গত বিপিএলে ডানহাতি ব্যাটার হৃদয় ১২ ম্যাচে ৩৬.৬৩ গড় আর ১৪০.৪১ স্ট্রাইকরেটে করেন ৪০৩ রান। বিপিএলের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে দারুণ ধারাবাহিক করেন তিনি। ১৬ ওয়ানডেতে ৩৮.৪৬ গড়ে ৫০০ রান করেছেন তিনি। ৮ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫.৬৫ স্ট্রাইকরেটে করেন ১৫৬ রান।
সিলেট থেকে তাই সরাসরি চুক্তিতে কোটি টাকার বেশি মূল্যে তাকে দলে নেয় কুমিল্লা। প্লেয়ার্স ড্রাফটে কাঙ্খিত সব খেলোয়াড়কে পেয়ে নাফিসা উচ্ছ্বসিত। তবে আলাদা করে রোমাঞ্চ তার হৃদয়কে ঘিরে, ‘নতুন খেলোয়াড় যাদেরকে নিয়ে দল করেছি যেমন তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমাদের যেটা সংস্কৃতি বিদেশিরা অভিজ্ঞ হয় অনেক পুরনো, অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আর স্থানীয়রা তরুণ, চ্যালেঞ্জিং, নতুন এবং এক্সাইটিং খেলোয়াড়। ওই কম্বিনেশনটা আমাদের জন্য কাজ করে।’
বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা এবারও গড়েছে শক্তিশালী দল। ড্রাফটেও তারা দেখিয়েছে বুদ্ধির ছাপ। পুরো স্কোয়াড নিয়েই খুশি এই সংগঠক, ‘দলটা আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো হয়েছে। যেহেতু ড্রাফটের আগে আমরা কিছুটা কাজ করতে পেরেছি বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। আমাদের পছন্দ এবং তৃপ্তি অনুযায়ী আমরা অনেক খেলোয়াড় নিতে পেরেছি। বেশিরভাগই পুরনো খেলোয়াড়, হাতেগোনা এক-দুইটা নতুন আসবে যেমন ইফতিখার, জামান খান। বাকি সবাই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অনেক পুরনো খেলোয়াড়, তারা কেবলমাত্র তাদের পুরনো ঠিকানা, পরিবারে ফিরছে।’
‘রশিদ খানকে পাবো আমরা শেষের দিকে। এখন তো বিপিএলের সূচিও এখন চূড়ান্ত না। এখনকার সূচি অনুযায়ী ৪-৫ টা ম্যাচ পাবো।’
দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে আরেকবার ট্রফি জেতার স্বপ্ন নাফীসার।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন, তৌহিদ হৃদয়, মঈন আলি, আন্দ্রে রাসেল, ইফতেখার আহমেদ, জামান খান, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস, নূর আহমেদ, নাসিম শাহ, রশিদ খান।
ড্রাফট থেকে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জাকের আলি অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন, রাহকিম কর্নওয়াল, ম্যাথু ওয়াটলার ফোর্ড, ইমরুল কায়েস, মুশফিক হাসান, এনামুল হক (অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার)।
সুত্রঃ অনলাইন