শচীনের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি, লারার দুর্দান্ত ব্যাটিং, ব্র্যাডম্যানের রেকর্ডময় ক্যারিয়ার, সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার স্যার গ্যারি কিংবা বোথামরা যদি ২২ গজের সেরা ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামটি কি হতে পারে? যদি বলি আধুনিক ক্রিকেটের জনকও তিনি। তাহলে আপনি কোন নামটি নিবেন? আপনি যেই নামটিই নেন না কেনো আমার তালিকায় সেই স্থানটিতে থাকবে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেসের নাম।
যিনি ক্রিকেটের ২২ গজে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক পর্যন্ত বাজে উইকেটেও অনায়াসে চালিয়েছেন ব্যাটিং তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। বাইশ গজে বোলারের দ্রুতগতিতে ছুটে আসা বলটিতে স্ট্যাম্প ছত্রভঙ্গ, তবুও ক্রিজে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যান, যেন কিছুই হয়নি! এমন ভঙ্গিতে বলটি বোলারের কাছে পাঠিয়ে বললেন, ‘ছোকরা, লোকজন পয়সা খরচ করে আমার ব্যাটিং দেখতে এসেছে, তোমার বোলিং দেখতে নয়!’
এমন সব উদ্ভূত গল্পের নায়কের নামটি উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস। যিনি ক্রিকেটের আদিপিতা বা ডব্লিউ জি গ্রেস নামে পরিচিত। ক্রিকেট মাঠে এই গ্রেসে রচিত হয়েছে ইতিহাসের নতুন পাতা, যুক্ত হয়েছে অসংখ্য রেকর্ড, যুক্ত হয়েছে অনেক সাফল্য গাঁথা গল্পের। শুধু কি এইসবেই শেষ গ্রেসের ক্যারিয়ার? না, এই গ্রেসের গল্পটা অনেক বড়। আচ্ছা আসুন এবার গ্রেসের জীবনের জানা অজানা গল্প- কাহিনী জানার চেষ্টা করি।
গ্রেস পেশায় ছিলেন চিকিৎসক, কিন্তু মনে প্রাণে ধারণ করতেন ক্রিকেটকে। যদি ক্রিকেটকে ধারণ না-ই করতেন তাহলে রোগীকে চেম্বারে বসিয়ে রেখে খেলা শেষ করে আসার কথা নয়! এমনটাও হয়েছে, রোগী বসে থেকেছেন পুরো দিন, তবুও গ্রেস ব্যাট-বলের লড়াই শেষ না করে আসেননি। আসলে এইসবেই বোঝা যায় কতোটা খেলাপ্রেমী ছিলেন এই গ্রেস। এই গ্রেসের খেলা প্রেমী হতে অবশ্য পরিবার দারুণ ভাবে উজ্জীবিত করেছে সেটা বলায় যায়, কেননা গ্রেসের দুই ভাইও ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন। শুধু তাই না, ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার একই পরিবারের ৩ ভাই একসাথে কোনো দেশের জার্সিতে খেলেছেন। এই একটা দিক দিয়ে গ্রেস পরিবারকে সবার উপরে রাখতেই হয়।

২২ গজে গ্রেসের সাফল্যের গল্প বলে শেষ করা সম্ভব নায়। সাফল্যের গল্পগুলো জানতে হলে ঘাঁটতে হবে ইতিহাস, লিখতে হবে মহাকাব্য। কিন্তু সবকিছু বলা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে কিছু গল্প বলতেই হয়।
গ্রেস ছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি একইসাথে ব্যাকফুট এবং ফ্রন্টফুটে খেলতে পারতেন। এখানেই শেষ নয়, গ্রেস বিশ্বের প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন, যিনি অফসাইড ও অনসাইডে সমানতালে খেলতে পারতেন। এখন কি মনে হচ্ছে আপনার! গ্রেসকে ‘ফাদার অফ ক্রিকেট’ বলাটা কি ঠিক হবে? তবে হ্যাঁ, এই কথাটি আপনি আমি না মানলেও সেই সময়ে যারা ক্রিকেট দেখেছে তারা মানতে বাধ্য।
ক্রিকেট মাঠে ব্যাট-বলে মাতিয়ে রাখা গ্রেস আরেকটি জিনিস প্রায় প্রয়োগ করতেন ক্রিকেট মাঠে। সেটি হলো চিকিৎসা বিদ্যা। ইতিহাস ঘাঁটলে বেরিয়ে আসে দারুণ কিছু তথ্য। আচ্ছা এবার ক্রিকেটার গ্রেসের ক্রিকেট মাঠে চিকিৎসা দেওয়ার গল্প শোনা যাক। একদা ক্রিকেট মাঠে গ্রেসের ব্যাট থেকে ছুটে আসা বলটি তালুবন্দি করতে গিয়ে মাথায় ধাতুর ছোট একটি টুকরা বিদ্ধ হয়েছিলো এক ফিল্ডারের। সেদিন সেই ফিল্ডারটি মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে গ্রেসের চিকিৎসা নিয়েছিল। এছাড়া গ্লৌচেস্টারশায়ারের এক ক্রিকেটারের গলা খাঁজকাটা রেলিংয়ের সাথে লেগে কেটে যায়, সেদিন গ্রেস প্রায় আধাঘণ্টা চিকিৎসা দিয়ে রক্তপড়া বন্ধ করেন। এভাবে অনেক ক্রিকেটারের চিকিৎসা করেছেন তিনি।
ক্রিকেটমাঠের একজন অতৃপ্ত ব্যাটসম্যানের নাম ছিলো ডব্লিউ জি গ্রেস। তৎকালীন সময়ে বোলারদের চোখের ঘুম কেড়ে নেওয়া গ্রেসের কাছে ছিলো মামুলি বিষয়। আচ্ছা এই গ্রেসের একটা অতৃপ্ত ব্যাটিংয়ের গল্প শুনি। গ্রেসের ক্যারিয়ারে কোনো একটা সময়, এক সপ্তাহে ধারাবাহিক ব্যাটিং করেছেন তিনি। যেখানে এক সপ্তাহে নামের পাশে যুক্ত করেছিলো ৮৩৯ রান! খেলেছিলেন ৩৪৪, ১৭৭ এবং ৩১৮ রানের তিনটি রেকর্ডময় ইনিংস। একবার কি ভেবেছেন! এক সপ্তাহে এমন ৩টি ইনিংস খেলা কতোটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। তবে সেই চ্যালেঞ্জটা ঠিকই নিয়েছিলেন গ্রেস।
ব্যাটসম্যান গ্রেস বোলিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে শিকারে পরিণত করেছেন সেই সময়ের সেরা সেরা ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিংয়ে যেমন কেড়ে নিতেন প্রতিপক্ষ বোলারদের চোখের ঘুম ঠিক তেমনি বল হাতেও কেড়ে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চোখের ঘুম। বল হাতে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৮.১৪ গড়ে পকেটে পুড়েছেন ২৮০৯ টি উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ২৪০ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ছিলো ৬৪ বার। পরিসংখ্যান দেখে চোখ বন্ধ করেই বলা যায় একজন সুনিপুণ পেসার ছিলেন গ্রেস।
এইসবের বাহিরে গ্রেস ক্রিকেটের পিতামহ নামে পরিচিত আছেন। কিন্তু এই পরিচিতি এমনি এমনি সম্ভব হয়নি, এর পেছনে এক রাজকীয় ব্যাটিংয়ের গল্প রয়েছে। যেই গল্পের শেষে গ্রেসকে বলা হয় ক্রিকেটের পিতামহ। আচ্ছা কি সেই গল্প, জানতে ইচ্ছে করছে? এবার তাহলে সেই গল্পটা জেনে নেওয়া যাক…

সময়টা ছিলো ১৮৭৬ সাল। প্রতিপক্ষ ‘গ্রিমস-বি’ দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন গ্রেস। সেদিন প্রতিপক্ষ দল গ্রেসকে বলেন তারা ১১ জনের জায়গায় ২২ জন ফিল্ডিং করবে। কি ভাবছেন! সেদিন কি রাজি হয়েছিলো গ্রেস? হ্যাঁ, সেদিন ২২ জন ফিল্ডিংয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে গ্রেস চালিয়েছিলো ব্যাটিং তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, সেদিন গ্রেস এতোটাই ভয়ংকর ছিলেন যে তাকে আউটই করতে পারেননি বিপক্ষের বোলাররা। ২২ গজের লড়াকু যোদ্ধা যখন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছিলেন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিলো ৪০০ রান। একবার কি ভেবেছেন ২২ জন ফিন্ডারের বিপক্ষে এমন ব্যাটিং করা কিভাবে সম্ভব হয়েছিলো! তবে হ্যাঁ, গ্রেস পেরেছিলো তাইতো সেদিনের পর থেকে তাকে উপাধি দেওয়া হয়েছিলো ‘ক্রিকেটের পিতামহ’।
গ্রেসকে নিয়ে লিখতে গেলে লিখতে হয় অনেক কিছুই। ইতিহাস ঘাঁটলে পাওয়া যায় গ্রেসের ক্যারিয়ারের দারুণ কিছু ঘটনা। কিছু ঘটনা না বললে হয়তো আমার এই লেখাটা পূর্ণতা পাবেনা। পাঠকরা জানতে পারবে না অনেক কিছুই, তাইতো কিছু গল্প জানাতেই হয়।
চিকিৎসক গ্রেস ক্রিকেট মাঠে নামতেন বেশ ঢোলা-ঢালা জামা-কাপড় পরে। যদিও সেই সময়টায় এমন পোশাকের ব্যবহার ছিলো বেশী। তো এই পোশাকের কারণেই ঘটেছিল এক বিপত্তি। একদিন গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ব্যাটিং করছিলো গ্রেস। এমন সময় হঠাৎ একটি বল তার ব্যাটের কোণায় লেগে ঢুকে পড়ছিল তার জামার মধ্যে। সেই সময় গ্রেস রান নেবার দৌড় শুরু করেছিল এবং একে একে ৭ টি রান নেবার পর সংবিৎ ফিরলো হতভম্ব ফিল্ডারদের। সেই মুহূর্তে সকল ফিল্ডার গ্রেসকে জড়িয়ে ধরে জামার ভেতর থেকে বাহির করছিলো বলটি। আর সেদিনই ক্রিকেটে যুক্ত হয়েছিলো নতুন আইনের। যেই আইনের নামটি ‘ডেড বল’।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গ্রেস নামের পাশে যুক্ত করেছেন অসংখ্য রেকর্ড। ঠিক তেমনি ১৮৬৫ সালে থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৮টি দলের হয়ে ৪৪ সিজনে মাঠ মাতিয়েছেন গ্রেস। যা ছিলো তৎকালীন সময়ে রেকর্ড। এখানেই শেষ নয়, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে গ্রেসের রয়েছে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি! ৮৭০ ম্যাচে নামের পাশে রয়েছে ৫৪,২১১ রান। যেখানে সেঞ্চুরি ১২৪ টি এবং ফিফটির দেখা পেয়েছেন ২৫১ বার।
ব্যাট-বলের এই যুদ্ধে নিজের নামটি নিয়েছেন সেরাদের কাতারে। ছিলেন একজন গ্রেট অলরাউন্ডার। ব্যাট বলের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ ৮৮৭ টি ক্যাচ নিয়ে নিজের নামটি লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। ডব্লিউ জি গ্রেস ক্রিকেট ইতিহাসের সেরাদের একজন। যিনি দীর্ঘ সময় ধরে খেলেছেন ক্রিকেট।
এবার ফিরে যাবো পুরোনো দিনগুলোতে। গ্রেসের বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। এই বয়সে ক্রিকেট মাঠে কতোটাই বা প্রমাণ করবে একজন ক্রিকেটার! কিন্তু সেদিন গ্রেস তার বাবার নেতৃত্বে পশ্চিম গস্টার্সের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিল। সেই সময়টাতে গ্রেস এতোটাই ব্যাটিংয়ে মনোযোগী ছিলো যে সেই ম্যাচে উইকেট কামড়ে ব্যাটিং করা সেই বালকটিকে কেউ আউট করতে পারেনি। সেদিন ছেলেটির ক্যারিয়ার শেষে সেরাদের কাতারে যাওয়া তো প্রাপ্যই ছিলো।

এই গ্রেস ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর এবং শেষের গল্পের মাঝখানে পেরিয়েছেন নানান চড়াই উৎরাই। ক্যারিয়ারের মাঝখানে ইংল্যান্ডের জার্সিতে সাদা পোশাকে মাঠ মাতানোর সুযোগও হয়েছিলো। হয়েছিলো ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবারও। এখানেও সফল ছিলেন গ্রেস। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মাত্র ২২ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল তার। এই ২২ ম্যাচে ৩২.২৯ গড়ে করেছিলেন ১০৯৮ রান এবং বল হাতে শিকার করেছিলেন ২ টি উইকেট। প্রিয় এই খেলাটি থেকে যখন বিদায় নিয়েছিল তখন তার বয়স ছিলো ৫০ বছর ৩২০ দিন। এটিও ছিলো একটি রেকর্ড। কেননা, বেশী বয়সে অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের মাঝে গ্রেস ছিলেন তৃতীয় নাম্বারে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরেও বেশকিছু মাতিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। ১৯১৪ সালেই ২৫ জুলাই গ্রেস যখন নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলেছিলো সেদিন তার বয়স হয়েছিলো ৬৬ বছর। মজার বিষয় হচ্ছে, ঐ যে ৯ বছর বয়সে প্রথমবার খেলতে নেমে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া ছেলেটি এই ৬৬ বছর বয়সে জীবনের শেষ ইনিংস খেলার সময়েও অপরাজিত ছিলেন ৬৯ রানে।
ক্রিকেটার গ্রেস ব্যক্তি জীবনে ছিলেন মহৎ একজন মানুষ। যিনি পরিচিত ছিলেন অপেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে। ছিলেন চিকিৎসক হিসেবেও নামকরা। চিকিৎসা পেশাতেও ছিলেন উদার মনের মানুষ। গরীব অসহায়দের সেবা দিয়েছেন বিনামূল্যে। দিনশেষে গ্রেস রয়েছেন সবার মনে। তবে গম্ভীর চেহারার এ ক্রিকেটারকে ২২ গজে ভয় করতেন অনেকে, তার বিপক্ষে কথা বলার সাহসও হয়নি অনেকের।
ডব্লিউ জি গ্রেস; ক্রিকেট ইতিহাসের দারুণ এক চরিত্র ছিলেন। মোটা শরীর, কোমড়ে বাঁধা বেল্টটি কোনোরকমে বেঁধে রেখেছিলো গ্রেসের অবাধ্য ভুঁড়িটাকে। বয়স হয়েছে, চেহারায় ক্লান্তির ছাপ, তবুও ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন ২২ গজে। তিনি জানিয়ে গেছেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
একজন গ্রেসকে নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম । কিন্তু গ্রেসের শুরুটা কিভাবে হয়েছিলো সেটিই তো জানা হলো না। তাইতো ইতিহাসের পাতায় পৃষ্ঠা উল্টিয়ে ফিরে গেলাম প্রথম পাতায়। সেই পাতায় মোটা কালিতে লেখা আছে ১৮৪৮ সালের ১৮-ই জুলাই ইংল্যান্ডের গ্লৌচেস্টারশায়ারে জন্ম হয়েছিল এই গ্রেট ক্রিকেটারের। যিনি পরবর্তী সময়ে কেড়ে নিয়েছিলো বিপক্ষের চোখের ঘুম, রাজত্ব করেছিলো বিশ্ব ক্রিকেটে। এই গ্রেস ২৩ অক্টোবর ১৯১৫ সালে দুনিয়ায় মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিয়েছেন সবার মাঝ থেকে। কিন্তু ততদিনে নিজের নামটি লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। বনে গেছেন ‘ফাদার অফ ক্রিকেট’।