বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুটা গাজী আশরাফের নেতৃত্বে শুরু হলেও কালের বিবর্তনে বাংলাদেশ পেয়েছে অনেক নামীদামী ক্রিকেটার। দিনশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়েছে অনেকদূর। বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ এখন একটি পরাশক্তি দল হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। দলে রয়েছে বেশকিছু ক্রিকেটার যারা একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন; এগিয়ে নিচ্ছেন নিজের ক্যারিয়ারকে।
বর্তমানে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান ক্রিকেটের ২২ গজে ব্যাট হাতে একে অপরকে পাল্লা দিয়ে রান করে যাচ্ছে। কখনো সাকিব উপরে আবার কখনো মুশফিক আবার কখনোবা তামিম। দিনশেষে ক্রিকেট মাঠে রানের লড়াইটা জমেছে বেশ। এই বিষয়টি কিভাবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান? এইসব জানা অজানা নানান বিষয়ে সম্প্রতিক সময়ে ক্রিকবাজের পক্ষ থেকে ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের সাথে লাইভ আড্ডায় মেতেছিলেন সাকিব আল হাসান।
সেখানে আড্ডায় তামিম, মুশফিকের সাথে রানের লড়াইয়ের বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ এটি দারুণ এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশ দলের জন্যও ভালো। দলের ভালো ফলাফলের জন্য এমন প্রতিযোগিতা থাকা উচিৎ। কেউ ১০০ করলে আপনার ইচ্ছা করবে আমি ১২০ রান করি। তিন ফরম্যাটে পরিসংখ্যানের দিক থেকেও আমরা তিনজন খুব কাছাকাছি। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করি!’
এছাড়াও বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সে বিদায় নিতে হয়েছিলো টুর্নামেন্ট থেকে। তাইতো আগামী বিশ্বকাপে কিভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে চান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিব জানান, ‘এখন আমাদের উচিৎ ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবা। বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং আমাদের (আমি, তামিম, মুশফিক) জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন তাই খেলা নিয়েই ভাবা উচিৎ। আমরা পূর্বে কি করেছি সেটা নাহয় কয়দিন পরই ভাবা যাবে!’
এইসব বিষয়ে আড্ডার ফাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাদের তিনজনের অবদান কেমন ছিলো! এমন প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন সাকিব। তিনি মনে করেন তাদের অবসরের পরেই তাদের অবদান ভালো বোঝা যাবে!
অবশ্য এই বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘আমরা তিনজন যখন একসাথে অবসর নিব সেটিই হবে সেরা সময়। আমরা নির্ভার হয়ে বসে আলোচনা করব ক্যারিয়ারে কী কী করেছি! আমরা তিনজন অনূর্ধ্ব-১৫ থেকেই একসাথে খেলে আসছি। আশা করছি আরও কিছু বছর একসাথে থাকবো। ক্যারিয়ার শেষে আমরা আলোচনা করবো দেশের ক্রিকেটের জন্য কী কী করলাম!’
সাকিব-তামিম-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশ হেসেছে অনেকবার। দিনশেষে এই তিনজন বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়েছে অনেকদূর। ক্রিকেটের ২২ গজে নিজেদের মধ্যে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলেই হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়েছে; এগিয়েছে তাদের ক্যারিয়ার।