১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইংরেজদের মহানায়ক গ্রাহাম গুচ

প্রতিবেদক
Arfin Rupok
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই , ২০২০ ৯:৩৭

গ্রাহাম গুচ; শুধুমাত্র একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, একজন রেকর্ডবয়ের নাম। ক্রিকেটের ২২ গজে ব্যাট হাতে এমন কিছু সাফল্য গাঁথা ইনিংস রয়েছে যা গুচকে নিয়েছে সেরাদের কাতারে। আবার কখনোবা বল হাতে দলকে এনে দিয়েছেন সাফল্য। এখানেই শেষ নয়, গ্রাহাম গুচ লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা রানসংগ্রাহক। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটেও রয়েছে ৪০ হাজারের বেশী রান। কিন্তু এতোকিছুর পরেও একটা আফসোস নিয়েই বিদায় জানিয়েছেন ক্রিকেটকে। কেনোনা, তিন তিনবার বিশ্বকাপ খেললেও নামের পাশে যুক্ত করতে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা। কিন্তু তাতে কি? ক্যারিয়ার শেষে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছে কোটি ক্রিকেটবোদ্ধার হৃদয়ে। আজকের গল্পটা এক সময়ের সেরা ইংরেজ তারকা গুচকে নিয়েই। আসুন জানতে থাকি গুচের জানা অজানা নানান তথ্য।

গুচ ছিলেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের এক জ্বলন্ত প্রদীপ। যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নিয়েছিলেন এগিয়ে। সেই সাথে ব্যাট হাতে দারুণ সময়ও কাটিয়েছিলেন তিনি। কিছু কিছু ক্রিকেটবোদ্ধা গুচকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সর্বকালের সেটা ওপেনার বলেও আখ্যা দিয়েছেন। কে সেরা! আমি অবশ্য সেটির উত্তর দিতে যাবো না। আমি শুধু ক্রিকেটার গুচের সাফল্য গুলো আলোচনা করবো। আলোচনা করবো গুচের ক্রিকেটীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে।

England batsman Graham Gooch during his innings of 333 on the second day of the 1st Test Match between England and India at Lord’s Cricket Ground in London, 27th July 1990. England won by 247 runs. (Photo by David Munden/Popperfoto via Getty Images/Getty Images)

ক্রিকেট যেনো ইংরেজদের রক্তের সাথে মিশে আছে! নয়তো কেনইবা সেই সময়ে একজন ছোট্ট বালক ক্রিকেটকে বেছে নিয়ে এগিয়ে যাবেন? গ্রাহাম গুচ সেই ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটকে মনেপ্রাণে ধারণ করেছেন। ব্যাটকে হাতিয়ার বানিয়ে নেমেছেন ২২ গজের যুদ্ধে। মাত্র ২০ বছর বয়সেই প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করা গুচ প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে নিজের নামটি নিয়েছেন সেরাদের কাতারে। পরিসংখ্যান বলে গুচ ছিলেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা ওপেনার!

ক্রিকেট মাঠে ভারী ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করতেন গুচ। ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো গুচের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা ছিলো হতাশাজনক। কেন না ১৯৭৫ সালে ইয়ান চ্যাপেলের হাত ধরে যখন তার ব্যাট হাতে মাঠ মাতানোর সুযোগ হয়েছিলো তখন দুই ইনিংসে ডাক(শূন্য) মেরে বনে গিয়েছিলো খলনায়ক। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও আশানুরূপ সাফল্য এনে দিতে না পারায় বাদ পড়েছিল ইংল্যান্ড দল থেকে। নিয়ম ভঙ্গের কারনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয় গুচের উপর। ক্যারিয়ারে এমন পরিস্থিতিতে তার ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া ছিলো চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। তবে, সেখানে সফল গুচ। শুধু সফল নয়, হয়েছেন ইংল্যান্ডের সেরা ক্রিকেটারের একজন।

ক্যারিয়ারের শুরুর ঝড়কে জয় করে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন গুচ। ১৯৭৮ সালে আবারো গায়ে জড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের সাদা জার্সিটি। এরপর থেকে নিজেকে প্রমাণ করেছেন গুচ। অবশ্য এরই মাঝে পেরিয়েছেন নানান চড়াই উৎরাই, কখনো নায়ক আবার কখনোবা খলনায়ক রূপেও দেখা মিলেছে তার। এইসব ছাপিয়ে ব্যাট হাতে নিজেকে প্রমাণ করে সেরাদের কাতারে নিয়ে যাওয়া গুচ সাক্ষী হয়ে আছেন নানান রেকর্ডের।

ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গুচের কিছু রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে দেখা যাক:
১. একই টেস্টে দুই ইনিংসে ২০০ এবং ১০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা ৭ ব্যাটসম্যানের একজন গ্রাহাম গুচ।

২. একই টেস্টের ২ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ৮৬ জন ব্যাটসম্যানের একজন গুচ।

৩. এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০০+ রান করেছেন গ্রাহাম গুচ।

৪. টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় ৩৩৩ রান করা গুচ রয়েছে ১৩ নাম্বারে।

৫. এক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক গুচ। ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৫৬ রান করেছিলেন তিনি।

৬. টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশী বয়সে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারদের তালিকায় গুচ রয়েছে ১৪ নাম্বারে। ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দিন গুচের বয়স ছিলো ৪০ বছর ৩১৪ দিন।

৭. সবচেয়ে বেশী বয়সে ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গুচ রয়েছে ৪ নাম্বারে।

৮. টেস্টে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশী বাউন্ডারি হাঁকানো ক্রিকেটারের তালিকায় এক ইনিংসে ৪৩ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬ নাম্বারে আছেন গুচ।

৯. টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০৭৯ টি চার হাঁকিয়ে সবচেয়ে বেশী চার হাঁকানো ব্যাটসম্যানের তালিকায় গুচ আছেন ১৯ নাম্বারে।

১০. টানা ৩ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি।

১১. ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে ২০০০+ টেস্ট রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান গুচ।

১২. প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে রয়েছে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি।

১৩. লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিক গ্রাহাম গুচ।

১৪. লিস্ট এ ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ২০০০+ রান, বল হাতে ৩০০+ উইকেট এবং ফিল্ডিংয়ে ২৫০+ ক্যাচ নেওয়া একমাত্র ক্রিকেটার গুচ।

এমন অনেক রেকর্ডের সাক্ষী হয়ে আছেন গ্রাহাম গুচ। এইসব সাফল্যময় রেকর্ড বাদ দিলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের সাক্ষীও হয়ে আছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে ডাক মারা ব্যাটসম্যানের নামটিও গুচ, শুধু তাই নয় টেস্টে দুই ইনিংসে ডাক মারার রেকর্ডও রয়েছে তার।

একজন গুচকে জানতে গেলে সামনে চলে আসে জানা অজানা অনেক তথ্য। টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করা গুচ খেলেছেন ৭ টি দেশের বিপক্ষে। এই সাত দেশের মধ্যে ৩ টি দেশের বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৫০+, এখানেই শেষ নয় বাকি ৪ দলের বিপক্ষে তার সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড় ২৩.১৭! সবমিলিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে ১১৮ ম্যাচে ৪২.৫৮ গড়ে ৮৯০০ রান করেছেন তিনি। একবার ভেবেছেন ব্যাট হাতে কতোটা সফল ছিলেই এই গ্রেট?

গ্রাহাম গুচ; ইংল্যান্ডের পক্ষে সাদা পোশাকের ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ব্যাটসম্যান। নিজের দিনে বিপক্ষের বোলারদের গলার কাঁটা হয়ে থাকা গুচ ক্যারিয়ারে ৪৬ টি ফিফটির সাথে সেঞ্চুরি করেছেন ২০ বার। যেখানে রয়েছে ১ টি ডাবল সেঞ্চুরি এবং একটি ৩৩৩ রানের ইনিংস। এছাড়াও অনেক জয়ী ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে মন জয় করেছেন কোটি ভক্তের। আচ্ছা এবার গুচের কিছু সাফল্য গাঁথা ইনিংসের গল্প জানতে থাকি:

▪হেডিংলে বীরত্ব গাঁথা ইনিংস:
সয়মটা ১৯৯১ সাল! মার্শাল, অ্যামব্রোস, ওয়ালশ, প্যাটারসনের বিপক্ষে ১৫৪ রানে অপরাজিত ইনিংসটি নিঃসন্দেহে তার সর্বকালের সেরা টেস্ট ইনিংসের একটি। ব্যাট হাতে গুচ সেদিন পরীক্ষা নিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের। সেদিন নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুচ দলের মোট রানের ৬১.১১% রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় পেতে সাহায্য করেছিলো।

▪লর্ডসে গুচের রেকর্ডময় ব্যাটিং:
চেনা পরিবেশে গুচ কতোটা ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হতে পারে সেটি দেখছিলো ভারত। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে গুচ শুধু নিজের ব্যাটিং শক্তির পরিচয় দেয়নি, নিজের নামটি নিয়েছিল রেকর্ড বুকের শীর্ষে। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৩৩ রান উপহার দিয়েছিলো গুচ। যেটি ছিলো তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এখানেই শেষ হতে পারতো! কিন্তু শেষ হয়নি, এরপর গুচে রচিত হয়েছিলো নতুন ইতিহাস। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেও সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া গুচ সেই টেস্টে ৪৫৬ রান করেছিলো। যা তাকে এক টেস্টে সর্ব্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে।

▪গুচের আক্ষেপ পূরণ:
সাদা পোশাকে অভিষেকের পর অনেকটা পথ পাড়ি দেওয়া গুচ অ্যাশেজে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। কেননা অ্যাশেজে অনেকটা পথ পেরিয়ে এলেও নামের পাশে তখনো সেঞ্চুরি যুক্ত করতে পারেননি তিনি। অবশেষে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলে সেই আক্ষেপ পূরণ করেছিলেন তিনি। সেই সাথে ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিততে সহায়তা করেছিলেন ব্যাট হাতে দারুণ কিছু ইনিংস খেলে।

এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। আবার কখনোবা বল হাতে দলকে এনে দিয়েছে ব্রেকথ্রু। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দিশেহারা করেছেন সেরা সেরা ব্যাটসম্যানদের। একজন ওপেনার হয়েও পেস বোলিংয়ে শিকারে পরিণত করেছেন ২৩ জন ব্যাটসম্যানকে। যদিও একজন বোলার গুচের থেকে ব্যাটসম্যান গুচকেই সবাই চেনেন।

ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাট বাদ দিলে আসবে রঙ্গিন পোশাকের গল্প। রঙ্গিন পোশাকে গুচ দারুণ ভাবে মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। মজার বিষয় হলো ওয়ানডে ফরম্যাটে ওপেনিং থেকে শুরু করে দলের প্রয়োজনে ৬ নাম্বারেও ব্যাট করেছেন গুচ। তবে পরিসংখ্যান বলছে টেস্টের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটেও ওপেনিংয়ে সফল তিনি। কেন না ১২২ ম্যাচের ৯৯ ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ৪০.২৯ গড়ে রান করেছেন গুচ। যেখানে তার ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ৩৬.৯৮!! ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে দেশের পক্ষে ১২২ ম্যাচে খেলতে নেমে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ৪২৯০ রান। যেখানে ৮ সেঞ্চুরির সাথে উপহার দিয়েছেন ২৩ টি ফিফটি।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপে ৩ বার অংশগ্রহণ করা গুচ দেশকে এনে দিতে পারেনি স্বপ্নের ট্রফি। কিন্তু তাতে কি? বিশ্বমঞ্চে ভালোভাবেই মেলে ধরতে পেরেছিলো নিজেকে। ২১ টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করে নামের পাশে যুক্ত করেছিলো ৮৯৭ রান। এখানেই কি শেষ? না, এই গ্রাহাম গুচ ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন সর্ব্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এছাড়াও বিশ্বকাপে ৫ বার ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় গুচ কি ইংল্যান্ডের সেরা ওপেনার! তাহলে আপনার উত্তর কি আসবে? আপনার উত্তর যেটাই আসুক, আমার উত্তর হবে হ্যাঁ।

যাইহোক, একজন গুচকে নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় অনেক কিছুই, লিখতে হবে মহাকাব্য। তবে আজকে মহাকাব্য লেখার সময় হয়তো আসেনি। তবে একটা জিনিস একটু বিস্তারিত আলোচনা করতেই পারি।

১৯৭৩-২০০০ সাল! গুচ মাতিয়েছেন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট। শুধু মাতাননি, নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে ৫৮১ ম্যাচে ৪৯.০১ গড়ে ১২৮ সেঞ্চুরি এবং ২১৭ টি ফিফটির সাহায্যে করেছেন ৪৪,৮৪৬ রান! যা তাকে সর্ব্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় সেরা ১০ এ রেখেছে। বল হাতেও কম জাননি তিনি। এই ফরম্যাটে শিকারে পুড়েছেন ২৪৬ উইকেট।

এতোকিছুর পরেও একটা জিনিস বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। আচ্ছা কি সেটা! মনে করুন, কিছু খুঁজে পেলেন? আচ্ছা আমিই বলছি। গ্রাহাম গুচ ছিলেন লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্ব্বোচ্চ রানের মালিক। যেখানে বিশ্ব ক্রিকেটের চেনা মুখ শচীন, সাঙ্গাকারাকেও টপকে গেছেন তিনি। গুচ ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত লিস্ট এ ক্রিকেটে চালিয়েছেন ব্যাটিং তাণ্ডব। যেখানে ৬১৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ৪০.১৬ গড়ে নামের পাশে যুক্ত করেছেন রেকর্ড ২২,২১১ রান। যেখানে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিল ৪৪ বার। যদিও কখনো ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। তবে, মাত্র ২ রানের আফসোস তাকে পোড়াবে সারাটি জীবন। কেন না এই ফরম্যাটে ১৯৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে ব্যাট হাতে সর্ব্বোচ্চ রানের মালিক বল হাতেও কম ছিলেন না। এই ফরম্যাটে সর্ব্বোচ্চ ৮ রানে ৫ উইকেটে মোট ৩১০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

একজন গুচকে নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম। কিন্তু তার শুরুটাই তো জানা হলো না। ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বোলারদের চোখের ঘুম কেড়ে নেওয়া গুচ ১৯৫৩ সালের আজকের দিনে (২৩ জুলাই) ইংল্যান্ডের এসেক্সে জন্মগ্রহন করেন। যিনি ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে নামের পাশে যুক্ত করেছেন বেশকিছু সম্মাননা। আজকের গল্পের শেষটায় তার সম্মাননা গুলো একটু জেনে নেওয়া যাক:

১. ১৯৮০ সালে উইজডেন কর্তৃক উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে পুরষ্কৃত হন।

২. ২০০৯ সালে রিচি বেনো, ফ্রাঙ্ক, ডেনিস কম্পটন, হ্যারল্ড লারউডের সাথে গ্রাহামকেও আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে পুরষ্কৃত হয়েছেন।

৩. ২০১১ সালে পূর্ব লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক পুরস্কার গ্রহণ করেন গ্রাহাম গুচ।

,

মতামত জানান :