সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সাকিব। সাকিব-হৃদয়ের জোড়া ফিফটির পর নাসুমের ব্যাটে ভারতকে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে শুভমান গিলের অসাধারণ ১২১ রানের ইনিংসে জয়ের পথে এগুচ্ছিল ভারত। কিন্তু ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ে ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
ইতিমধ্যেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিবের অসাধারণ বোলিংয়ে প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। এরপর দলীয় তৃতীয় ওভারে তিলক ভর্মাকেও সাজঘরে পথ দেখান সাকিব। মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
সেখান থেকে লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিলের ব্যাটে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ভারত। কিন্তু দলীয় ৭৪ রানে রাহুলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন শেখ মেহেদী। এরপর স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ হতেই ফিরে যান ঈশান কিষাণ। এরপর গিলের সঙ্গে জুটি গড়েন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু এদিন সুবিধা করতে পারেননি সূর্যকুমার, সাকিবের বলে সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ২৬ রানের ইনিংস।
সূর্যর বিদায়ে জমে উঠে ম্যাচ। ষষ্ঠ উইকেট জুটি সেটি জমিয়ে তোলেন আরও। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল। গিলের সেঞ্চুরির দিনে ইনিংস বড়ো করতে ব্যর্থ হোন জাদোজা। এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন গিল। কিন্তু ব্যক্তিগত ১২১ রানে গিল বিদায় নিলে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু শার্দুল ঠাকুর ও প্যাটেলের ব্যাটে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ। সেখান থেকে দলীয় ৪৯তম ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ভারত। সাকিবের করা শেষ ওভারে ভারত অলআউট হলে ৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে কলম্বোয় সাড়ে তিনটায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা হতাশ করেন আরও একবার। লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়দের ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত জুটি উপহার দেন সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয়। দু’জনের অসাধারণ ১০১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।
এরপর সাকিব ৮০ রানে ফিরলে আবারও ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। সেখান থেকে হৃদয়ের ৫৪ রানের সঙ্গে নাসুম আহমেদের সুপার্ব ৪৫ রান ও শেখ মেহেদীর অপরাজিত ২৯ রানের সঙ্গে অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের ১৪ রানে ভর করে ২৬৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।