জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনে নেমেছেন প্রায় মাসদেড়েক আগে। একক অনুশীলনের তিন পর্ব শেষে চতুর্থ পর্বে এসে এখন গ্রুপ অনুশীলন করছে তারা। যার বিপরীতে জাতীয় দলের সাথে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার এইচপি দলের একজন মাত্র মাঠে নেমে অনুশীলন করছেন। বাকীরা এখনও হোম অনুশীলনে ক্রিকেট চর্চা অব্যাহত রাখছেন।
কিন্তু জাতীয় দলের মতো এইচপি দলেরও দ্বিপক্ষীয় সিরিজ রয়েছে শ্রীলঙ্কা এইচপি দলের বিপক্ষে। গতকাল চূড়ান্ত হয়েছে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে এইচপি দলের সাথে শ্রীলঙ্কা এইচপি দলের এই সিরিজের সূচি। সফরে দুইটি চার দিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা এইচপির বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ এইচপি।
ব্যস্ত অনুশীলন – ম্যাচ প্র্যাক্টিস সূচির কারণে স্কিল ট্রেনিংয়ের পর্যাপ্ত সময় পাবে না আকবর আলীরা, যার ফলে ফিটনেস নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে তাদের।
তবে শ্রীলঙ্কা সফরে এইচপি দলের ট্রেইনার তুষার কান্তি হাওলাদার খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ দেখছেন না, ” এইচপির খেলোয়াড়দের অনুশীলন পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে। যে যেখানে আছে সেখানেই গাইডলাইন মেনে অনুশীলন করছে। ফিটনেসের পাশাপাশি বোলাররা চার-পাঁচ ওভার বোলিং করছে সপ্তাহের চারদিন। টবি রেডফোর্ড আসার পর মূল পরিকল্পনা পাওয়া যাবে। কোচ যে পরিকল্পনা দেবেন আমরা সেটা কার্যকর করবো।”
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এইচপির হেড কোচ টবি র্যাডফোর্ড ঢাকায় আসবেন ২ সেপ্টেম্বর। কোয়ারেন্টাইন শেষে নির্বাচকদের সাথে কথা বলে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জেনে নিয়ে প্র্যাক্টিস সূচি তৈরী করবেন তিনি।
জাতীয় এবং এইচপি দল মিলে প্রায় ৪৪ ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কা সফরের বহরে থাকবেন। মিরপুরে দু’দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে দু’সপ্তাহ। ১০/১২ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিসিবির এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ম্যাচ প্র্যাকটিস হবে বেশ কয়েকটি। বিসিবির পরিকল্পনায় আছে জাতীয় দল ও এইচপি দলের মধ্যে চারদিনের ম্যাচ তিনটি খেলানোর।
কন্ডিশনিং ক্যাম্প চলাকালীনই ১৮ আগস্ট করোনা টেস্টের পর পরিবারকে বিদায় জানিয়ে সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে ২০ আগস্ট থেকে সপ্তাহখানেক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে থাকবেন উভয় দলের ক্রিকেটাররা। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ২২ আগস্ট ও শেষ দফায় ২৫ আগস্ট সবাইকে করোনা টেস্ট করানো হবে।
নিরাপত্তাবেষ্টনীতে থাকাকালীন ক্রিকেটাররা শুধুমাত্র হোটেল থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের জন্য বাসে যাতায়াত করবেন। এই সময়ে বাহিরের কারো সাথেই ক্রিকেটারদের কোনোরকম দেখা-সাক্ষাৎ হবে না। এই সপ্তাহখানেকের জন্য বিসিবির মাঠকর্মী, বয় থেকে বাসচালক সবাইকেই করোনা টেস্ট করিয়ে একাডেমী ভবনে অথবা ক্রীড়াপল্লীতে রাখা হবে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কাগামী বিমানে উঠবে দু’দলের ক্রিকেটার-স্টাফরা।
সেখানে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষে ১২ অক্টোবর ২২ জনের এইচপি দল থেকে ১৭ জনের মূল স্কোয়াড আলাদা হয়ে যাবে। এইচপি দলের বাকীরা দেশে ফিরে আসবেন। পরের তিনদিন অনুশীলন করে চতুর্থ দিন ১৬ অক্টোবর প্রথম চারদিনের আন-অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচ দিয়ে সিরিজ শুরু হবে এইচপি’র। দ্বিতীয় আন-অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচ হবে ২৩-২৬ অক্টোবর। দু’দিন বিরতি দিয়ে ২৯ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, বাকী দুই ম্যাচ হবে ১ ও ৪ নভেম্বর। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে কলম্বোতে।
অন্যদিকে জাতীয় দলের প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে ২৪ অক্টোবর, তিন ম্যাচ সিরিজ শেষ হবে ১২/১৩ নভেম্বর।
এরপর দেশে ফিরে আবারো কোয়ারেন্টাইনে থেকে পরিবারের সাথে মিলিত হবেন ক্রিকেটাররা।