২২৭ রানে বাংলাদেশের করা প্রথম ইনিংসের জবাবে আজ দ্বিতীয়ে দিনে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। প্রথম দিনের করা ১৯ রানের সাথে দ্বিতীয় দিনে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয় আরো ২৯৫ রান। যার মধ্যে রিশভ ও সুরেশ আইয়ারের জুটিতেই আসে ১৫৯ রান।
দ্বিতীয় দিনে শুরুর সকালটা ছিলো ভারতের হতে দেননি তাইজুল। একে একে শিকার করেছেন ভারতীয় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে। তার স্পিন ভেলকিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরেন লুকেশ রাহুল, সুবমান গিল ও চেতেশ্বর পুজারা। ৭২ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারতীয় ব্যাটিংয়ে থিতু হতে পারেরনি বিরাট কোহলিও। ব্যক্তিগত ২৪ রানেই দলীয় ৯৪ রানে কাটা পড়েন সময়ের সেরা এই ব্যাটার। তাসকিনের করা অফ স্টাম্প ঘেষা ডেলিভারিতে আলতো ছোঁয়ায় ধরা পড়েছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে।
কোহলির বিদায়ের পর দলের হাল ধরতে শক্তহাতে এগিয়ে আসেন রিশভ ও আইয়ার। এ দুজনের উইলো থেকে আসে ভারতকে রক্ষা করা ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ। তবে প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও রিশভ পান্থ ও সুরেশ আইয়ার সুযোগ পেয়েছেন দুইবার করে। এছাড়াও পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের ফিল্ডিয়ে ছিলো চোখে পড়ার মতো অনেকগুলো ভুল। উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহান যেনো ভারতের আশীর্বাদ হয়ে আসেন প্রতি ম্যাচে। দুই বার করে জীবন পেয়ে রিশভের ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রানে ইনিংস, সুরেশ আইয়ার করে ৮৭ রান। এ নিয়ে ৬ষ্ট বারের মতো ক্যারিয়ারে ৯০ এর কোটায় আউট হন ভারতীয় উইকেটরক্ষক।
রিশভ-আইয়ারের বিদায়ের পর বিকাল ছিলো সাকিব তাইজুলের দখলে। এ দুজনের স্পিন ভেলকিতে মিরপুরের চিরচেনা রূপের দেখা মিললো আরো একবার। তাসকিন-মিরাজের শিকার করা ২ উইকেট বাদে বাকি ৮ উইকেটের ৪টি করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাকিব-তাইজুল। ফলে ৩১৪ রানে ৮৭ রানের লিড নিয়ে থামে ভারতের প্রথম ইনিংস।
দুইদিনে ২০ উইকেট পড়া মিরপুরে ১২ টিই স্পিনারের পকেটে।
২য় দিনের শেষ বিকালে ৬ ওভার ব্যাটিংয়ে করে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭ রান। তৃতীয় দিনে ৮০ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামবে সাকিব বাহিনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ২২৭/১০
ভারত প্রথম ইনিংস ৩১৪/১০
রাহুল ১০, গিল ২০, পুজারা ২৪, কোহলি ২৪, পান্ত ৯৩, শ্রেয়াস ৮৭, আকসার ৪, অশ্বিন ১২, উনাদকাট ১৪*, উমেশ ১৪, সিরাজ ৭
তাইজুল ৭৪/৪, সাকিব ৭৯/৪, তাসকিন ৫৮/১, মিরাজ ৭৬/১
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস ৭/০
শান্ত ৫*, শান্ত ২*