রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামে আগের দুই ম্যাচ হারা বাংলাদেশ। দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় জিসান আলম ও আরিফুল ইসলামকে। বোলিং করতে নেমে প্রথম থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারদের চেপে ধরে বর্ষণ ও ইমনের।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজান ও আরেক ওপেনার শাহজাইব খানকে এদিন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে দেন নিন ইমন-বর্ষণ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলে ছোট ছোট সংগ্রহে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৪ রান জমা করে পাকিস্তানের যুবারা। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে অধিনায়ক সাদের ব্যাট থেকে এছাড়াও আরাফাত ২৮, আরিফ ও সাইমুল ১৭ এবং আলি আসফান্স ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ইমন ও বর্ষণ, পারভেজ জীবন ২টি এবং জিসান – ওয়াসি সিদ্দিকি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৫৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন আদিল ও মাজহারুল। এ দুজনের ওপেনিং পার্টনারশিপ থেকে আসে ৫৯ রান। ৫৯ রানে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে আদিল বিদায় নিলে কোন রান যোগ না করেই মাজহারুলও (২১ রান) ফিরেন সাজঘরে। এরপর জিসানের ২৪ ও শিহাব জেমসের ২৭ রানে ভর করে ম্যাচ করে আসেন পারভেজ জীবন (১৩* রান) ও রাব্বী (৮* রান)।
ফলে তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে জয় লাভ করে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তানের ২ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১ টি।