১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উলমার’স কনফিডেনশিয়াল: টেল অফ এ মাস্টারমাইন্ড !

প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ
রবিবার, ২৮ জুন , ২০২০ ১২:০৪

ক্রিকেটখোরের মূল স্লোগান হল, “ডাল ভাতের সাথে ক্রিকেট খাই, টাইগারদের জন্য গলা ফাটাই।” এই প্রতিপ্রাদ্য বা স্লোগান এর যথার্থতা হয়তো আমরা পালন করতে পারি না। কিন্তু প্রায় ৫০ বছর আগে এমনি এক ভিনদেশী ক্রিকেট পাগল একজনের ব্যাপারে বিখ্যাত এক ম্যাগাজিন তাদের কলামে লিখেছিলো,
“এমন কোনো তরুণের কথা যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে, যে ক্রিকেট খায়, ক্রিকেট পড়ে এবং ক্রিকেটেই ঘুমায়, নিঃসন্দেহে সেই নামটা হবে বব উলমার।”

কথাটা লেখা হয়েছিলো বিশ্ব বিখ্যাত উইজডেন ম্যাগাজিনে, সাল ছিলো ১৯৭৬। সেবার বব উলমার উইজডেনের বিচারে ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার হয়েছিলেন। যার শ্বাস-প্রশ্বাসে মিশে আছে ক্রিকেট। মাঠ থেকে অবসর নিলেও তিনি কি আর অত সহজে ক্রিকেট ছাড়তে পারেন? জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্রিকেট ছাড়েননি তিনি, কোনোদিন ক্রিকেটের সাথে আপোষ করেননি। সেই আপোষহীন মনোভাবই কি পরে জীবন সংহারের কারণ হয়ে এসেছিলো উলমারের জন্য? নাকি নিজেই হারিয়ে গিয়েছিলেন কোনো অদৃশ্য ধূম্রজালে?

তার মৃত্যুর পেছনে হয়ত ক্রিকেটের কোন সম্পৃক্ততা ছিল, যেমন তার রক্তের সাথে ক্রিকেটের ছিলো। হয়ত ক্রিকেটের পিছনের অন্ধকার জগতের কিছু গোপন খবর তিনি জানতে পেরেছিলেন!

২০০৭ সালের ১৮ মার্চ। জ্যামাইকার কিংস্টনের পেগাসাস হোটেল। বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে পাকিস্তানের লজ্জার পরাজয়ের কয়েক ঘন্টা পেরোয়নি। পাকিস্তানের কোচ বব উলমার কোনো এক হতাশা নিয়ে ১২ তলার ৩৭৪ নম্বর রুমে ঢোকেন। স্ত্রীকে এক অভাগী মেইল করেন। যাতে ছিল হৃদয়ের রক্তক্ষরণ মিশানো। বেঁচে থাকার আকুতি।


শেষ মেইল টি ছিল:

“বুঝতেই পারছো কিছুটা হতাশাগ্রস্থ একটা সময় পার করছি এখন। আমি ঠিক নিশ্চিত নই কোনটা বেশি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা, এজবাস্টনে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া নাকি বিশ্বকাপের ফার্স্ট রাউন্ড থেকেই বাদ পড়া। অন্তত আমাদের আর গায়ানাতে যেতে হচ্ছে না! আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স জঘন্য ছিলো, আমার সবচেয়ে বেশি ভয়ের দিকগুলোই হয়েছে এদিন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এদিন কোনো একটা কারণে আমার খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ হয়নি (কিংবা হতে পারেনি), সবগুলো উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছে। আইরিশদের আমি কৃতিত্ব দিচ্ছি, ওরা দারুণ করেছে, মাঠে অনেক চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু কি দুঃসহ এক অনুভূতি! জানি না কবে বাড়িতে ফিরতে পারবো, আমার আর তর সইছে না ডেল, পিপ্পাদের দেখার জন্য। কাল চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবো, দেখি কি বলেন উনি। আশা করি, তোমার দিনটা ভালো কেটেছে। অবশ্য যদি খেলা দেখে থাকো, তাহলে না কাটারই কথা! আর বলার তেমন কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না আসলে, কিন্তু তোমাকে খুব ভালোবাসি।

তোমারই, প্রিয় বব !!!

যে রুম থেকে আর কোনোদিন হেটে বের হননি বব উলমার। নিরাপত্তা কর্মীরা পরদিন সকালে বাথরুমে আবিস্কার করেন তার প্রাণহীন নিথর দেহ। বিশ্বকাপ চলাকালীন এই ঘটনা ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল সবার মনে। সে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে উঠেছিল।

পেগাসস হোটেলের ঐ অভিশপ্ত রাতে তার গায়ে খামচির আঁচড় ও ভারী আঘাত পাওয়া গিয়েছিল বলে প্রথমে জানায় জ্যামাইকার তদন্তকারী পুলিশ। বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয় পাকিস্তানের এক স্টাফের মুখে মারামারির দাগ থাকায়।পাকিস্তানি খেলোয়াড়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কয়েক দফায়। তদন্তের মধ্যবর্তী সময়ে জানানো হয় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যান উলমার। সে রাতে উলমারকে খাবার দিয়ে যান হোটেল কর্মী। তিনি নিজে অর্ডার করে খাবার আনিয়েছিলেন।

কি দিয়েছিলেন উলমারকে খেতে? তা নাকি নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। উলমারের ঘাড়ে নাকি কোনো দাগ পাওয়া যায়নি। খাবারের বিষ মেশানোর কথাও ঢাকা পড়ে যায়। বলা হয়, আগে থেকেই অ্যাজমার সমস্যা ছিলো উলমারের। সেখান থেকেই নাকি কাশির তোড়ে শ্বাস রোধ হয়ে মারা যান পাকিস্তানের সাবেক এই কোচ। স্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় বন্ধ করা হয় কেস। তবে আসলে তার সাথে কি ঘটেছিলো তা অজানাই রয়ে গেছে। নভেম্বর ২০০৭ সালে জ্যামাইকান বিচারক প্যানেল তার মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে এই রহস্যের দ্বার উন্মোচন করে। আর চিরতরে এই কেসের ইতি টানে।
বব উলমার এর এই মৃত্যু রহস্য নিয়ে বানানো যাবে কোনো হলিউডের থ্রিলার সিনেমা। অথবা লিখা যাবে কোনো রহস্যময় উপন্যাস, যার মধ্যে থাকবে রহস্যের জাল বোনা। কিন্তু এতটা রহস্যময় ছিলো না বব এন্ডু উলমার এর জীবনধারা। যতটা তার মৃত্যুকে নিয়ে হয়েছে।


বব উলমার এর ডাক নাম ছিলো উলি। ব্রিটিশ নাগরিক হলেও ১৯৪৮ সালের মের ১৪ তারিখ ভারতের কানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-দাদারা সবাই ব্রিটিশ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর বড় পদের দায়িত্বশীল ছিলো। সেই সুবাদেই ভারতবর্ষে তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন।
তার বাবাও প্রথম-শ্রেণী ক্রিকেটের খেলোয়াড় ছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে তার বাবা খেলতেন। দশ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে হানিফ মোহাম্মদের অবিস্মরণীয় ৪৯৯ রানের বিশ্বরেকর্ডের ইনিংসটি দেখেছিলেন উলমার। তখন তিনি খুদে ক্রিকেট ভক্ত। বাবার সাথে মাঠে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। এর প্রায় ৩৫ বছর পর ওয়ারউইকশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে হানিফ মোহাম্মদ এর ঐতিহাসিক ৪৯৯ রানটি অতিক্রমকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ও কাউন্টি’র ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা’র অপরাজিত ৫০১ রানের নতুন বিশ্বরেকর্ডীয় ইনিংসটিরও দর্শক ছিলেন তিনি।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯ টেস্ট ও ৬ টি ওয়ানডেতে খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তাতে ততটা সফল ছিলেন না। তাই এখানেই খেলোয়াড়ি জীবনের লাগাম টেনে ধরেন। তিনি ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে ৩৫০ ম্যাচে ১৫৭৭২ রানের মালিক। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা যথাক্রমে ৩৪ ও ৭১ টি। সাথে ২৫.৮৭ গড়ে ৪২০ উইকেট। ডান হাতি ব্যাটিং এর পাশাপাশি ডান হাতে মিডিয়াম পেসটাও ভালোই করতেন।

ওয়ানডেতে তার রেকর্ড ততটা সমৃদ্ধ না হলেও টেস্টে তিনি ৩টি সেঞ্চুরি এবং ২টি হাফ সেঞ্চুরির মাধ্যমে ১৯ টেস্টে ১০৫৯ রান করেছেন সাথে আছে ৪টি উইকেট।

এরপর আসেন ক্রিকেট প্রশিক্ষক রুপে। সাথে নিয়ে এসেছিলেন সফলতার পরশপাথর। তার কাছে যেনো কোনো অদৃশ্য শক্তি ছিলো। তার কোচিং-এ অফফর্মের খেলোয়াড় খুব দ্রুত ফর্মে ফিরতো। খেলোয়াড়দের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মত। যা ছিলো তার সফলতার মূল হাতিয়ার।
খেলোয়াড়ি জীবনে ততটা সফল না হলেও তিনি তার খ্যাতি লাভ করেছেন কোচিং এ। তাকে বলা হয় ক্রিকেট প্রযুক্তির উদ্ভাবক। তিনি ক্রিকেটে প্রথম প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন। কোচিংয়ের সহজার্থে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে ল্যাপটপ নিয়ে সব সময় এনালাইসিস করতেন। তাই খেলোয়াড়রা তাকে দুষ্টামিকরে “ল্যাপটপ কোচ” নামেও ডাকত। আর আজ তার উদ্ভাবিত পথে কতদুর এগিয়েছে ক্রিকেট! এখন ক্রিকেটের খুটিনাটি তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।

১৯৭৬ সালে কাউন্টি ও ইংল্যান্ড দলে অসাধারণ পারফরম্যান্স এর মাধ্যমে তিনি উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা পাঁচজন ক্রিকেটারের একজন হিসেবে মনোনীত হন। খেলোয়াড় হিসেবে তার এতটুকুই অর্জন। কিন্তু তিনি খ্যাতি লাভ করেন কোচিং পেশায়। নিজের খেলোয়াড় তকমা ছেঁটে ফেলে কোচিং পেশায় নেমে প্রথম কোনো বড় এসাইনমেন্টেই নির্বাসন-পরবর্তী দ. আফ্রিকাকে এক পরাশক্তিতে পরিনত করে ছিলেন। তার আগে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে ছিলেন সফল কোচ। ১৯৯৩ সালে তার অধীনে উয়ারউইকশায়ার কাউন্টি লীগে শিরোপা জিতে। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন দ. আফ্রিকার কোচ। এরপর ২০০১ আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ হন। পাশাপাশি আইসিসির ক্রিকেটকে বিশ্বের আনাচেকানাচে ব্যাপক বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কোচের দায়িত্বে ছিলেন বেশ কয়েক বছর। এই দায়িত্বে তিনি বেশ সফল ছিলেন।

কিন্তু যে সেনাপতি রণাঙ্গনের স্বাদ পেয়েছে, তাকে কি ঘরে আবদ্ধ করে রাখা যায়? বব উলমার ছিলেন একজন ক্রিকেট ময়দানের লড়াকু এক সেনাপতি। যে ক্রিকেট মাঠকে বানিয়ে নিয়েছিলো একটি যুদ্ধক্ষেত্র। তাই বব উলমারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মূল প্লাটফর্মে ফিরতে ব্যাকুল ছিলেন। তারপরই আইসিসির দায়িত্ব ছেড়ে ২০০৪ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের কোচ নিয়োজিত হন। তখন পাকিস্তান মাত্রই ভারতের কাছে সিরিজ হেরে কোণঠাসা ছিলো। তার নিয়োগ লাভের পর ভঙ্গুর পাকিস্তান এশিয়ার সেরা টিমে পরিণত হয়। দলের সকল অন্তঃকোন্দল ও স্বজনপ্রীতি নির্মূল করেন। ভারতের সাথে ৬ ম্যাচ সিরিজের ২ ম্যাচ হারার পর টানা ৪ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে। মোহাম্মদ ইউসুফ, ইউনুস খান ইনজামামরা ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স করতে লাগে। তাদের বোলিং লাইনআপ ছিলো বুকে কাপন সৃষ্টিকারী। আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে পাকিস্তানীদের ছিল জয়জয়কার। পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরাও সেনাপতি বব উলমার ও তার সৈনিকদেরকে নিয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন বুনছিলো। কিন্তু নিয়তির করাল গ্রাসে সেই স্বপ্নের হয়েছিল অপমৃত্যু। কোটি মনের বানানো স্বপ্নসৌধের শেষ পরিনাম হয়েছিলো অবর্ননীয়।
আপনি পাকিস্তানের ১৮ মার্চ, ২০০৭ সালের আয়ারল্যান্ডের সাথে হারকে আপসেট বা অঘটন বলবেন। কিন্তু আমি বলব এই ম্যাচ ছিল এই শতাব্দীর সবচে বড় ক্রিকেটীয় ট্র্যাজেডি! এই ট্র্যাজেডিতে ক্রিকেট হারিয়েছে তার এক বীর সেনাপতিকে। আমরা হারিয়েছে এক আধুনিক ক্রিকেট প্রবক্তাকে। এই ক্ষতি অপূরনীয়, তার শূন্যতা বহুকাল আমাদের বহন করতে হবে।


ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে আজও ভোলেনি। আজও বব উলমারকে ধারন করে হৃদয়ের মণিকোঠায়। পাকিস্তান সরকার বব উলমার এর মৃত্যুর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (মরণোত্তর) পদকে ভূষিত করে। তার স্মরণে লাহোরের ক্রিকেট একাডেমীর নাম পরিবর্তন করে ‘বব উলমার ন্যাশনাল ইনডোর ক্রিকেট একাডেমী লাহোর’ রাখা হয়। আজও বব উলমারের মত কর্তব্যপরায়ণ কোচ পাকিস্তান ক্রিকেট দেখেনি। অনেক সাবেক ও বর্তমান পাকিস্তানী ক্রিকেটার মনে করেন বব উলমার এর হাত ধরেই ২০০৭ সালে পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে পারতো। কিন্তু কিছু অসাধু ক্রিকেটারের ম্যাচ ফিক্সিং এর কারণে পাকিস্তান এর বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এমন ভরাডুবি হয়৷ এই আর ম্যাচ গড়াপেটার খবর বব উলমার জেনে যাওয়ায় তাকে ঐ রাতেই তার নিজ কক্ষে হত্যা করা হয়। আর এই কথা অসম্ভব ছিলো না। পাকিস্তানী সমর্থকরা সেই স্বপ্ন দেখেছিলো। কিন্তু ফিক্সিং এর কালো ছায়ায় সেই স্বপ্নের সলিল সমাধি হয়েছিলো ১৮ ই মার্চ ২০০৭ সালে। এক গোপন জরিপে দেখা গেছে। পাকিস্তান এর প্রায় ম্যাচে স্পট ফিক্সিং হয়। তাই পাকিস্তানকে ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং এর ভূস্বর্গ বলা চলে। তাদের বহু সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার বিভিন্ন চ্রিচকেতখর এর দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।

আজও অজানাই থাকলো খ্যাতনামা এই কোচের মৃত্যু রহস্য! হয়ত আমরা আর কখনোই এই রহস্যের কিনারা করতে পারব না! আসলে ঐ রাতে তার সাথে কি হয়েছিল। তার মৃত্যু কি আত্মহত্যা ছিল? নাকি কোন গুপ্তহত্যা ছিল? না ছিল স্বাভাবিক মৃত্যু?

বব এন্ডু উলমার মরেননি, তিনি বেঁচে আছেন সকল ক্রিকেট পাগল জনতার হৃদয়ে। তিনি হয়ত ওপারে চলে গেছেন, কিন্তু ওনার আবিস্কৃত আধুনিক ক্রিকেটীয় প্রযুক্তি আজও তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিনিয়ত। তার মত যারা ক্রিকেটে খাই ক্রিকেটের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়, তারা কভু তাঁর মত মহান ব্যক্তিকে ভুলতে পারবে না।


#stay_Cricketkhor

, ,

মতামত জানান :