দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জেতার পর ও কলকাতার দাদার মন খুবই খারাপ। কারণ কি?
” আরে ও দাদা… তা কি করজো? গতকাল রাদে খুব খেয়েজো তাইনা?”
– ” বাঙাল ছোড়া তুই? তুই আবার এসেছিস??”
” হ্যাঁ গো, জানতে এলুম তোমার অনুভূতি”
– ” আমার কোনো অনুভূতি নেই। তুই তো জানিস ভাং না খেলে আমার অনুভূদি আছেনা।”
” হ্যাঁ, ইডেনে মার না খেলে আর বৌদির ঝাটার বাড়ি না খেলেও তোমার অনুভূদি আছেনা”
– ” বাঙাল ছোড়া.…তুই…”
” হা হা হা…আমি কি? বাই দ্যা ওয়ে… গতকাল রাতে কি ইডেনে ধুতি ছিড়েজে?”
– ” উফ! তুই এত ইরিটেটিং কেন রে ছোড়া?? না… ছিঁড়েনি”
” কি বলজো কি দাদা?? মানুছ তোমাকে এত আদর করলো গতকাল?”
– ” আদর করেজে। তবে তোর বৌদি… এমন আদর করেজে যে আজগে আর কোমরখানা তুলদে পারজিনে। না না অন্য কিজু ভাবিসনে। মার খেয়েজি রে”
” ছে কি গো দাদা। গতকাল তাহলে ইডেনে যাওনি?”
– ” না রে, বাছায় খেলা দেগতে বসেছিলুম আর কোলকাতার হার প্রার্থনা করজিলুম বাঙাল ছোড়া সাকিবের জন্য”
” তা সাকিব তো ফাটিয়ে দিয়েজে গো দাদা। এজন্যই বুঝি তোমার মন খারাপ?”
– ” ছে আর বলদে… একেতো বাঙাল ছোড়া গতকাল কুব বেছি ভালো বল করেজে। ছবাই যেগানে মার খেয়েজে ও ছালা ছেখানে কি বোলিংটাই না করলো। মাইরি বলজি, ছালা আছলেই ভালো বোলার। কিন্দু আমি যেই সাকিবকে নিয়ে একটা কটু কথা বললাম ওমনি তোর বৌদি রান্নাঘর থেকে থালা ছুড়ে মারলো আর ঝাটা নিয়ে দৌড়ে এলো”
” বাহ! বৌদি তো দেগজি বাপেরমুখী ব্যাটসম্যান”
– ” ফাজলামো রাখ ছোড়া… দ্বিতীয় কারণটা হজ্জে কোলকাতার মালিক মানে সহরুখ। সহরুখকে আমার মোটেও পছন্দ না। ও ছালা ছোরভকে বাদ দিয়েজিলো। ও ছালার টিম জিদে গেলো.… আর কষ্ট পেয়েজি প্রীতি হারায়। ছোটবেলায় প্রীতিকে কল্পনা করে কত ইয়ে.…”
” হয়েজে থামো থামো… যা নেই তা নিয়ে সুখানুভূতি কল্পনা করনা”
– ” তুই.… ছালা”
” হা হা হা.… দাদা গো। তোমার তো মেরে দিলো গো”
– ” আরো কষ্ট পেয়েজি আরেগটা কারণে… আমাদের দাদা, মানে ছোরভ ও আজগাল সাকিবের প্রশংসা করা ছুরু করেজে। আমি বুজিনা গো, এই বাঙাল ছোড়াটা শ্রেষ্ঠ বাঙালীর পুরষ্কার পেয়েজে বলে কি হয়েজে? কোলকাতার একটা মান ছম্মান আজে না? একটা বাঙালের প্রশংসা করদে হবে তাই বলে?”
” আহ, তোমার খুব জ্বলজে তাইনা?”
– ” হ্যাঁ, মলম আজে?”
” মলম তুমি আমাদের দেশের অস্ট্রেলিয়ান দালালদের কাজে পাবে গো দাদা”
– ” তাহলে আমাগে ওদের গ্রুপে এড করে নে রে পাগলা.… আমার যে চুলকাজ্জে…জ্বলজে”
দাদাকে এড করে দিয়ে বাড়ি চলে এলুম গ!
