১৯৮৬ থেকে ২০২০; গাজী আশরাফ থেকে হাসান মাহমুদ। এরই মাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এসেছে অসংখ্য তারা। এসেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার; দেশসেরা ওপেনার! এসেছে মাশরাফির মতো অধিনায়ক। লাল-সবুজের দেশ পেয়েছে মুশফিক, আফতাব, রফিক, রাজ্জাকদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম সুপারস্টার কে?
এমন প্রশ্নে উত্তরে আসবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আশার ফুল হয়ে ফোঁটা এক তরুণের নাম, আসবে একজন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের নাম। স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠবে কার্ডিফ জয়ের নায়কের হাসিমাখা মুখটি। আচ্ছা কে সেই? এতো কিছু জানার পরে যে নামটি আসবে সে তো হারিয়ে যাওয়া এক তারা, নাম মোহাম্মদ আশরাফুল।
মোহাম্মদ আশরাফুল; বঙ্গদেশের প্রথম সুপারস্টার। লাল- সবুজের জার্সি বলেন আর সাদা পোশাকেই বলেই সাফল্যের খাতায় যুক্ত করেছেন অসংখ্য রেকর্ড; লিখেছেন অনেক ইতিহাস। দেশকে এনে দিয়েছেন অনেক প্রথম জয়, হয়েছেন নায়ক। পাওয়া-না পাওয়ার হিসেবি যুগে আশরাফুল দিয়েছেন অনেক কিছুই। তবুও নামটি এক অসমাপ্ত গল্পের!
১২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারটি হতে পারতো আরো লম্বা; হতে পারতো রেকর্ডময়। যেখানে রচিত হতো নতুন মহাকাব্য। হতে পারতো অনেক জয়ী ম্যাচের নায়ক। নিজেকে নিয়ে যেতে পারতেন সেরাদের কাতারে। কিন্তু আফসোস! সামান্য ভুলে শেষ হয়েছে সহজ-সরল আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। শেষ হয়েছে ১২ বছরের লম্বা পথচলা। তবে! এই ১২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে স্মৃতির পাতায় যেইসব সাফল্য যুক্ত করেছে সেটাই বা কম কিসে? আজও স্মৃতির পাতা মনে করিয়ে দেয় সেই সাফল্যের দিনগুলো। আচ্ছা আসুন বঙ্গদেশের প্রথম সুপারস্টারের কিছু সাফল্যের গল্প শুনি।
.
সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে আশার ফুল হয়ে আসা আশরাফুল খুব কম সময়ে জয় করে নিয়েছিলেন ভক্তদের মন। সুযোগ পেয়েই নিজের নামটি তুলেছিলেন রেকর্ড বুকে, হয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। ২০০১ সালে নিজের অভিষেক টেস্টে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোস্তাক মোহাম্মদ ১৭ বছর ৭৮ দিনে করা সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ১৭ বছর ৬১ দিনেই নিজের করে নিয়েছিল আশরাফুল; খেলেছিল ১১৪ রানের চোখ জুড়ানো এক ইনিংস।
.
ভারতের বিপক্ষে বীরত্ব গাঁথা ইনিংস:
সময়টা ২০০৪ সাল, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। পাঠান, জহির খান, হরভজন সিংদের মতো বিশ্বসেরা বোলারদের বিপক্ষে ২২ গজে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়েছিলেন আশরাফুল। সেদিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে খেলেছিলেন ১৫৮ রানের অপরাজিত এই ইনিংস! এমন তরুণ বয়সে জহির খান, পাঠানদের মতো বোলারদের তুলোধুনো করে এমন ব্যাটিং যে সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আর সেটি করেই বিশ্বকে জানান দিয়েছিলেন আশরাফুল!
.

কার্ডিফে আশরাফুলে অজিদের পতন:
মনে পড়ে ২০০৫ সালের কার্ডিফ স্মৃতি? আচ্ছা এমন স্মৃতি কি ভোলা যায়? যে স্মৃতি ফিরিয়ে দেয় আশরাফুলের শৈশব সেই স্মৃতিতো এতো সহজে ভোলার নয়। আর ভুলবেন বা কি করে! সেদিন যে রচিত হয়েছিলো ইতিহাস, নায়ক বনে গিয়েছিলেন আশরাফুল! অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০০ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস! যা তাকে আলোচনায় নিয়ে আসতে বাধ্য করেছিলো।
.
১০৯ রানের গল্প:
২০০৮ সালের এশিয়া কাপ! বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত। সেদিন দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিলে একটু ব্যক্তিক্রমী ছিলেন রকিবুল এবং আশরাফুল। সেদিন আশরাফুল খেলেছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের সেরা ইনিংসটি। ব্যাট হাতে ৮ বাউন্ডারিতে সেদিন খেলেছিলেন ১০৯ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস। যা আশরাফুলের ক্যারিয়ারের সর্ব্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো।
.
ইংল্যান্ড এবং ১৮০.৭৭ সংখ্যার গল্প:
ক্রিকেট মাঠে ক্ষেপাটে বাঘ; যার সামনে বোলাররা হয়েছিলো দিশেহারা। তরুণ এক ব্যাটসম্যানের এমন ব্যাটিংয়ে বিশ্ব তোলপাড়। কে এই ছেলে? যিনি ইংল্যান্ডের সেরা বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে চালাচ্ছেন ব্যাটিং তান্ডব! হ্যা, তিনি ছিলেন আশরাফুল। যেই আশরাফুল ২০০৫ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে মাত্র ৫২ বলের মোকাবিলায় ১৮০.৭৭ স্ট্রাইকরেটে খেলেছিলো ৯৪ রানের মারমুখী এক ইনিংস। যা তাকে বিশ্বের সামনে আলোচনায় আনতে বাধ্য করেছিল।
.
কাছে গিয়েও হয়নি ছুঁয়ে দেখা:
কি এমন হয়েছিলো; কি ঘটেছিলো ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে! মনে পড়ে? অবশ্য আশরাফুলকে নিয়ে ঘাঁটতে গেলে সেই ইনিংসটি বারবার ভেসে ওঠে চোখের পাতায়! কেননা সেদিন সুযোগ তৈরি করেছিল প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করার! কিন্তু তা আর হয়েছিল কই? ব্যক্তিগত ১৯০ রানে হেরাথের বলে আউট হয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল আশরাফুলের। তবে সেদিন খেলেছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে নিজের সর্ব্বোচ্চ রানের ইনিংস।

এমন অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে আশরাফুলের নামের পাশে। সবকিছু তো আর লেখে শেষ করা সম্ভব নয়। এতসবের পরেও একটা দিক দিয়ে আশরাফুলকে অনেক ভাগ্যবান বলায় যায়! কেননা প্রায় ১২ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে ওয়ানডেতে ২২.২৩ গড় আর টেস্টে ২৪.১ গড়ে রান করে যাওয়ার পরেও তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম সুপার স্টার তকমা। বাজে ফর্ম তাকে খুব বেশী আলোচনায় নিয়ে আসেনি, তবে নিজের দিনে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে জেতানোর জন্যই অনেকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।
একজন আশরাফুল; বাংলাদেশের অনেক ম্যাচ জয়ের সাক্ষী হয়ে আছেন। যেদিন হেসেছিল আশরাফুলের ব্যাট সেদিন হেসেছিল পুরো বাংলাদেশ। রচিত হয়েছিল নতুন ইতিহাস। আচ্ছা আসুন বাংলাদেশের প্রথম জয়ের ম্যাচে আশরাফুলের পারফরম্যান্স গুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক:
▪সময়টা ২০০৪ সাল, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাত্র ৩২ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ।
▪কার্ডিফ জয়! প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার বোলারের গুড়িয়ে দিয়ে খেলেছিলেন ১০০ রানে ম্যাচ উইনিং ইনিংস। সেই সাথে লাল-সবুজের দেশকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয় এনে দিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
▪এবার আসি২০০৬ সালের ঘটনায়, সেদিন শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম জয়ের দেখা। আর সেই জয়ী ম্যাচে আশরাফুল উপহার দিয়েছিল ৫১ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস!

▪কানাডার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়ে ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সিতে আশরাফুল খেলেছিলেন ৬০ রানের মূল্যবান এক ইনিংস। যেই ইনিংসের উপর ভর করেই কানাডাকে প্রথমবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
▪বিশ্বমঞ্চে আফ্রিকা বধ! প্রথম বারের মতো বড় আসরে আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছিল টাইগাররা। আশরাফুল খেলেছিলেন ৮৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
▪২০০৭ সাল, প্রতিপক্ষ টি-২০ ক্রিকেটের রাজা খ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ! সেদিন ব্যাট হাতে আশরাফুলের ৬১ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টি-২০ জয়ের স্বাদ!
▪২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের ম্যাচে আশরাফুল খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৪ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস!
▪একই বছর তথা ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের ম্যাচে ব্যাট হাতে আশরাফুল উপহার দিয়েছিলেন অপরাজিত ৬০ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস।
▪২০০৯ সালে আরব আমিরাতে বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দেশকে এনে দিয়েছিলো আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ। সেদিন ম্যাচসেরা হয়েছিলেন আশরাফুল।
এছাড়াও অনেক জয়ী ম্যাচের সাক্ষী হয়ে আছেন আশরাফুল। রয়েছেন কোটি ভক্তের হৃদয় মাঝে। আশরাফুল যে এদেশের ক্রিকেটের প্রথম ভালোবাসা, তাকে কি সহজে ভুলতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীরা? হয়তো পারেনা।
এই আশরাফুল দেশের পক্ষে অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন, জায়গা করে নিয়েছেন রেকর্ড পাতায়। নামের পাশে যুক্ত করেছেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের তকমা। রয়েছে দেশের পক্ষে তিন ফরম্যাটেই দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
▪টেস্টে ২৬ বলে ফিফটি প্রতিপক্ষ ভারত, ২০০৭ সাল।
▪ওয়ানডে ক্রিকেটে ২১ বলে ফিফটি, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ২০০৫ সাল।
▪টি-২০ তে ২০ বলে ফিফটি, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০৭ সাল।
ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও নিজেকে চিনিয়েছেন বহুবার। নামের পাশে যুক্ত করেছেন কিছু নামীদামী উইকেট। দিনশেষে আশরাফুলকে নিয়ে বলতে গেলে লিখতে হবে মহাকাব্য! কিন্তু এই মহাকাব্যের একটা জায়গায় শূন্য রয়ে যাবে। তাইতো শেষ করেও শেষ করা যায়না আশরাফুলে কাব্যগ্রন্থটি!
একজন আশরাফুলকে তো অনেক জানলাম। এখন কি জানতে ইচ্ছে করছে না এই সুপারস্টারের ২২ গজের পারফরম্যান্সগুলো? অবশ্য পারফর্ম আর পরিসংখ্যানের মাফকাঠিতে সবকিছু প্রকাশ করা যায়না, তবুও আসেন ক্রিকেট মাঠে আশরাফুলের পারফরম্যান্স গুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
টেস্ট ক্রিকেট: সাদা পোশাকে ৬১ ম্যাচের ১১৯ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২২ গজে নামার সুযোগ হয়েছিল আশরাফুলের। এই ১১৯ ইনিংসে সর্ব্বোচ্চ ১৯০ রানে ২৪.০১ গড়ে ৬ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ২৭৩৭ রান! এবং বল হাতে পকেটে পুড়েছিলেন ২০ উইকেট।
ওয়ানডে ক্রিকেট: লাল-সবুজের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে ১৭৭ ম্যাচ খেলার সুযোগ হলে ২২.২৩ গড়ে সর্ব্বোচ্চ ১০৯ রানে ৩ সেঞ্চুরিতে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ৩৪৬৮ রান এবং স্পিন ঘূর্ণিতে শিকার করেছেন ১৮ উইকেট।
টি-২০ ক্রিকেট: ক্রিকেটের ছোট এই ফরম্যাটে ২৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে ১৯.৫৭ গড়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রানে করেছেন ৪৫০ রান। বল হাতে শিকার করেছেন ৮ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্স সাদামাটা হলেও সাফল্যের খাতায় সেটিই ছিলো অনেক পাওয়া। সেই অল্প কিছুর মাঝেই বাংলাদেশ পেয়েছিল অনেক জয়ের স্বাদ। তবে, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো উজ্জ্বল ছিলো আশরাফুলের ক্যারিয়ার। কেননা ঘরোয়া ক্রিকেটের ১৬৪ টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ২১ সেঞ্চুরিতে ২৯.৪৫ গড়ে সর্বোচ্চ ২৬৫ রানে করেছেন ৮৩৯৪ রান এবং লিস্ট এ ক্রিকেটে ১০ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৮৫৪ রান।
সবমিলিয়ে বঙ্গদেশের প্রথম সুপারস্টারের গল্পটা শেষ হয়েছিল শেষ না হয়েই। ফিক্সিং নামক কালো থাবায় ডুবিয়েছিলেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। যা তাকে পড়ন্ত বিকেলের অলস দিনগুলোতে খুব করে কাঁদায়।

একজন আশরাফুলের ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল সময়ের দিনগুলোতে ফিরে গেলে মনে পড়ে কার্ডিফে সেঞ্চুরির পর রিকি পন্টিংয়ের দৌড়ে এসে পিঠ চাপড়ে দেওয়ার দৃশ্য, মনে পড়ে ভারত বধের পর সেই মায়াবী উদযাপন, মনে পড়ে ইংরেজদের বিপক্ষে সেই ব্যাটিং তাণ্ডবের মূহুর্তগুলো। আবার কখনো মনে হয় যদি ফিক্সিং নামক কালো অধ্যায়ের দেখা না পেতেন তাহলে আশরাফুল হতে পারতেন লাল-সবুজের জার্সিতে সেরা রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান। হতে পারতেন ঐতিহাসিক ম্যাচ জয়ের নায়ক। কিন্তু সেটা তো কল্পনা মাত্র! কেননা সেটি বাস্তবে সম্ভব হয়নি আর।
অনেকতো হলো এবার নাহয় শেষ করি? আচ্ছা যাকে নিয়ে এতে আয়োজন, সেই বঙ্গ-সন্তানের জন্মদিন আজ সেটা কি মনে আছে? হ্যাঁ এই আশরাফুল আজ ৩৬ পেরিয়ে ৩৭ এ পা দিলেন। আজকের এই শুভ দিনে আশরাফুলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন আশরাফুল।
শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের প্রথম সুপারস্টার।
শুভ জন্মদিন মিস্টার ৯৮।
শুভ হোক আপনার আগামীর পথচলা। ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে এসে লাল-সবুজের জার্সিতে যদি আরো একবার সুযোগ হয় তাহলে আমাদের উপহার দিও সেই কার্ডিফ জয়ের মতো সেরা এক ইনিংস। যেটি রবে স্মৃতির পাতায় স্মরণীয় হয়ে। ভালো থেকো সবসময়।