙ্গার আছেন, যিনি ছিলেন সেই ২০০৫ এর গ্রেটেস্ট টেস্টে। পাশে বসা ছিলেন ইঞ্জুরিতে থাকা স্টিভেন স্মিথ। ল্যাঙ্গারের চোখে তখন এজবাস্টনের সেই হারের প্রতিশোধ এর ছবি ঘুরছে। মাঠে একদিকে জ্যাক লিচ ১০ বলে শূন্য রান নিয়েছেন। প্যাটিনসন, কামিন্সের আগুনের সব বল মোকাবেলা করছেন তিনি। আর বিপরীতে –

121.1 – Hazlewood to Stokes, FOUR runs

Short outside off, smoked through wide long-on! Rocks back and hammers this to the boundary – hundred for Stokes, but he’s not interested. Work still to do, he nods his head and then returns to his crease।

আহ স্টোকস, একজন পুরোদস্তুর বোলারকে নিয়ে করে ফেললেন ক্যারিয়ারের সেরা সেঞ্চুরি। তবে নাটক এখনো বাকি। ৩৫৭ রান, ১২৪ ওভারে আসলে নাথান লায়ন। নিজের পঞ্চম বল করলেন, স্টোকস করলেন রিভার্স সুইপ, এবং বল গেল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফিন্ডারের কাছে। এদিকে লিচ মহাশয় বের হয়ে গেলেন ক্রিজ থেকে আর ফিল্ডার থ্রো করলেন লায়নের কাছে। দ্যা গেইম চেঞ্জ ফর এনাদার টাইম এন্ড লায়ন মিসড ইট। লিচকে তখন স্রেফ এক পাড়ার ক্রিকেটারের মতোই লাগছে। এর পরের বল স্টোকসের স্লগ সুইপ খেললেন, কিন্তু বল ব্যাট মিস করে লাগলো প্যাডে। আবেদন কিন্তু আম্পায়ারের না। এন্ড গেইম চেঞ্জ ফর দা ফাইনাল টাইম এন্ড দেয়ার ওয়াজ নো রিভিউ ফর অস্ট্রেলিয়া। বলটি মিডল স্ট্যাম্প আর লেগ স্ট্যাম্পে হিট করেছিলো। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয় নি অজিদের। পরের ওভারের চতুর্থ বল, কামিন্স টু স্টোকস এবং কভার দিয়ে চার। হেডিংলিতে মিরাকল। এবার নায়ক বেন স্টোকস। ২০০৫ এ অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি পারেন নি কিন্তু ২০১৯ এ এসে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস নায়ক হলেন। নিজেকে জানান দিলেন হেডিংলিতে। ড্রেসিংরুমের ডাস্টক্যানে লাথি মেরে আরেকবার আক্ষেপ করলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। স্টোকসের এই ইনিংস হাজার হাজার বছর ধরে ক্রিকেটীয় ইতিহাসে মাথা তুলে থাকবে

ক্রিকেটের শুরুর গল্পটা যেমন আকর্ষণ করে তেমনি ক্রিকেট খেলাটাও আকর্ষণ করে। নরম্যান থেকে আজকের দিনের ক্রিকেট ইতিহাসে ভরপুর। উপরের ম্যাচ গুলোর মতো আরো অনেক ম্যাচ আছে যেগুলো ধরতে গেলে একপ্রকার মিরাকল। ভাইকিংসদের সেই সময়কার বর্বরতার কারণে তারা ছিল ঘৃণিত এক জাতি আর সেই জাতির প্রবর্তন করা খেলা আজ আমরা প্রতিদিন খেলি। উপভোগ করি। সুতরাং বলাই যায়, দ্য কিং ইজ ক্রিকেট….!!!

 

,

মন্তব্য করুন

এই বিভাগের আরো খবর