সাকিবের গতকালকের ইনিংস্টির পর আজ আবারো কলকাতার সেই দাদার কাছে অনুভূতি জানতে রওনা হলাম। পথিমধ্যেই পেয়ে গেলাম তাকে। কিন্তু একি! দাদা যে আমাকে দেখে উল্টো দিকে দৌড়াচ্ছেন। বুঝতে পারলাম না হঠাৎ দাদার কি হলো? গতকাল রাতে বোধহয় বাংলা মদ বেশি খেয়ে ফেলেছে। পেটে কামড়াচ্ছে বোধহয়।
ডাক দিলাম- ” আরে ও দাদা, বলি দৌড়াজ্জো কেন গো??”
কোনো জবাব তো দিলেনই না, উল্টো দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দিলেন। কি আর করা? আমাকেও দৌড়াতে হলো। অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পর দাদাকে হাতের নাগালে পেয়ে দাদার ধুতি ধরে টান দিলাম। ব্যাস! দাদার দৌড়ের এখানেই সমাপ্তি।
পেছন ফিরে ক্লান্ত দাদা জিজ্ঞেস করলেন-
” এহ.…কি রে ছোড়া? তুই কি আমাকে ছাড়বি না রে?”
– ” আরে দাদা রাগ করজো কেন? আমি তো তোমার অনুভূতি জানতে এলুম গো”
” কিছের অনুভূতি রে? আমার কোনো অনুভূতি নেই। গতকাল রাগে দুঃখে ৩ বোতল গিলেজি…এগন বাড়ি যাজ্জি। আটকেছিস কেন?”
– ” আটকেছি কি ছাধে গো দাদা??? বলি গতকাল রাত্তিরবেলা সাকিবের ইনিংসটি দেখেছিলে? না মদের আড়তে ছিলে?”
” দেখেছি না আবার? আরে ও ছোকড়ার খেলা দেগেই তো কষ্ট পেলুম। বোলিংয়ে বাজে করার পর ভেবেজিলুম ব্যাটিংয়ে বাজে খেলবে। কিন্তু কে জানত বল দেখিনি? ওই বাঙাল ছোড়া আজ এভাবে প্যাঁদাবে.… এগন তো নেক্সট ম্যাচে ওকে আবার খেলাবে রে”
– ” তা তোমার অনুভূতি কি গো দাদা?”
” অনুভূতি নেই রে.…আমার মাতলামি এগনো কাটজে না। যাই বাড়িতে যাই”
– ” বাড়ি যাবে? বৌদি কিন্দু ক্ষেপে আজে বলে দিলাম হ্যাঁ..… আজ বাড়িদে যাও। দেখো বৌদি ঝাট হাতে দাঁড়িয়েছে তোমায় কেলাবে বলে”
” এহ.…কি বলজিস? ছত্যি? ওরে মাইরি…সাকিবের ফ্যান আমার গিন্নী। তোকে তো আগেই বলেজিলুম। না জানি কি অপেক্ষা করজে…তার উপর আবার বাংলা খেয়েজি কাল রাত্তির বেলা… এ কি হবে রে ছোকড়া? ক্ষিদেয় তো পেট চোঁ চোঁ করজে রে। এ কিজু খাওয়ানা না ভাই?”
– ” ঠিকাজে ঠিকাজে চল.… আমার এমনিদেই পরীক্ষা চলছে। দেগি তোমাকে খাইয়ে সওয়াব কামাতে পারি কিনা কিজু.…চলো ওই ঘেচুর দোকানে। দুমুঠো পান্তা খেয়ে আসি”
অতঃপর দাদাকে খাইয়ে আমার প্রাইভেট জেটে করে বাড়ি ফিরলাম।