১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘দ্যা মাইজার’ শন পোলক!

প্রতিবেদক
Nayan
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই , ২০২০ ১১:৪৭

শন ম্যাকলিন পোলক দঃ আফ্রিকার কেপ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৩ সালের ১৬ জুলাই।

পোলক পরিবার, যাদের রক্তে মেশা ক্রিকেট এমন একটি ক্রিকেট পরিবার থেকে জন্ম হয় দঃ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা বোলারের। শন পোলকের দাদা ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার এন্ড্রু পোলক। তার বাবা পিটার পোলক ছিলেন দঃ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ৬০ দশকের। অন্যদিকে তার চাচা গ্রায়েম পোলক ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। উইজডেনের ভাষায়, “One of the finest, if not the finest, left-hander to play the game”. স্যার ডন ব্রাডম্যানের চোখে ২ জন সেরা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের একজন ছিলেন গ্রায়েম পোলক। সেই পরিবার থেকে ফাস্ট-মিডিয়াম সিম বোলার হিসেবে ১৯৯৫ সালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় শন পোলকের।

১৯৯৫ সালে টেস্ট অভিষেকে নিজের আগমন বার্তা জানান দেয় পোলক। ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান আথারটন, গ্রাহাম থর্প এবং সে ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গ্রায়েম হিকের উইকেট তুলে নিয়ে। সে ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ব্যাটিং কিংবা ২য় ইনিংসে বোলিং করার সুযোগ হয় নাই পোলকের।

১৯৯৬ সালের ৯ জানুয়ারি সালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেপটাউনের লিউল্যান্ডসে ওয়ানডেতে শন পোলকের অভিষেক হয়। এক পর্যায়ে তার দল ১৫২ রানে ৭ উইকেট হারায় আর ৮ নাম্বারে ব্যাটিং করতে নামেন পোলক। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ৬৬ বলে ৬৬ রান করে দলকে এনে দেন ২১১ রানের একটা পুঁজি। এই টার্গেটে হয়ত খুব সহজে জিতে যাবে এমনই কল্পনা করেছিল মাইক আথারটনের ইংল্যান্ড দল। শুরুতে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল ইংল্যান্ড কিন্তু অভিষেক হওয়া এই তরুণের আগুনঝরা বোলিংয়ের সাথে রান দেয়ার মাঝে কৃপণতার কারণে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। অভিষেকে ৪ উইকেট তুলে নেন শন পোলক। ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে সেদিন এক পোলকের কাছেই হারে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর চেয়ে সেরা অভিষেক আর কি হতে পারে? আফ্রিকার কিংবদন্তী হতে যাওয়া শন পোলকের অভিষেক হয়েছিল আজীবন স্মরণীয় করে রাখার মত।

Shaun Pollock Sensational Performance on ODI Debut | 66 Runs and 4 Wickets vs Eng | Cape Town 1996

আফ্রিকার সর্বকালের সেরা বোলার শন পোলক গতির উপর নির্ভরশীল ছিলেন না, ছিলেন না এক্সপ্রেস খ্যাত বোলার। বোলিংয়ে একুরেসি মেইন অস্ত্র, নিজের “বুদ্ধিমত্তা” দিয়ে বল করতেন, সাথে ছিল ভালো লাইন ল্যান্থ ঠিক রেখে বলকে সুইং করানো। অফ স্ট্যাম্পের বাহিরে একটানা বল করে যাওয়া, গুড ল্যাংথে বল ফেলে কখন স্ট্যাম্প লাইনের ভিতরে আবার কখন অফ স্ট্যাম্পের বাহিরে অ্যাওয়ে মুভমেন্ট করাতে পারতেন তিনি। আর যদি পিচ থেকে কোন গতি পেতেন তার সাথে পিচ থেকে ন্যাচারাল সুইং কাজে লাগিয়ে সব ব্যাটসম্যানদের কাবু করতেন। তার আরেকটা গুণের কথা উল্লেখ্য করা যায় সোজা বাউন্সার দিতে পারতেন। পোলক ছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং চামিন্দা ভাস টাইপ বোলার। যারা ব্যাটসম্যানকে গতি দিয়ে পরাস্ত করতেন না।

বোলিং জুটিঃ ক্রিকেটে সেরা বোলিং জুটি হিসেবে অনেক জুটির নাম ছিল। বর্তমানে যেমন সাউদি ও বোল্ট, অ্যান্ডারসন ও ব্রড, আগের জুটি যেমন ডেনিস লিলি ও জেফ টমসন, গ্লেন ম্যাকগ্রা-জেসন গিলেস্পি, ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুস, কার্টলি অ্যামব্রোস-কোর্টনি ওয়ালস। যে জুটি যেকোনো দলের ব্যাটসম্যানদের ঘুম কেড়ে নিত। তেমনি এক জুটি ছিল অ্যালান ডোনাল্ড এবং শন পোলক। এক দিকে ডোনাল্ড বোলিংয়ে গতির ঝড় তুলতেন অন্য দিকে পোলক লাইন ও লেংথের শৈল্পিক প্রদর্শনী দেখাতেন। ক্রিকইনফোর এক আর্টিকেলে এ সম্বন্ধে লিখেছিল, ‘His new-ball partnership with Allan Donald was the springboard of South Africa’s success during the latter half of the 1990s. The emergence of Pollock inspired Donald to greater heights as the latter found himself with a partner who both complemented and challenged him।

ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক বেশি সফল ছিলেন পোলক যার কারণ বোলিংয়ে বৈচিত্র্য। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একধরনের বোলিং অস্ত্র দিয়ে কখনও সফল হওয়া যায় না। পোলক উইকেটের ধরণের উপর নির্ভর করে নিজের বোলিং গতি পরিবর্তন করতেন। বর্তমান যুগের ক্রিকেটে সবচেয়ে পরিচিত কৌশল ডেথ ওভারের নিখুঁত ইয়র্কার দেয়া, যেটা ছিল শন পোলকের বোলিংয়ের আরেক বড় অস্ত্র।

১৯৯৬ সালের ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে শন পোলক করেন অসাধারণ এক কীর্তি। ফোর ইন ফোর’ অর্থাৎ পর পর ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এজবাস্টনে লেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ওয়ারউইকশায়ারের দলের হয়ে। এবং সে ম্যাচটি ছিল কাউন্টিতে তার অভিষেক।

১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ৯ নাম্বারে নেমে করেন ৪০ রান এরপর ৪১ ওভার বল করে তুলে নেন ৮৭ রানে ৭ উইকেট সম্পূর্ণ ব্যাটিং পিচে অস্ট্রেলিয়াকে নাকানিচুবানি দেন পোলক। টেস্টে এই বোলিং ফিগারকে ক্যারিয়ার শেষে নিজের সেরা পারফরমেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

অধিনায়ক পোলকঃ হ্যান্সি ক্রনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং এর পর দঃ আফ্রিকা ক্রিকেট আবারও অন্ধকার যুগে চলে যাচ্ছিল। এমন সময় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন শন পোলক। কিন্তু অধিনায়ক হয়ে অনেক দায়িত্ব তার কাঁধে ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে কঠিন এই চ্যালেঞ্জকে ভালো ভাবে সামনে থেকে দলকে এগিয়ে নেয় পোলক। তার অধিনায়কত্বে দঃ আফ্রিকা ২৬ টেস্টের মাঝে ১৪ টি টেস্ট ম্যাচ জয় লাভ করে এবং পরাজিত হয় মাত্র ৫ টি ম্যাচে আর যদি জয়ের শতকরা হার দেখেন তা দাড়ায় ৫৩% আর তখন ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের রাজত্ব। আর টেস্টে হ্যান্সি ক্রনিয়ে কিংবা গ্রায়েম স্মিথের চেয়েও সফল ছিলেন পোলক। ওয়ানডে ম্যাচের অধিনায়কত্ব যদি দেখেন , ৯৮ ম্যাচে দঃ আফ্রিকা জয় লাভ করে ৬০টি ম্যাচ। পরাজিত হয় ৩৪ টিতে। জয়ের শতকরা হার দাঁড়াচ্ছে ৬৩.৮৩%। তবে ২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছিল বলে তার অধিনায়কত্ব চলে যায়।

টেস্ট ক্রিকেট দঃ আফ্রিকার প্রথম বোলার হিসেবে এবং ক্রিকেট বিশ্বে ১০ বোলার হিসেবে টেস্টে ৪০০ উইকেট শিকার করেন শন পোলক। ২০০৮ সালে অবসরের পরে টানা ১১ বছর দঃ আফ্রিকার টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি(৪২১) বোলার ছিলেন শন পোলক। বর্তমান ডেল স্টেইন ৪৩৯ উইকেট।

** ২০০৮ সালে অবসরের পর থেকে এখন অব্দি দঃ আফ্রিকার ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট তার দখলে ২৯৪ ম্যাচে ৩৮৭ উইকেট।

** টেস্ট ক্রিকেটে ৭১ জন ব্যাটসম্যানকে শূন্য রানে আউট করেন পোলক। সর্বোচ্চ রেকর্ডটি গ্লেন ম্যাকগ্রার দখলে ১০৪ টি।

ব্যাটসম্যান পোলকঃ শুধু বোলিং প্রতিভার গল্প নয় তার লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্যাটিং এর গল্প শুনতে হয়। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন পোলক তবে ৩ নাম্বার থেকে ১০ নাম্বার পজিশনেও ব্যাটিং করেন তিনি।
অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দেয়া পোলক ৬৬ রান করে ৮ নাম্বারে নেমে। ২০০৭ সালে আফ্রো এশিয়া কাপে ইনজুরি নিয়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। এশিয়া একাদশের বিপক্ষে ৭ নাম্বারে নেমে ১১০ বলে ১৩০ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১১ ম্যাচে ৩ থেকে ৫ নাম্বার পজিশনে ব্যাট করেন। ২০০৭ সালে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া ৮ নাম্বার পজিশনে তার রয়েছে ৪ টি অর্ধশত রান। এছাড়া তার রয়েছে মোট ১৪ টি অর্ধশত রান। ওয়ানডেতে ১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৩ বলে ৭৫ রান করেন ম্যাচ জেতান। ২০০২ সালে মাত্র ৩৪ বলে ৬৯ রান করেন।

এবার টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং যদি দেখিঃ টেস্টে ৪,৫,৬ নাম্বার পজিশনে ব্যাটিং করেন মোটে ৫ বার যার সর্বোচ্চ ছিল ৪৪। আর বাকী সময় ৭ থেকে ৯ নাম্বারে বেশি ব্যাটিং করেন তিনি। সবচেয়ে দেখার বিষয় নাম্বারে শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ২ টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে ৯ নাম্বার ব্যাটসম্যান হিসেবে। টেস্টে এই ২ সেঞ্চুরির সাথে রয়েছে ১৬ টি অর্ধশত রান। সবচেয়ে লক্ষণীয় গড় ৩২ যা অনেক ভালো মিডল/টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের চেয়েও ভালো। একটা জিনিস লক্ষণীয় তার ক্যারিয়ার দেখলে সুন্দর ভাবে ফুটে উঠে দঃ আফ্রিকা কখনও পোলকের ব্যাটিং সার্ভিস ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে নাই।

রেকর্ডের তালিকায় পোলকঃ

** একদিনের ম্যাচে ১০০ ওভার মেইডেন নেয়ার রেকর্ড রয়েছে ২৮ জন বোলারের । ২০০ ওভার মেডেন নিয়েছেন মাত্র ৪ জন বোলার আর ৩০০ ওভার মেইডেন নিয়েছেন মাত্র ১ জন। সে বোলারের নাম শন পোলক।

** শন পোলক তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৩ বছরের। যার ১১ বার বছর শেষে বোলিং র‍্যাংকিং এ ৪ নাম্বারে যায় নাই কখনও । বছর শেষে ৭ বার ছিলেন ১ নাম্বার বোলার র‍্যাংকিংয়ে।

ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ ম্যাচের বেশি খেলা বোলারদের মাঝে সবচেয়ে কম ইকোনমি শন পোলকের ৩.৬৭ । আবার কমপক্ষে ৯০০০ বল করেছে এমন বোলারদের মাঝে ২য় সেরা ইকোনমি শন পোলকের। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট কার্টলি অ্যামব্রোসের ৩.৪৮।

** ২০০৩ সালে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘উইজডেন’ বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

** শন পোলক তার বিদায়ী ওয়ানডে সিরিজে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ হয়েছিলেন।

** শন পোলক এক মাত্র ক্রিকেটার যার টেস্ট ও ওয়ানডে ২ ফরম্যাটে ৩০০০+ রানের সাথে আছে ৩০০+ উইকেট।

** আই সি সি ওয়ানডে ও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে ১ নাম্বার বোলার ছিলেন এক সাথে ।

** ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘উইজডেন এর জরিপে একুশ শতাব্দীর গত ২০ বছরে সেরাদের তালিকায় ওয়ানডেতে (১৭.১ পয়েন্ট ) নিয়ে সেরা ৭ নাম্বার হয়। এবং টেস্টে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নাম্বার হয় শন পোলক।

** আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১৩ বার শচীন টেন্ডুলকারের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বাঁহাতি ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্ট, সৌরভ গাঙ্গুলি, জয়সুরিয়াকে আউট করেন ১২ বার।

** ওয়ানডে ক্রিকেটে দঃ আফ্রিকার মাটিতে ২০ গড়ে ১২৭ ম্যাচে ১৯৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

** শুধু মাত্র ব্যাটিং বা বোলিং নয়, আন্তর্জাতিকের ৩ ফরম্যাটে ১৮২ টি ক্যাচ ধরেছেন পোলক।

** টেস্টে মোট ১১ বার এবং ওয়ানডে ম্যাচে মোট ১৬ বার ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন পোলক।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বোলিংয়ে শন পোলকের সেরা পারফরমেন্স গুলোঃ

  • ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪/৪
  • ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬/৫
  • ২০০১ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৭/৫
  • ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮/৪
  • ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৬/৪
  • ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৪/৪
  • ২০০৭ পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩/৫

টেস্টে ক্রিকেটে বোলিংয়ে শন পোলকের সেরা পারফরমেন্স গুলোঃ

  • ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/৫৪ এবং ৪/৪৯
  • ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭/৮৭ এবং ২/৬১
  • ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩/৫১ এবং ৩/৫৩
  • ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/১৬ এবং ৪/৬৪
  • ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/২৮ এবং ৪/৬৬
  • ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৫/২ এবং ৬/৩৯

অনেক গল্পের পর এবার তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিসংখ্যান দেখিঃ

টেস্টঃ ব্যাটিং ১০৮ ম্যাচে ১৫৬ ইনিংসে ৩৭৮১ রান করেন, গড় ৩২.৩১। ১৬টি ফিফটি ও ২টি সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ১১১। বোলিং এ ১০৮ ম্যাচে ২০২ ইনিংসে ৪২১ উইকেট নিয়েছেন, গড় ২৩.১১। ১৬ বার ইনিংসে ৫ উইকেট ও ১ বার ম্যাচে ১০ উইকেটসহ সেরা বোলিং ফিগার ৭/৮৭ এবং ম্যাচে ১০/১৪৭।

ওয়ানডেঃ ব্যাটিং ৩০৩ ম্যাচে ২০৫ ইনিংসে ৩৫১৯ রান করেছেন , গড় ২৬.৪৫ এবং স্ট্রাইকরেট ৮৬.৭০ । ১৪টি ফিফটি ও ১টি সেঞ্চুরি করেন, সর্বোচ্চ ১৩০। বোলিং এ ৩০৩ ম্যাচে ২৯৭ ইনিংসে ৩৯৩টি উইকেট নিয়েছেন, গড় ২৪.৫০ । ৫ উইকেট নিয়েছেন ৫ বার সেই সাথে ৪ উইকেট ১২ বার। ইকোনমি রেট ৩.৬৭ আর সেরা বোলিং ফিগার ৬/৩৫।

টি-২০ঃ ব্যাটিং ১২ ম্যাচে ৮৬ রান। গড় ১২.২৮ এবং স্ট্রাইকরেট ১২২.৮৫। সর্বোচ্চ ৩৬ । বোলিং এ ১৫ উইকেট এবং গড় ২০.৬০, ইকোনমি ৭.৬২ আর সেরা বোলিং ৩/২৮।

২০০৮ সালে জানুয়ারি মাসে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন যেখানে ২ ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর পরের মাসে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরে মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় জানায় এই ইতিহাসের অন্যতম সফল অলরাউন্ডার এবং দঃ আফ্রিকা ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র ও কিংবদন্তি খেলোয়াড় শন পোলক। শেষ করবো শিরোনামের মাইজার কেন দিলাম তার নিয়ে। আধুনিক ক্রিকেটেও যখন ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান তুলতে ব্যস্ত থাকত সেখানে বোলিংয়ে কৃপণতায় ব্যস্ত ছিলেন পোলক তাই তার সতীর্থরা ভালবেসে নাম দেয় দ্যা মাইজার।

,

মতামত জানান :