বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘দেশের শীর্ষ চারটি অডিট ফার্মের মধ্য থেকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বোর্ডের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা খুঁজে বের করব। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তা অডিটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন যদি অনিয়ম খুঁজে পায়, তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
ফারুক আরও জানান, তিনি ভারতে হয়ে যাওয়া সাম্প্রতিক ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন রিপোর্ট এবং পূর্বের কিছু রিপোর্ট আবারও প্রকাশ করতে চান। বোর্ডের একাধিক রিপোর্ট রয়েছে, যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বিসিবি পরিচালক আকরাম খানও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি সিইওকে বলেছি যে, আমি এই রিপোর্টগুলো দেখতে চাই এবং তা দেখে সিদ্ধান্ত নেব। আমি মনে করি এটি প্রকাশ করা যৌক্তিক এবং আমার এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আইনের ব্যাপারটিও দেখতে হবে।
এর পাশাপাশি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করলে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তার কোচের পদ ধরে রাখতে পারবেন কিনা, তাও অনিশ্চিত। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীলঙ্কান কোচকে দলের ব্যর্থতার জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয়েছে। তবে ফারুক নিশ্চিত করেছেন যে, দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং তিনি স্বৈরাচারী হওয়ার ইচ্ছে রাখেন না।
তিনি বলেন, ‘আমরা হাথুরুসিংহের বিষয়ে আলোচনা করছি। কোনো তাড়াহুড়ো করতে চাই না।’
ফারুক বিসিবি প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও আশাবাদী। তিনি জানান, টুর্নামেন্টটি যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, যদিও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে অংশ নিতে চায় না।
‘আমরা বিপিএল আয়োজনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রথম ম্যাচ ২৭ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়েছে এবং তার আগেই প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে,’ জানান ফারুক। ‘এক বা দুই দল না আসতে চাইলে, আমরা সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য নতুন মালিক খুঁজে নেব।’
ফারুকের আশাবাদ, সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিসিবি বিপিএল আয়োজন করতে সক্ষম হবে। সুত্রঃ কালবেলা
ক্রিকেটখোর/অড