সেই গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ থেকে ইনজুরির কারণে দলে অনিয়মিত সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার অনুপস্থিতিতে লিটন দাসকেই এক নম্বর ওপেনার হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু কঠিন সত্য হলো ব্যাটে রান নেই লিটনের।
এককথায় রানখরায় ভুগছেন লিটন দাস। শেষ ১০ ইনিংসে (৫০, ০, ২১, ৩৫,২৬, ১৩, ৫৩, ১৬, ১৫, ০) লম্বা ইনিংস নেই একদমই। দুটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি। দুটিতেই পঞ্চাশের ঘরেই আউট। সমান সংখ্যক ম্যাচে আবার শূন্য রানে আউটও হয়েছেন। বাকি ৬ খেলায় (২১, ৩৫, ২৬, ১৩, ১৬ ও ১৫) শুরু করেছিলেন, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। সেট হয়ে আউট গেছেন।
জ্বরের কারণে এবারের এশিয়া কাপে ৫ ম্যাচের প্রথম দুটি মানে গ্রুপপর্বে খেলতে পারেননি লিটন। পাকিস্তান (১৬), শ্রীলঙ্কা (১৫) ও ভারতের ( ০) বিপক্ষে সুপার ফোরে খেললেও একদমই রান পাননি। ফিরেছেন অল্প সময় ও সংগ্রহে।
তবে ব্যাট কথা বলেনি বলেই ভাববেন না, আড়ষ্ট ছিলেন। বরং শুরুটা দেখে মনে হয়েছে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়েই খেলছেন। কিন্তু ঠিক দু অংকে যাবার পরই হঠাৎ ছন্দপতন। আর ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই মোহাম্মদ শামির সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন।
এককথায় এশিয়া কাপে লিটনের ব্যাট থেকে কোনো লম্বা ইনিংস বেরিয়ে আসেনি। টিম বাংলাদেশও সেজন্য ভুগেছে। এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার পুরোনো সঙ্গী তামিম ইকবাল দলে ফিরলেও নেই দুই ব্যাটিং স্তম্ভ সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম।
লিটনের কাঁধেই অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্ব। দায়িত্বটা তাই এবার আরও বেশি। নিজের অফফর্ম নিয়ে কী ভাবছেন লিটন? ব্যাট কথা বলছে না। রান করতে পারছেন না। এ খারাপ ফর্ম ভালোর ঘরে আনতে কী করছেন লিটন? ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলো।
ছোট্ট জবাবে লিটন বললেন, ‘দেখেন আমি চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করার, ফাইন্ড আউট করার। আশা করি তাড়াতাড়ি ক্যামব্যাক করব।’
সুত্রঃ অনলাইন