দুপুরের লাঞ্চ ছেরে ভোজহরী মান্না থেগে বেরিয়ে আছার ছময় রাস্তায় দাদার ছাথে দেগা। আমাকে দেগে না দেখার ভান করে চলে যাজ্জিলেন দেগে জিজ্ঞেস করলাম-
” ও দাদা, যাজ্জো কোথায়?”
দাদা- ” তুই? আবার এসছিস আমাকে জ্বালাতে? হতচ্ছাড়া বাঙাল কোথাকার”
আমি- ” ছিঃ ছিঃ কি যে বলো না দাদাবাবু, তোমাগে জ্বালাব কেন গো? আমি তো তোমার অনুভূতি জানতে এলুম”
দাদা- ” ওছব অনুভূতি-টনুভূতি জানানোর ছময় আমার নেই রে। আমি যাজ্জি বারে”
আমি- ” ওমা, কি বলজো কি? তুমি নকুলের মদের আড়ৎ ছেড়ে আজগাল বারে যাজ্জো? কি ব্যাপার কি হে? টাকা পয়ছা কে দিজ্জে?”
দাদা- ” মোস্তফা মামুন। ও আমাগে টাকা পাঠায় ওপার বাংলা থেগে”
আমি- ” কি বলজো কি? ও ছালা তেরে নাম? ও ছালা তোমাগে টাকা পাঠাবে কেন? কিজু বুজদে পারজিনে মাইরি”
দাদা- ” আরে বাঙাল ছোড়া বুঝবি কি করে? তুই কি আর অতছত বুঝিছ? এগানে একটা শাকিব হেটার ছংঘ খুলেজি রে।”
আমি- ” মাইরি, তুমি বড্ড বজ্জাত আছো। সাকিব হেটার ছংঘ আবার কী?”
দাদা- ” এগান থেগে শাকিব হেটার শাপ্লাই করি .… তোদের দেছের যতসব পাংখা, হুজুগে, টাকলা শাকিব হেটার আজে না? ওছব তো আমরাই শাপ্লাই করি”
আমি- ” কি বলজো কি মাইরি? তারমানে বিডিনিউ , প্রথম আলোর কমেন্ট সেকশনে, সাকিবের পেজের কমেন্ট সেকশনে যেসব টাকলারা কমেন্ট করে ওই গাধাগুলোকে তোমরাই শাপ্লাই দাও?”
দাদা- ” তা আর বলতে.…কিন্তু এজন্য আমার আজগাল ঘরে খাওয়া বারণ”
আমি- ” কেন গো? ও বুঝেজি, তোমার এই ছংঘের কথা ছুনে বউদি ঝাটাপেটা দিয়ে বের করে দিয়েজে?”
দাদা- ” হ্যাঁ, ছালা তুই জানিছই তো তোর বউদি শাকিব ভক্ত”
আমি- ” ইডেনের ওদিকে গেলে কি আজো মার খাও ?”
দাদা- ” তা আর বলদে। ছুধু ইডেনেই না …মাইরি ছব জায়গায় শাকিবের ভক্তে ভরা রে। যেদিকেই যাই মাথায় পঁচা জুতা, আন্ডারওয়্যার এছে পড়ে”
আমি- ” তাহলে তুমি ছংঘ চালাও কোথায় মাইরি?”
দাদা- ” আরে বোকা বাঙাল ছোড়া, নকুলের মদের আড়তে”
আমি- ” মাইরি…ছত্যি বলজি মাইরি। তুমি ছালা বড্ড বিসি আজো…”
দাদা- ” গালি দিলি কেন? বিসি কাকে বললি বাঙাল ছোড়া?”
আমি- ” আরে দাদা ক্ষ্যাপজো কেন? বিসি মানে হজ্জে বজ্জাত ছেলে”
দাদা- ” ওহ, তাই বল। অনেকদিন পর কেউ আমাগে বুড়ো ভাম না বলে ছেলে বললো। কি যে খুছি লাগজে না মাইরি”
আমি- এত সাকিব হেটার যোগাড় কর কোথ্থেকে?
দাদা- ” ওদেছ থেগে অডিছন নিয়ে আছে আর আমরা এগানে ট্রেনিং দেই”
আমি-” মাইরি তুমি বড্ড ভিসি আছো।”
দাদা- ” আবারও গালি দিলি?”
আমি- ” ভিসি মানে ভালো ছেলে গো”
দাদা-” ও তাই বল”
আমি- ” তা ট্রেনিং দেয় কে গো?”
দাদা-” রেশম পোকা”
আমি- ” ওমা, ছে কি গো? কে এটা?”
দাদা- ” এটা ওর কোড নেম। ওর আছল নামের ছাথে মিলিয়ে রাখা হয়েজে”
আমি-” মালটাগে কোথা থেকে এনেজো?”
দাদা-” তোদের দেছ থেকেই। কিন্তু গায়ে খাঁটি অষ্টেলিয়ান রক্ত”
আমি- ” ও ছালা বড্ড এমসি আজে”
দাদা-” ওকে গালি দিলেও কিজু বলবনা রে। ও ছালাকে আমি দেগতে পারিনা”
আমি-” ওমা, ছে কি কথা?
দাদা-” আরে আমার বোতল লুকিয়ে সাবাড় করে ফেলে”
আমি-” আজ যাই মাইরি। ছময় নেই”
দাদা-” কটা টাকা হবে? রেশম পোকা মাল খেতে চেয়েছে”
আমি-” এই নাও। একটা বাংলা মদ কিনে দাও। সাদা চামড়াদের মদ আর কত খাবে?
দাদাকে টাকা দিয়ে চলে এলুম।