আমির-আসিফ ক্রিকেটে জন্ম দেন কলঙ্কিত অধ্যায়ের; জাভেদের সেঞ্চুরির দিনে পিছিয়ে ছিলেন না সাকিবও! সবমিলিয়ে আজকের দিনের খুটিনাটি একনজরে…

🔘পাকিস্তান ক্রিকেটের কলঙ্কিত অধ্যায়!
ক্রিকেটকে বলা হয় ভদ্রলোকের খেলা। যেখানে থাকবে না কোনো কালো অধ্যায়। কিন্তু ২০১০ সালের আজকের দিনে ক্রিকেটে কালো অধ্যায় তৈরি করেছিলেন পাকিস্তানের তিন তারকা ক্রিকেটার। লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করে এই অধ্যায় রচিত করেছিলেন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং পেসার মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তানের ভক্তদের জন্য আজকের দিনটি বেদনাদায়ক!
🔘সাদা পোশাকে মুত্তিয়া মুরালিধরনের আগমন!
বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার মুত্তিয়াকে যে কেউ মনে রাখতে বাধ্য, সাদা পোশাকে ৮০০ উইকেট শিকার করা মুরালিধরনকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য হবেনা কারো। কিন্তু এই মুত্তিয়ার সাদা পোশাকের শুরুটা ছিলো কাদের বিপক্ষে! এমন প্রশ্নের উত্তরে সামনে আসবে ১৯৯২ সালের আজকের দিনটি। সেদিন সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছিলো মুরালিধরনের। সেই ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন মুরালিধরন।
🔘হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে জয়ী ইংল্যান্ড!
২০০৫ সাল; অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে খেলতে নামে ইংল্যান্ড। দুই দলের ক্রিকেটারদের চেষ্টায় জমে উঠে ম্যাচ। সেই ম্যাচে ওয়ার্নের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হওয়া ইংল্যান্ড হেসেছিল শেষ হাসি। সেই সাথে ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলো ইংরেজরা।
🔘নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের রেকর্ড সংগ্রহ!
১৯৯৫ সাল; কাউন্টি ক্রিকেটে সেদিন রচিত হয়েছিলো নতুন অধ্যায়। নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছিলো নর্থহ্যাম্পটনায়ারের দুইজন ব্যাটসম্যান। টিম রবিনসনের ২০৯ রানের সাথে গ্রিম আরচারের ১৫৮ রান। সেই সাথে নর্থের দলীয় সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৭৮১ রান। যা নটিংহামশায়ারের বিপক্ষে নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের রেকর্ড সংগ্রহ!
🔘ফ্রাঙ্ক ওলির সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি!
ফ্রাঙ্ক ওলি, ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা একজন ব্যাটসম্যান। ক্রিকেট মাঠে তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ ছিলো হাজারো ভক্ত। ২২ গজে নিজেকে প্রমাণ করে হয়েছেন সেরাদের সেরা। সেই ওলি ১৯২৯ সালের আজকের দিনে লর্ডসে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলে। আর সেই সাথে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ইতিহাসে ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওলি শুধু ব্যাটিংয়েই সেরা ছিলেন না, তিনি ১০০০ এর বেশী ক্যাচ নিয়েছেন।
🔘জিম লেকারের রেকর্ডময় সিরিজ!
১৯৫৬ সালের ঘটনা, লেকারের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। সেদিন নিজেদের দ্বিতীয় এবং ম্যাচের ৪র্থ ইনিংসে ড্রয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামা অস্ট্রেলিয়া লেকারের বোলিংতোপে মাত্র ২৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। সেদিন লেকার তার শেষ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে এক সিরিজে রেকর্ড ৪৯ টি উইকেট শিকার করে নিজের নামটি সবার উপরে নিয়েছিলেন।
🔘অ্যালোনজো ড্রেকের ১০ উইকেট!
এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির অনেক আছে। কিন্ত এক ইনিংসেই ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড খুব বেশী নেই। তবে, একেবারেই যে নেই তা নয়! কেননা বেশকিছু বোলার এক ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করেছেন। তাদেরই একজন অ্যালোনজো ড্রেক। যিনি ১৯১৪ সালের আজকের দিনে ওয়েস্টন-সুপার-মেরে সোমারসেটের দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে মাত্র ৮.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন।
🇧🇩আজকের দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট:
২৮/৮/২০১২ – বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড – বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী। (প্রমীলা টি-২০)
🎂আজকের দিনে যাদের জন্ম:
১৯০৫ সাল- সিরিল ওয়াল্টার্স- ইংল্যান্ড।
১৯১৩ সাল- লিন্ডসে হ্যাসেট- অস্ট্রেলিয়া।
১৯২৪ সাল- টনি ম্যাকগিবন- নিউজিল্যান্ড।
১৯৪৮ সাল- মুরে পার্কার- নিউজিল্যান্ড।
১৯৭২ সাল- রবীন্দু শাহ- কেনিয়া।
১৯৮৩ সাল- লাসিথ মালিঙ্গা- শ্রীলঙ্কা।
১৯৯৬ সাল- ব্র্যাড হুইল- স্কটল্যান্ড।
১৯৯১ সাল- টিম গ্রুজটার্স- নেদারল্যান্ডস।
🔘আজকের দিনে যাদের মৃত্যু:
১৯১০ সাল- অ্যালেন হিল- ইংল্যান্ড।
১৯৮২ সাল- জর্জ হেলে- অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮২ সাল- জিওফ চাব- দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৯৮৮ সাল- পল উইতেল- নিউজিল্যান্ড।
💯আজকের দিনে যাদের সেঞ্চুরি:
১৯৬৭ সাল- আসিফ ইকবাল- ১৪৬ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৭৫ সাল- ইয়ান চ্যাপেল- ১৯২ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৭৫ সাল- রিক ম্যাককস্কার- ১২৭ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৮০ সাল- গ্রেইম উড- ১১২ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৮১ সাল- অ্যালান বর্ডার- ১০৬ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৮৪ সাল- অমল সিলভা- ১০২* বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৯০ সাল- ডেভিড গাওয়ার- ১৫৭* বনাম ভারত।
১৯৯৬ সাল- শচীন টেন্ডুলকার- ১১০ বনাম শ্রীলঙ্কা।
১৯৯৬ সাল- সনাৎ জয়াসুরিয়া- ১২০* বনাম ভারত।
১৯৯৮ সাল- জন ক্রাউলি- ১৫৬* বনাম শ্রীলঙ্কা।
২০০৩ সাল- জাভেদ ওমর- ১১৯ বনাম পাকিস্তান।
২০০৯ সাল- ডেভিড হাসি- ১১১ বনাম স্কটল্যান্ড।
২০১০ সাল- তি. দিলশান- ১১০ বনাম ভারত।
২০১২ সাল- হাশিম আমলা- ১৫০ বনাম ইংল্যান্ড।
২০১৬ সাল- ডু প্লেসিস- ১১২* বনাম নিউজিল্যান্ড।
২০১৬ সাল- চান্দিমাল- ১০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
আজকের দিনে ৫ উইকেট:
১৯৬৫ সাল- পিটার পোলাক- ৪৩/৫ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৬৭ সাল- কেন হিগস- ৫৮/৫ বনাম পাকিস্তান।
১৯৭৮ সাল- ইয়ান বোথাম- ৩৯/৫ বনাম নিউজিল্যান্ড।
১৯৮১ সাল- ইয়ান বোথাম- ১২৫/৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮২ সাল- ফ্রেড স্পফোর্থ- ৪৬/৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮২ সাল- ডিক বার্লো- ১৯/৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
১৯৮২ সাল- ইমরান খান- ৪৯/৫ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৮২ সাল- ইয়ান বোথাম- ৭৪/৫ বনাম পাকিস্তান।
১৯৮৪ সাল- ইয়ান বোথাম- ৯০/৬ বনাম শ্রীলঙ্কা।
১৯৮৯ সাল- টেরি অল্ডারম্যান- ৬৬/৫ বনাম ইংল্যান্ড।
১৯৯৩ সাল- মুরালিধরন- ১০৪/৫ বনাম দ. আফ্রিকা।
১৯৯৪ সাল- ওয়াকার ইউনুস- ৩৪/৬ বনাম শ্রীলঙ্কা।
১৯৯৮ সাল- মুরালিধরন- ১৫৫/৭ বনাম ইংল্যান্ড।
২০০৩ সাল- শোয়েব আখতার- ৫০/৬ বনাম বাংলাদেশ।
২০০৯ সাল- গর্ডন গৌডি- ৭৩/৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া।
২০১১ সাল- আনিসা মুহাম্মদ- ৫/৫ বনাম পাকিস্তান প্রমীলা।
২০১২ সাল- মিচেল স্টার্ক- ৪২/৫ বনাম পাকিস্তান।
২০১৩ সাল- ওয়াগনার- ৮৬/৫ বনাম দ. আফ্রিকা।
২০১৭ সাল- সাকিব আল হাসান- ৬৮/৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া।