একটু আগে এক কলকাতার দাদার সঙ্গে দেখা। তো দাদাকে নিয়ে গেলাম পাশের এক রেস্টুরেন্টে। ভাবলাম ওপারের দাদার সাথে একটু সুখ-দুঃখের আলাপ করি। হাজার হোক, বাঙালী ভাই। তো জিজ্ঞেস করলাম-
” কি খোবোর গো দাদা… ক্যামন আজেন?”
দাদা- ” আর বলিস না রে… ভালো আর থাকবো কীভাবে? তোর বৌদি যা ছুরু করেজে না”
আমি- ” কি বোলো কি দাদা হ্যা? বৌদি আবার কি ছুরু করবে? কি বৌদি ছুখে নেই না কি হ্যা?”
দাদা- ” আরে না। ও তো ছুখে রেখেজি… গলগাদায় থাকি আর গলগাদা হারবালের নাম ছুনবোনা আর ছেটা একবার ইউজ করে দেগবোনা ছেটা তুই ভাবলি কি করে বল দেখিনি?”
আমি- ” আজ্জা আজ্জা, ঠিকাজে ঠিকাজে… ছব বুজলাম। তা বলতো তুমি অছুখী ক্যান? আদ্ধেক মিস্তির পুরোটা খ্যাতে পারনি বুঝি? না পুরো হাগুর আদ্ধেকটা সেরে আসতে পারনি ক্ষিদে পেয়ে যাবে বলে?”
দাদা- ” আরে নারে… আজ ছকালবেলা আধেক মিস্টির পুরোটাই খেয়েজি। কাজটাও আদ্ধেকই সেরে এসেজি… কিন্দু, ছুনলাম তোদের দেছের এক পত্রিকায় নাকি বলেজে সাকিবকে আজ খেলাবে?”
আমি- ” হ্যা তা বলেজে, কিন্তু তাতে ছমছ্যা কি?”
দাদা- ” আরে ও ছালা ছারুখ… ও ছালা সাকিবের কাজ দেগে স্পিন বোলিং শিকেছিলো তো তাই ওকে আবার খেলাবে। এজন্যই ছালা ছারুখ ছোরভকে বাদ দিয়েজে.…”
আমি- ” কি বলজো কি দাদা? কিজু তো বুজদে পারজিনে… ছ্পষ্ট করে বলো তো দেখি”
দাদা- ” আরে ও বেটা ছাকিব যদি এবার ছব ম্যাচ খেলে তাহলে তো ম্যান অব দি টুর্নামেন্টটা ওদেশে নিয়ে যাবে…”
আমি- ” হা হা হা… এই তাহলে তোমার অছুখী থাকার কারণ? কেন গো দাদা? বৌদি কি সাকিবের জন্য পাগল নাকি? দেখ… আগেই বলে নিচ্ছি সাকিব কিন্তু বিবাহিত। কাজেই বউ লেলিয়ে দেওয়ার কথা ভুলেও মাথায় এনোনা”
দাদা- ” আরে কি যে বলিস না। আমরা বাইরের মালের ছাতে বউ বদল করিনা। বুজেছিস? কি খাওয়াবি বল”
আমি- ” আরে এই ওয়েটার… কোথায় আছিস? এদিকে আয়।”
” দাদাকে চিকেন গ্রিল, চিকেন ফ্রাই, মোরগ পোলাও, হাজির বিরিয়ানী আর বগুড়ার দই নিয়ে আয়.… বিল দাদা দিবে। দেখিস, বাসী খাবার যেন হয় নইলে আবার দাদা বিল দিতে পারবেনা”
অতঃপর দাদা খুশিমনে বাসী খাবারগুলি খেতে লাগলেন।
বিঃদ্রঃ ইহা দাদাদের পঁচিয়ে করা একটি পোস্ট। উনারা বিভিন্ন পেজে সাকিবকে গালিগালাজ এবং কেন কলকাতা সাকিবকে নিলো এই বিষয়ে আপচুশ প্রকাশ করেছেন। তাই উনাদের একটু ডলা দিলাম… হালকার উপরে ঝাপসা!