একজন মানুষের ক্রিকেটের শুরু সময়টাতে তার পাশে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ থাকে আর সেটা হলো তার ‘ভাই’। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়ে থাকে তাদের ভাই এর দ্বারা। আমি ক্রিকেট খেলা পারিনা বললেই চলে, কিন্তু ছোট থেকে আমি একজন মানুষের সাথেই ক্রিকেট খেলেছিলাম। আর সেটা হলো আমার নিজের ভাই। ২০০৮ কি ‘০৯ সালের সময় ভাইয়া ২৮০/৩০০টাকা দিয়ে একটা আরবিকে ব্যাট কিনেছিলো। আর সেই ব্যাট দিয়েই আমার ক্রিকেট খেলা শুরু তাও ভাইয়ের সাথে। প্রতিদিন দুপুরে বাসার সামনে একটা গলি আছে সেখানে দুইজন মিলে খেলতাম আর বিকেলে সামনের মাঠে পাড়ার ছেলেরা মিলে। ভাইয়ার কিনে দেয়া সেই আরবিকে ব্যাটটা এখনো আমার কাছে আছে। ভাইয়া চেয়েছিলো বিকেএসপিতে আমাকে ভর্তি করানোর জন্য কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। ‘ভাই’রা তো ক্রিকেটে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকে, আবার দুই ভাই একসাথেও খেলে।
অজি ক্রিকেট দলকে যদি শিল্প বলা হয়, তাহলে এই শিল্পের শিল্পী ওয়াহ ব্রাদার্স। ১৯৬৫ সালের ২ জুন সিডনিতে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জন্ম নেন দুই ভাই স্টিভ আর মার্ক ওয়াহ। তাদের মাঝে অদ্ভুত মিল রয়েছে। যমজ ভাই তারা, স্টিভের দাঁতে ব্যাথা হলে মার্কেরও দাঁতে ব্যাথা হয়। একজনের জ্বর হলে কয়েকদিন পর নাকি অন্যজনেরও জ্বর হয়। মার্ক ওয়াহ এর যখন অজি ক্রিকেট দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষা করেন ততদিনে স্টিভ ওয়াহ অনেকগুলো ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সেদিন মার্ক ওয়াহ দলে ডাক পেয়েছেন, আর এই খুশির খবর বাড়িতে জানান বড় ভাই স্টিভ ওয়াহ। বাড়িতে তৈরী হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। সবকিছু শেষে স্টিভ ছোট ভাই মার্ককে জানান, তার পরিবর্তেই দলে ডাক পায় মার্ক ওয়াহ।
একজন ক্যাপ্টেন যতদিন দলে থাকে ততদিন তিনি দলকে এক কৌশলে পরিচালনা করেন। এরপর যখন নতুন ক্যাপ্টেন আসে, তখন শুরু হয় আবার নতুন কৌশল। কিন্তু এইদিক দিকে স্টিভ ওয়াহ ক্ষেত্রে ভিন্ন৷ তিনি দলটাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন যে তিনি চলে যাওয়ার পরেও তার দিয়ে যাওয়া পথ থেকে সরে আসেনি অস্ট্রেলিয়া। তিনি চিলেন মেকানিকের মতো, মেশিন চালু করে দিয়ে বিশ্রাম নিতে গিয়েছেন। তিনি যখন অজি দলের ভার নেন হাতে তখন দলকে একটা জিনিসই শিখিয়েছেন – জয়৷ তিনি এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলেন যে, স্টিভ ওয়াহ’র অজি দল মাঠে নামবে এবং খেলায় জিতবে৷ স্লেজিং জিনিসটাকে রীতিমতো শিল্পে পরিণত করেছেন তিনি। চোখে মুখে আগ্রাসী ভাবে সাথে স্লেজিং মিলিয়ে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের মনোবল ভেঙে দিতে পটু ছিলেন তিনি। স্টিভ ওয়াহ এর অজি দল যে হারতো না সেটা না। তবে যে দল অজিদের বিপক্ষে জিততো সেই দল জিতার পর রীতিমতো হাঁফ ছেড়ে বাঁচতো। কারণ, অজিরা সেইসময় ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত বিপক্ষ দলের টুঁটি চেপে ধরে রাখতো। এক কথায় যদি বলতে হয়, তাহলে বলবো তারা জিতা ম্যাচ গুলো হেরে গিয়েছিলো। রানাতুঙ্গার শ্রীলঙ্কা, শচিন আজহারের ইন্ডিয়া, ব্রায়ান লারার উইন্ডিজ বা ক্রোনিয়ের আফ্রিকা, কারোরই নিস্তার ছিলো না স্টিভের মাইটি অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে।
এশেজের সময় একবার ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছে জেমস অরমন্ড। গার্ড নিচ্ছেন, আর সেই সময় স্লিপ কর্ডন থেকে ভেসে আসলো মার্ক ওয়াহ এর কন্ঠে, ” তুমি এখানে কি করছো? আমার তো মনে হয় ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতাই তোমার নেই। ” বড় ভাই স্টিভের মতোই স্লেজিংয়ে কম ছিলেন এই মার্ক ওয়াহ। দুই ভাই মিলে রাজত্ব করেছে অজি ক্রিকেটে। দুই ভাই মিলে একসাথে ১০৮ টেস্ট খেলেছেন আর সেই দলটাকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার সেরা দল। স্টিভ ওয়াহ এর অধিনে অস্ট্রেলিয়া ৫৭টেস্ট খেলে জিতেছে ৪১ টেস্ট। এমন রেকর্ড আর কোনো অধিনায়ক করতে পারে কি না কে জানে। মার্ক ওয়াহ তিনি অজিদের হয়ে মোট খেলেছেন ১২৮টি টেস্ট আর রান করেছেম ৮০৩৯, এভারেজ ৪১.৮১। বোলিংয়েও কম যান না তিনি, ১২৮টেস্টে তিনি নিয়েছেন ৫৯ উইকেট। ওইদিকে স্টিভ ওয়াহ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০০০০ এর উপরে রান করা ১১ জন ব্যাটসম্যানের একজন। ধারাবাহিকভাবে ১৬টি টেস্ট জয় করেছেন তিনি এবং অস্ট্রেলিয়া। ‘৯৯ এ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্যাপ্টেনও ছিলেন তিনি। সুতরাং, বলাই যায় অজি ইতিহাসের সেরা ক্যাপ্টেন ছিলেন স্টিভ ওয়াহ আর সেই দলেই নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন মার্ক ওয়াহ।

ব্যান্ড অব ব্রাদার্স – ভাইদের দল। ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ভাইয়ের জুটি বলা হয় এই স্টিভ আর মার্ক ওয়াহ কে।কিন্তু সেই ডুয়ো এর পরে বর্তমান ডুয়ো হলো মার্শ ব্রাদার্স। টম কারেনের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে ব্যাটে বলেই লাগিয়েই দৌড়। সেঞ্চুরি পূরণের আনন্দে বেমালুম রান নেয়ার কথা। পিচে মাঝেই শন মার্স তার ছোট ভাই মিচেল মার্শকে জড়িয়ে ধরলেন। আর এদিকে ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ রান নেয়ার জন্য ডাগ-আউট থেকে তাড়া দিচ্ছিলেন। মিচেলের আগেই শন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলো। ২০০১ স্টিভ আর মার্ক ওয়াহ এর পর এই প্রথম একই ইনিংসে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরি দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। অজি ক্রিকেটের বর্তমান ভাইয়ের জুটি হচ্ছে শন আর মিচেল মার্শের এই জুটি।

বিখ্যাত আন্ডার-আর্ম বিতর্কের নাম শুনেছেন। ওই যে ১৯৮১ সালে বেনসন এন্ড হেজেস সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যখন কিউইদের ১ বলে ৬ দরকার। তখন বড় ভাই ক্যাপ্টেন গ্রেগ চ্যাপেল ছোট ভাই ট্রেভর চ্যাপেলকে নির্দেশ দেন আন্ডার-আর্ম বল করতে। ব্যাটসম্যান বল ব্লক করে বের হয়ে যান মাঠ থেকে এবং অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নেয়। এই সময় কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন চ্যাপেল ব্রাদার্সের সবচেয়ে বড় ইয়ান চ্যাপেল ছিলেন কমেন্ট্রি বক্সে। এই ঘটনার পর দুই ভাই গ্রেগ আর ট্র্যাভর চ্যাপেল বেশ নিন্দিত হন। তবে অজি দলে ইয়ান চ্যাপেল নিজেকে মাস্টার ট্যাক্টিশিয়ান হিসেবে পরিচিত করেছে আর গ্রেগ নিজেকে পরিচিত করেছে ওয়ান অব দ্যা ফাইনেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। গ্রেগ আর ইয়ান একসাথে ৪৩টি টেস্ট খেলেছে যার মাঝে ২২টিই অজিরা জিতেছে। অপরদিকে ট্রেভর চ্যাপেল মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।

আপনি একজন ক্রিকেট ফ্যান কিন্তু ফ্লাওয়ার ব্রাদার্স কে যদি না চিনে থাকেন, তাহলে আপনার ক্রিকেট ফ্যান হওয়া আরো দেরি। পুরো একটা দলের ব্যাটিং কান্ডারি ছিলেন দুই ভাই এন্ডি ফ্লাওয়ার আর গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। একসাথে খেলেছেন ৬১ টেস্ট। যদিও ৬১টি এর মাঝে জয় পেয়েছেন ৬ ম্যাচে। আর দুই ভাই মিলে করেছেন ৮০০০ রানেরও বেশি। এন্ডি যখন উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়ে ১৫১টি ডিসমিসাল করেন তখন গ্রান্ট তার লেফট – আর্ম স্পিন দিয়ে নেন ২৫টেস্ট উইকেট। জিম্বাবুয়ে দলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন দুইজন। আর এই দুইজনের সম্পর্ক পুরো বিশ্বে বিখ্যাত।

মরকেল ডুয়ো সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন এক অন্য পর্যায়ে। এক ভাইয়ের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এর সাথে আরেক ভাইয়ের ট্রেমেন্ডাস ফাস্ট বোলিং, যা এই ডুয়োকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অসাধারণ সাফল্য দিয়েছে। এলবি মরকেল এর তিন বছরের ছোট মর্নে মরকেল। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু হয় এলবি মরকেল এর। আর তার দুই বছর পর ২০০৬ আসে ভারতে বিপক্ষে অভিষেক হয় ছোট ভাই মর্নে মরকেল এর। এলবি মরকেল ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও মর্নে মরকেল এখনো খেলে যাচ্ছেনা আফ্রিকা দলে। আপনি যখন কারো সাথে আফ্রিকান ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবেন তখন এই দুই ভাইয়ের নাম আসবেই। কারণ এই মরকেল ডুয়ো আফ্রিকান ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছুই করেছেন যা অন্যরা করেনি।

নিউজিল্যান্ডের কোনো স্ট্রোক প্লেয়ারের নাম যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে একটি নামই বলবেন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। উইকেটকিপার হিসেবে দলে আসেন ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে এরপর নিজের মারকুটে ব্যাটিং সাথে উইকেটের পেছনে গ্লাভ হাতে দাঁড়িয়ে নিজেকে জানান দিয়েছেন বিশ্বের কাছে। বর্তমান ফ্রেঞ্চাইজি লীগগুলোতে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এক আতঙ্কের নাম। ব্রেন্ডনের ভাই নাথান ম্যাককালাম তার বড় হলেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে বেশ দেরীতেই। ২০০৭ সালে আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বোলার হিসেবে দলে আসেন তিনি। এরপর দুই ভাইয়ের একসাথে কিউই দলকে সাপোর্ট দেয়া শুরু। ২০১৬ সালে একইসাথে দুই ভাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম সবার কাছে পরিচিত হলেও, নাথান ম্যাককালাম পর্দার আড়ালেই রয়ে গিয়েছিলেন। ছোট ভাইকে নিয়ে নীরবে দেশকে সাপোর্ট দিয়েছেন তিনি।

“Beenie a champion
Bounty a champion
Machel is a champion
Bunji is a champion
Lara is a champion
Gayle is a champion “– গানটা পরিচিত লাগছে না। হ্যাঁ এই গানটি গেয়েছেন বিখ্যাত ক্যারিবিয়ান প্লেয়ার ডোয়াইন ব্রাভো। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এর সাথে মাঠের এন্টারটেইনমেন্ট এ এই মানুষটা। তার সৎ ভাই ড্যারেন ব্রাভো ছিলেন তিন নাম্বার পজিশনের এক ট্যালেন্ডেট ব্যাটসম্যান। দুই ভাই মিলে এক লং টাইম সার্ভিস দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দলকে। ক্রিকেট যদি এন্টারটেইনমেন্ট এর খেলা হয়, তাহলে সেখানে ট্রু এন্টারটেইনার হলো ব্রাভো ডুয়ো।

পালাবদলের মাঝে থাকা উইন্ডিজ দলে আরেক ডুয়ো এর দেখা মিলেছে। একটা কাইল হোপ, নামটা কেমন চেনা চেনা লাগছে তাই না। লাগবেই তো কারণ আগে থেকেই খেলে যাচ্ছেন কাইলের ছোট ভাই শাই হোপ। কাইলের ডাক পাওয়ার গল্পটা হতে পারতো ওয়াহ ব্রাদার্সের মতো। ছোট ভাই শাই যখন টেস্ট আর ওয়ানডে মিলিয়ে ২৫টি ম্যাচ খেলে ফেলছেন, তখন প্রথমবার ডাক পেলেন কাইল হোপ। ২৮ বছর বয়সে এসে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের দরজা খুললো। ভাইয়ের মতোই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তিনি। আর এরপর শুরু দুইভাইয়ের ক্যারিবীয় পথ চলা।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির কথা মনে আছে। ওই যে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেভিন ও’ব্রায়ানের ৫০ বলে সেঞ্চুরি করা ইনিংস। যেই ইনিংসে ভর দিয়ে আইরিশরা ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে। এইবার চলুন যাই ২০০৭ বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কিংস্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামে আয়ারল্যান্ড। ১৩৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে তারা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ডিএল ম্যাথডে রান নেমে আসে ১২৮ রানে। নিল ও’ব্রায়ানের ১০৭ বলে ৭২ রানের স্লো বাট ভ্যালুয়েবল ইনিংসে ভর দিয়ে পাকিস্তানকে হারায় আইরিশরা৷ আপনি যখন আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের নাম নিবেন তখন সবার আগে এই দুইভাইয়ের নাম আসবে। নিল ও’ব্রায়ান এবং কেভিন ও’ব্রায়ান; যাদের কে মানা হয় আইরিশ ক্রিকেটের আইকন হিসেবে।

বাংলাদেশের সেরা ওপেনার কে? চোখ বন্ধ করে আপনি উত্তর দিবেন তামিম ইকবাল। তামিম ইকবাল ছাড়া ওপেনিং কেমন জানি কল্পনাতিত হয়ে গিয়েছে। কারণ, তামিমের মতো ওপেনার এখনো আসেনি বাংলাদেশে। যারা এসে তারাও ধারাবাহিক না। আচ্ছা, আমরা তো সবাই তামিম ইকবালকে চিনি। কেউ কি নাফিস ইকবালকে চিনি। যিনি বাংলাদেশের হয়ে ১১টি টেস্ট, ১৬টি ওয়ানডে খেলেন। তিনি দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে। এরপরে শুরু তামিম ইকবালের যাত্রা যিনি এখনো সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন দেশকে।
আপনার যদি একজন বড় ভাই থাকে তাহলে আপনার সামনে অনেক রাস্তা খোলা পাবেন। উপরেই দেখুন না ওয়াহ ব্রাদার্স একসাথে বিশ্বজয় করেছে। অন্যরা নিজের দেশের সেরা ক্রিকেটারদের মাঝে অন্যতম হয়েছেন। আপনি ইতিহাস ঘাটলে এমন অনেক ব্যান্ড অব ব্রাদার্স পাবেন যারা একটা দলে অনস্বীকার্য খেলোয়াড় ছিলো। আপনার ভাই আপনার কাছে কি আমি জানি না। তবে আমার ভাই আমার কাছে একজন সুপারহিরো। আর উপরের ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্স’ এর প্রতিজনই এক একজন সুপারহিরো।