৫১২ রানের বিশাল টার্গেট। ভারতের বিপক্ষে এত বিশাল রানে জিততে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই টেস্ট ইতিহাসের পাতা নতুন করে লিখতে হতো। তবে কুলদীপ, প্যাটেলদের বোলিংয়ের সামনে ৫ম দিনে টেনে নিয়ে যাওয়াটাই হয়তো এই টেস্টে বাংলাদেশের সফলতা। ব্যাটারদের ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়, ফিল্ডারদের অংসখ্য ক্যাচ মিস আর ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলার সংকটে পড়া বাংলাদেশের এই টেস্টে এরচেয়ে বাড়তি কিছু কশা করাও বোকামি।
চতুর্থ দিনে অভিষিক্ত জাকির হাসানের সেঞ্চুরি ও নাজমুল শান্তর ৬৭ রানের সুবাধে প্রথম দুই সেশন প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলো বাংলাদেশ। শান্ত আউট হলে ইয়াসির আলী, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমরা দায়িত্ব নিতে পারেনি টেস্ট বাচাঁনোর। ফলে লাঞ্চের পর থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে।যায় ভারতের হাতে। শেষ বিকালে মিরাজকে নিয়ে একাই দিন শেষ করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
২৭১ রান নিয়ে ৫ম দিনের ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের দিনের ৯ রানের সাথে মাত্র ৪ রান যোগ করেই ড্রেসিরুমের পথ ধরেন মিরাজ। এরপর অধিনয়াক সাকিব একাই চেষ্টা করেন দলকে এগিয়ে নিতে। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০ তম অর্ধশতক। সর্বশেষ ৫ বছর আগে সাদা পোশাকে সেঞ্চুরি পাওয়া সাকিব ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর। তবে ১০৮ বলে ৬ টি চার ও সমান ৬ এ ৮৪ রানে থামে সাকিবের লড়াই। এরই সাথে অঘোষিত ভাবে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। সাকিব আউট হওয়ার ১০ বলের ব্যবধানে ফিরে যান তাইজুল, এবাদত। চতুর্থ বারের মতো চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ পেরোনো বাংলাদেশ থামে ৩২৪ রানে।
বাংলাদেশ কে ১৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টেস্টে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভারত
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত প্রথম ইনিংস ৪০৪/১০
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১৫০/১০
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ২৫৮/২ (ডি.)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ৩২৪/১০
জাকির ১০০, শান্ত ৬৭, সাকিব ৮৪, মুশফিক ২৩, লিটন ১৯, মিরাজ ১৩, ইয়াসির ৫, সোহান ৩, তাইজুল ৪, এবাদত ০, খালেদ ০*
আকসার প্যাটেল ৭৭/৪, কুলদীপ ৭৩/৩
ভারত ১৮৮ রানে জয়ী, ম্যাচ সেরা কুলদীপ যাদব।