ছক্কালবেলা নাশতা-টাশটা খেয়ে একদু টিভি ছেড়ে বসলুম। ভাবলাম, দেগি…ভালো কিজু পাই কিনা।
ঘুরদে ঘুরদে গলগাদা টিভিতে এসে চোখ আটকে গেলো।
মাইরি! এ কি ছুনজি? টিভিতে ছুন্দরী ছংবাদপাঠিকা পড়জে-
” ছুপ্রভাত, ছুপ্রীয় দর্ছক। আমন্ত্রণ জানাজ্জি আজগের খেলার খবরে। ওভালে ইংল্যান্ডের কাজে ভারতের শোচনীয় পরাজয়। সুরঞ্জিত নামের এগ ভারতীয়কে ৯৪ বার উঠবস করিয়েজে ইংরেজরা। তীব্র নিন্দা জানিয়েজেন সলমন খান, শহরুখ, সইফ আলি খানসহ বলিউডের সব হার্টথ্রবেরা। নন্দন কাননে আজ বিগেলে একটি প্রতিবাদ ছমাবেশ ডেগেজেন পচ্ছিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী শ্রী পটল ব্যানার্জী”
এই খবর দেগে তো দাদা.… আবেগে আমার ককে গল চলে এলো।
আরে এ যে আমাদের ছেই দাদা। তা দাদার এই অবস্থা কেন? কি কারণেই বা ৯৪ বার উঠবছ করানো হলো? একটিবার তো জিজ্ঞেছ করদে হয়। দেগি তো একটা ফোন করে-
আমি- এ…হ্যালো? দাদা আজেন?
দাদা- এ…ক্যা রে? গলাটা চেনা চেনা লাগজে
আমি- আরে দাদা, আমি গো আমি।
দাদা- ও, বাঙাল ছোড়া। কাঁটা গায়ে নুনের ছিটে দিতে এসেজিস?
আমি- না গো, আমি জাস্ট জিজ্ঞেস করতেই ফোন করলুম- তোমাকে ছবার ছামনে উঠবছ করিয়েজে কেন গো?
দাদা- ছালা আর বলিছ না। ঠিক যে কারণে ইডেনে মার খেয়েজিলুম। ওই যে সাকিবকে গালি দিয়েজিলুম বলে ইডেনে মার খেয়ে ধূতি হারিয়েজিলুম। মনে আজে?
আমি- হ্যাঁ, থাগবেনা কেন? তা এবার কি কারণে মার খেলে?
দাদা- ছালা ব্রডকে গালি দিয়ে। ওই ছালা ব্রড বরুণকে যেভাবে রামপ্যাঁদানি দিজ্জিলো ছেটা দেগে আমার মেজাজ তো চরম বিগড়ে গেলো। ছুরু করলাম খাস বাংলায় খিস্তি। ভাবলাম এইছব ইংরেজ ঘোড়াগুলো বুঝবেনা। তাই ইচ্ছেমত খিস্তি ঝাড়জিলুম।
কিন্তু…
আমি- কিন্তু কি?
দাদা- কিন্তু পাছে বসা বজ্জাত বাংলাদেশীটা হাসতে হাসতে ইংরেজগুলোকে ইংরেজিতে বলে দিলো আমি কি বলজিলাম। আর তারপর তারা আমাকে জামাই আদর করলো। একেক জন বিয়ার টানজে আর মজা দেগজে। আমি উঠবছ করজি আর ওরা মজা লুটজে। ছালার বাঙাল বজ্জাতটা।
আমি- হা হা হা হা হা…দারুণ কাজ করেজে ছেলেটা। তোমাদের ইজ্জত দিয়ে ফিরে আসাটা বড্ড বেমানান লাগদো । এইবার বেইজ্জত হয়ে ষোলকলা পূর্ণ করলে।
দাদা- ছালা চুপ কর। কি খাওয়াবি বল?
আমি- আর কীই বা খাবে? গতকাল তো ইংরেজরা ভালোই দিলো তোমাদের। তোমার তো ওভারলোডেড থাকার কথা। না আরো জায়গা আজে?
দাদা- ছিহ! তুই এত অশ্লীল কেন রে?
দাদা চলে গেলো। আমি যদি অশ্লীল হয় ইংরেজরা কি?
গতকাল ভারতের সম্ভ্রম কেড়ে না নিলেও পারতো।