অস্ট্রেলিয়ার বৈরি আবহাওয়ার কালো ছায়া যেনো তাদের জাতীয় ক্রিকেট দলেও পড়েছিলো। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ, বৃষ্টিতে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচ ভেসে যাওয়া অজিদের সেমিফাইনাল খেলতে হলে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না। ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের অফ ফর্ম আর করোনার থাবায় যেনো স্বপ্নে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো অজিদের। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানের জয়ে স্বস্তি ফিরেছে অজি শিবিরে। করোনা নেগেটিভ হয়ে একাদশে ফিরেছেন অ্যাডাম জাম্পা ও ম্যাথু ওয়েডও।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের একমাত্র ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় আয়ারল্যান্ড। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আয়ারল্যান্ড দলপতি অ্যান্ড্রু বালবির্নি। ওপেনিংয়ে এবারো নিজের ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। চলতি বিশ্বকাপে তার রান সংখ্যা যথাক্রমে ৫, ১১ ও ৩। তৃতীয় উইকেটে অধিনয়াক অ্যারন ফিঞ্চের সাথে জুটি বাঁধেন মিচেল মার্শ। এ দুজনের ৫২ রানের জুটিতে ওয়ার্নারের দ্রুত ফিরে যাওয়ার ধাক্কা সামলিয়ে উঠে অজিরা। এরপর মিচেল মার্শ ২৮ রানে ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন ফিঞ্চ।
১১ তম ওভারে দলীয় ৭৪ রানে জোশ লিটলের শিকার হয়ে মার্শ ফিরে গেলে মার্কোস স্টোইনিসকে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার চেষ্টা করেন অজি অধিনায়ক। ৬ ম্যাচ পর নিজের অর্ধশতক তুলে নিয়ে ফিরে যান ৬৩ রানে। এরপর স্টোইনিসের ৩৫ রান ও টিম ডেভিডের ১৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৯ রান।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যারি ম্যাকার্থি ৩ টি ও জোশ লিটল ২ টি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৫ রানেই ৫ উইকেটের দলে পরিণত হয় আয়ারল্যান্ড। সকলের ব্যর্থতার দিনে লোরকান টাকারের কথা আলাদা ভাবেই বলতে হয়। একপাশে দাঁড়িয়ে দেখেছেন সতীর্থদের আশা যাওয়ার লড়াই, অপরপ্রান্তে লড়েছেন নিজে একাই। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলে হারের ব্যবধানটা কিছুটা কমাতে পেরেছেন শুধুমাত্র। ইনিংসের ১১ বল বাকি থাকতেই তার দল অলআউট হয়েছে ১৩৭ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাডাম জাম্পা সকলেই ২টি ও মার্কোস স্টোইনিস ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এ জয়ে ৪ ম্যাচের ২ জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান এখন পয়েন্ট টেবিলের ২ এ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১৭৯/৫ (২০ ওভার)
অ্যারন ফিঞ্চ ৬৩, স্টোইনিস ৩৫, মিচেল মার্শ ২৮
ব্যারি ম্যাকার্থি ২৯/৩, জোশ লিটল ২১/২
আয়ারল্যান্ড ১৩৭/১০ ( ১৮.১ ওভার)
লোরকান টাকার ৭১, গ্যারেথ ডেলানি ১৪, পল স্টারলিং ১১
অ্যাডাম জাম্পা ১৯/২, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৪/২, প্যাট কামিন্স ২৮/২
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৪২ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: অ্যারন ফিঞ্চ।
