১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দ্যা ম্যান ফ্রম টার্ফ মুর

প্রতিবেদক
ডেস্ক নিউজ
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই , ২০২০ ৮:৪৬

(Photo by Stu Forster/Getty Images)

I always wanted to play sport. When I was at school I was constantly staring out of the window, hoping that the weather was fine to play. Boris Becker was my idol when I was growing up – tennis was probably my favourite sport, but I played everything. l was about 15 when I started showing some promise as a cricketer.

প্রায় ১৩০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসের পাঁচ হাজার চরিত্র থেকে এসেছে কত গল্প, কত ইতিহাস, কত মহাকাব্য। যে চরিত্র গুলো কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়, কখনো হতাশার সমুদ্রে নিমজ্জিত করে আবার কখনো কখনো উচ্ছ্বসিত করে। কেউবা সব সময় শুধুই উচ্ছ্বসিত করে যায়। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড এর ‘জেমস অ্যান্ডারসন স্ট্যান্ড’ এর জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন ক্রিকেটের সেই চরিত্রটি যে শুধুই উচ্ছ্বাসার বানে ভাসায়৷ যে চরিত্রের উত্থান ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলির ভালভার্দে রোডের বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবের মাঠ টার্ফ মুরে। উপরের কথা গুলোও তার৷

ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে আউট ফিল্ডে জিমি অতিভদ্র হলেও বল হাতের জিমি কখনোই আপোষ করেনি সাদাসিধে ভাবে। তার সুইং এর নীল বিষ সব সময়ই পরাস্ত করেছে ব্যাটসম্যানে ব্যাট,প্যাড কিংবা চোখের দৃষ্টিকে। মানুষ জিমিকে বোঝা যতটাই সহজ, বোলার জিমিকে বোঝা ততটাই দুসাধ্য সাধন। ঠিক যেমন ‘দ্যা পিজিওন’ খ্যাত গ্রেট গ্ল্যান ম্যাকগ্রা’র প্রতিচ্ছবি৷ যদিও উইকেট সংখ্যার হিসেবে ম্যাকগ্রাকে টপকেছেন বছর দুয়েক আগেই। ভদ্রতা, প্যাশন,পরিশ্রম, অধ্যবসায়, চেষ্টা, ডিটারমিনেশন, বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো, নিয়মিত পারফর্ম – সব কিছুরই ওই এক প্যাকেজ ‘বার্নলি এক্সপ্রেস’.

১৮ বছর আগে মাত্র ২০ বছর বয়সে ম্যাকগ্রা প্যান্টারদের অজিদের বিপক্ষে ইংলিশদের ১৭২ তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছিলো যে ক্যারিয়ারের, ১৮ বছরের পরিক্রমায় সে ক্যারিয়ারের সাথে লেখা হয়েছে কত শত অর্জন, কত গৌরব, কত শ্রেষ্ঠত্ব আর কত প্রথমের সাক্ষী।

ডেব্যুট্যান্ট জেমস অ্যান্ডারসন

(Photo by David Munden/Popperfoto via Getty Images/Getty Images)

রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেকটা প্রথমে হলেও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে মাস ছয়েক পরেই লর্ডসে হিথ স্টিক, ফ্লাওয়ার, তাইবুদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়ানডে অভিষেকের কিছুদিন পরেই ল্যাঙ্কাশায়ারের সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে হ্যাট্রিক, এর সপ্তাহ এর মাঝেই ডাক আসলো সাদা পোশাকের ইংল্যান্ড দলে। টেস্ট ক্যাপও পেয়ে গেলেন। হয়ে গেলন ইংলিশদের ৬১৩ তম টেস্ট ক্রিকেটার। কিছুদিন আগে শেয়ার করলেন নিজের সেই অনুভূতি –

“It was a really special feeling. It was similar to my Lancashire debut in that since I was growing up as a kid, that’s all I wanted to do. I’d had a good winter in one-day cricket with England and then managed to get a call-up to the Test squad in the summer.”

লর্ডসে টেস্ট অভিষেকেই ম্যাথু হগার্ড – স্টিভ হার্মিসনদের সাথে বোলিং জুটি গড়তে নেমে বল হাতে কেড়ে নেন সব আলো, প্রথম ইনিংসেই শিকার ৫ জিম্বাবুইয়ান। প্রথম ম্যাচেই নাম লেখান লর্ডসের ঐতিহাসিক অর্নাস বোর্ডে। ১৪৫ তম বোলার হিসেবে লর্ডসে ফাইভ – ফার। এই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর কাজটা নিয়মিতই করে যাচ্ছেন জিমি। একের পর এক মুগ্ধ করে যাচ্ছেন সবাইকে।

টেস্ট অভিষেকে ফাইভ – ফার রয়েছে ১৫৬ জন ক্রিকেটারে। ইংল্যান্ডের হয়ে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ৪৭ জন, যাদের একজন জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো যার কাছে রীতিমতো শখের কাজে পরিনত হয়েছে সেই লর্ডসের মাধ্মে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন ১৩ জন ক্রিকেটার। যাদের একজন জিমি। যেখানে জিমি ১২ তম বোলার হিসেবে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকে অনার্স বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন ৫ উইকেট শিকার করে। তারপর মাত্র একজনই এমন কীর্তি গড়েন। তারই সতীর্থ গ্রাহাম ওনিওনস। আফসোসের ব্যাপার হলো জিমির পর কোনো বোলার অভিষেক টেস্টেই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখাচ্ছেন অথচ সেই ইনিংসেই উইকেট শূন্য জিমি নিজেই।


অনার্স বোর্ড নিয়ে অনেক গল্প হলো। আরেকটু বলতে চাই জিমি এবং অনার্স বোর্ড নিয়ে। জিমি তার ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন ২৮ বার। যা ইংলিশ বোলারদের সর্বোচ্চ, টেস্ট ইতিহাসে যেটা ৭ম সর্বোচ্চ। ২৮ বারের ৬ বারই ছিলো লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ বার অনার্সে বোর্ডে নাম লেখান এবং ভন – গুচ দের সাথে ভাগাভাগি করে ক্রিকেটার হিসেবেও সর্বোচ্চ বার নাম লিখিয়েছেন তিনি।

লর্ডসের উড়ন্ত জিমি
(Photo by Stu Forster/Getty Images)

টেস্ট ক্রিকেটে জিমি গড়েছেন অনেক ইতিহাস, সাক্ষী হয়েছেন অনেক ইতিহাসের, সাক্ষী করেছেন অনেক ইতিহাসের। ১০০ টেস্ট উইকেট যেকোনো বোলারের স্বপ্ন৷ টেস্ট ক্রিকেটে তার ১০০ তম উইকেটে সাজঘরে ফিরিয়েছেন জ্যাক ক্যালিসকে, ২০০ তম শিকার পিটার সিডল, ৩০০ তম শিকার পিটার ফুলটন, ‘৩৮৪’ তম শিকার দিনেশ রামদিন, ৪০০ তে সাজঘরে ফিরিয়েছেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে আর ঐতিহাসিক ৫০০ তে এসে স্ট্যাম্প উপড়েছেন ক্যারিবিয়ান ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের।

‘৩৮৪’ তম উইকেটের নাম গুরুত্বসহ বলার পেছনের কারণটা অনেকেরই জানা৷ এপ্রিল ২০১৫, পর্যন্ত ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটের মালিক ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার স্যার ইয়ান বোথাম৷ ৩৮৩ উইকেট নিয়ে যেখানে ক্যারিয়ার শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই রামদিনকে ‘৩৮৪’ তম শিকার বানিয়ে বোথামকে ছাপিয়ে যান জিমি আর ছাড়িয়ে যান সবাইকে, নিজেকে নিয়ে আসেন অনন্য এক উচ্চতায়। প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেব ৪০০, ৫০০, ৫৫০ উইকেটের মালিক তিনি। আছেন ৬০০ থেকে মাত্র ১১ উইকেট দূরে।

শুধুই কি ইংলিশ ক্রিকেট? বল হাতে অ্যান্ডারসনের উইকেট রাজত্ব বিশ্বজুড়ে। পেছনে ফেলেছেন অনেক গ্রেট ফাস্ট বোলারদের৷ ছাড়িয়ে গেছেন কোর্টলি ওয়ালশ, ম্যাকগ্রাদের। পরিসংখ্যানের পাতায় যার সামনে নেই কোনো পেসার। আছেন কেবল স্পিন ত্রয়ী। মুত্তিয়া মুরালিধরণ, শেন ওয়ার্ণ আর অনীল কুম্বলে। মুরালি ওয়ার্ণরা অজেয় কিনা জানি না তবে কুম্বলের ‘৬১৯’ হয়তোবা রেহাই পাবে না জিমির হাত থেকে। তাহলে জিমি হবেন ইতিহাসের সেরা উইকেট শিকারী ত্রয়ীর একজন। বাকীটা সময় আর জিমির সুইংই বলে দিবে।

জিমির অনেক ইতিহাসের মাঝে অনেক বড় ইতিহাস হলো প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে হ্যাট্রিক। ২০ জুন, ২০০৩ -এ কেনিংটন ওভালে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬ তম ম্যাচে দলের ৪৪তম এবং ব্যক্তিগত ৯ম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ সামিকে বোল্ড করে প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে এই এলিট ক্লাবে নাম লেখান। জিমির হ্যাট্রিক ছিলো এমন –

43.4 Razzaq c Trescothick b Anderson
43.5 Shoaib Akhtar c Read b Anderson
43.6 Mohammad Sami b Anderson

২য় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন জিমি। যেখানে ২৫০ এর ক্লাবে একমাত্র ইংলিশ বোলার। ২৬৯ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারের নাম জেমস অ্যান্ডারসন। অথচ রঙিন পোশাকে তিনি সর্বশেষ মাঠে নামেন ২০১৫ তে সিডনীতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে৷

সে এক দুর্বিষহ বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড দলটার জন্য। এরপর আর লিমিটেড ওভারের খেলায় দেখা যায়নি তাকে। এই সময়টায় নিজেকে তৈরি করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের সেরা অস্ত্র হিসেবে। তবুও আক্ষেপ থেকেই যায়। জিমির সুরেই বলি,

I’m proud to have represented England in four World Cups but it was hugely frustrating that we never reached a semi-final or played to our ability.

বন্ধু – সতীর্থ; অধিনায়ক এবং তার ভরসা ।
(Photo by Gareth Copley/Getty Images)

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলুড়ে ক্রিকেটার স্যার অ্যালিস্টার কুক আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের মাঝে জেমস অ্যান্ডারসন। ব্যক্তিগত এবং খেলোয়াড়ী জীবনে দুজনরেই রসায়ন ছিলো খুবই মধুর। দুজনই রিয়েল জেন্টেলম্যানস অব জেন্টলম্যানস গেম এর। দুজনে একসাথে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৩০ টেস্ট। যেখানে জিমির বলে ফিল্ডার হিসেবে কুক নিয়েছেন ৪০ ক্যাচ। যা অ্যান্ডারসনের বলে কোনো ফিল্ডারের (উইকেটরক্ষক ব্যতীত) নেওয়া সর্বোচ্চ ক্যাচ। আবার কুকও কারো বলে এতো ক্যাচ তালুবন্দী করেননি। দুজনের বন্ধুত্ব এবং জিমির বলে স্লিপে দাঁড়ানো নিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় কুক বলেছিলেন –

I can’t describe what Jimmy must go through to do what he does. At tea he said: “I think I’m in for a long spell here.” He’s the best cricketer England have ever produced. He’s an absolute freak. It’s been a pleasure to stand at slip for him.

সিরিজে শেষ আরো যুক্ত করেন,

‘ll share my champagne with Jimmy.’

প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই ড্রীম ইলাভেন, ড্রীম স্পেল, ড্রীম উইকেট, ড্রীম ইনিংস থাকে। কারো কারো ড্রীম বোলিং/ব্যাটিং পার্টনারও থাকে। জিমিও ব্যতিক্রম নন। এক সাক্ষাৎকারে জিমিকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো তার স্বপ্নের বোলিং পার্টনার নিয়ে, কাকে তিনি বাচাই করবেন তার ড্রিম বোলিং পার্টনার হিসেবে। তার উত্তর ছিলো –

“South Africa’s Dale Steyn, or the Australian’s Shane Warne or Glen McGrath.”

জর্জ বেইলী বিভীষিকা –

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ – পার্থের ওয়াকায় অ্যাশেজের ৩য় টেস্ট। অজিদের রান তখন ৩৪১/৬। টিভি স্ক্রিনের ক্যামেরা ড্রেসিংরুম থেকে অধিনায়ক ক্লার্ক এবং স্মিথদের দিকে। বল করবেন অ্যান্ডারসন। স্ট্রাইকে জর্জ বেইলী ১১* আর ননস্ট্রাইকে জনসন ০*। অ্যান্ডারসন তখন ৭৭/০। ভাবতেই পারেননি ওই ওভারটিতে তিনি এমন এক রেকর্ডের সাক্ষী হবেন যা কোনো বোলারই চাইবেননা। বেইলী এভাবে তান্ডবলীলা চালাবেন যেটা অ্যান্ডারসন কেনো, দর্শকরাও ভাবতে পারেননি। বিশেষ করে শেষের দুই ডেলিভারি। সে ওভারটি ছিলো –

86.1 Anderson to Bailey, FOUR runs.
86.2 Anderson to Bailey, SIX runs.
86.3 Anderson to Bailey, Two Runs.
86.4 Anderson to Bailey, FOUR runs.
86.5 Anderson to Bailey, SIX runs.
86.6 Anderson to Bailey, SIX runs.

টাইমলাইনে সে ওভার – 4 6 2 4 6 6

সে ওভারে রান আসে ২৮। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান। ব্যাটসম্যানের নাম ৫ টেস্ট খেলা জর্জ বেইলী আর বোলারের নাম ৫৮৯ উইকেট শিকারী জেমস অ্যান্ডারসন৷ এটাই তো ক্রিকেট, এটাই তো উপভোগ্য। যেখানে পরিসংখ্যান বয়স ক্লাস সবই এক সুতোয় গাঁথা আবার মাঝে মাঝে কোনো কিছুরই যে সামযশ্যতা থাকেনা। অবশ্য এর পরপর ক্লার্কের ইনিংস ঘোষণা এবং করতালিতে অভিবাদন জানান, দর্শকরাও দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিবাদন জানান বেইলীকে। আর সতীর্থরা পিঠ চাপড়ে স্বান্তনা দেন অ্যান্ডারসনকে।

অথচ এর আগের অ্যাশেজের একটি টেস্টে তার ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট হিসেবেই দেখেন তিনি। ২০১৩ অ্যাশেজে ট্রেন্ট ব্রিজের সেই এখনো তার সবচাইতে প্রিয় টেস্ট।

“Trent Bridge, 2013, is my favourite Test. An Ashes opener and England won a thriller by 14 runs. I managed to take ten wickets, which helps.”

১০২৭

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ইংলিশদের পেস ডিপার্টমেন্ট সামলাচ্ছেন এই অ্যান্ডারসন – ব্রড দ্বয়ী। একজনের টেস্ট উইকেট ৫৮৯ আরেকজনের ২ দিন আগেই পা দিয়েছে ৫০০ এর ক্লাবে। সম্মিলিত ভাবে দুজনের টেস্ট উইকেট ১০২৭ টি। টেস্ট ইতিহাসে যা ৩য় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ওয়ার্ন – ম্যাকগ্রা ১২৭১ টি এবং মুরালী – ভাস ১১২৪ উইকেটে। ব্রড অ্যান্ডরসন একমাত্র পেস জুটি হিসেবে ১০০০ উইকেটের বিরল কৃতিত্ব দেখান।

ব্রড- অ্যান্ডরসন যে জুটিতে একে অপরের পরিপূরক।
(Photo by Michael Steele/Getty Images)

দুদিন আগে ব্রডের ৫০০ উইকেটের কীর্তিতে দারুণ উচ্ছ্বসিত এবং আশাবাদী হতে দেখা গিয়েছিলো অ্যান্ডারসনকে।

“The wickets will take care of themselves and there’s a very good chance he will take more wickets than me if he carries on like this.”

“I heard him say the other day, why can’t he carry on until he’s my age, and that’s absolutely true. He’s in great shape.”

তবে ব্রড শুধু বোলিং দিয়ে নয় অ্যান্ডারসন ১৩ বছর আগে মুগ্ধ করেছিলেন তার রূপের সৌন্দর্য দিয়েই। প্রথম দেখায় ব্রডকে দেখে অ্যান্ডারসনের মনে হয়েছিলো হয়তোবা কোনো মেয়ে।

“The first time Stuart Broad walked into the dressing room, with his flowing blond hair, striking blue eyes and perfect figure, I thought: ‘My God, she’s beautiful.

১০৩* টেস্টে ক্রিকেটে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে উইকেটের শতক আছে মাত্র ৫ টি, কীর্তি গড়েছেন ৩ জন ক্রিকেটারের। এক মুত্তিয়া মুরালিধরনই এই তালিকায় নাম লিখিয়েন ৩ বার। একজন তারই স্বদেশী রঙ্গনা হেরাথ হেরাথ আরেকজন জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন। ক্রিকেট তীর্থে তার উইকেট সংখ্যা ১০৩*।

৫৯২ – ৩ ফরম্যাট মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ ৫৯২ বার ব্যাটসম্যানকে ফিল্ডারের তালুবন্দী করেছেন।

১৮০- ৩ ফরম্যাট মিলিয়ে জিমি ১৮০ বার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে যেটি ১১৬ বার। যা টেস্ট ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ বোল্ডের রেকর্ড।

৩৩১৬৩ – টেস্ট ক্রিকেটে জিমির ডেলিভারি ৩৩১৬৩। যা টেস্ট ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ। এই ৩৩১৬৩ বলে জিমি রান দিয়েছেন ১৫৮২০, উইকেট ৫৯২। স্ট্রাইক রেট ৫৬.৩। টেস্ট ক্রিকেটে ৩০ হাজারের অধিক ডেলিভারি আছে মাত্র ৫ জন বোলারের।

সুইং অ্যাট ইটস বেষ্ট – শুধুমাত্র সুইং দিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ৯ বার। শচীনকে টেস্ট ক্রিকেটে এতো বার আউট করতে পারেনি কোনো বোলার, শচীন তো মোকাবেলা করেছেন অনেক রথীমহারথীকে কিন্তু অ্যান্ডারসনই এই জায়গায় সেরাদের সেরা।

সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান কে সর্বোচ্চ বার আউট করা বোলার
(Photo by Popperfoto via Getty Images/Getty Images)

এই রেকর্ড লেখার পর জিমির একটা উক্তি খুব যোগ করতে ইচ্ছা করছে আমার। একবার তিনি বলেছিলেন –

“If you can dismiss the best in the world, it means you’re doing something right and have the quality needed to perform at the highest level.”

এবং নটিংহ্যামের সেই স্বর্ণালী সূর্যাস্ত – ২০০৮ সালে সিরিজের ৩য় টেস্টের প্রথম ইনিংসে কেপির সেঞ্চুরিতে ৩৬৪ রান করে ইংলিশরা। জবাব দিতে নেমে জিমির বোলিং তোপে ফলোঅনে পড়ে ভেট্টোরির দল। ১২৩ রানে অলআউট হয় কিউইরা। ২য় দিনের শেষ বিকেলে কিউইদের স্কোর তখন ৯৬/৬। ৬ টির সব গুলো একাই অ্যান্ডারসনের শিকার। সেই ইনিংসে তার বোলিং ফিগার : ২১.৩ – ৮ – ৪৩ – ৭। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। সেই ইনিংসে তার শিকার – জিমি হাউ, রেডমন্ড, ম্যাককালাম, টেইলর, ফ্লিন, হোপকিন্স এবং ওরাম। কি বিষাক্ত সুইং……..

যে মানুষটার টেস্ট ক্যারিয়ার এতো বর্ণময়, তার একটি উক্তি দিয়েই শেষ করতে চাই,

“I didn’t watch a Test match live until I played in my first in 2003.”

, ,

মতামত জানান :