করোনার মাঝেই চলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ( সিপিএল)। ভালো মানের খেলোয়াড় না থাকায় বেশীরভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো-স্কোরিং। চার-ছক্কার বিপরীতে ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার চিত্রই বেশী দেখা যাচ্ছে অষ্টম আসরে। অবশেষে চলতি আসরের ২০তম ম্যাচে এসে সিপিএল ফিরে পেলো প্রাণ! নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী শতকে প্রতিপক্ষ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চলতি আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে গায়ানা অ্যামাজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পোর্ট অব স্পেনে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান সেন্ট কিটস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে চাপে পড়লেও ডি সিলভার ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে সেন্ট কিটস। ম্যাচের শুরুতে ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও সেট হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ম্যাচে ৪৬ বলের মোকাবিলায় ৫ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৯ রানে ডি সিলভা আউট হয়ে ফিরেন। যদিও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। এছাড়া অভিজ্ঞ দীনেশ রামদিনের অপরাজিত ৩৭ রানের সাথে বেন ডাঙ্কের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। গায়ানার বোলারদের পক্ষে অধিনায়ক ক্রিস গ্রিন সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন।
১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা টি-২০ ক্রিকেটে খুব বেশী না হলেও সিপিএলের চলতি আসরে সেটিই ছিলো পাহাড়সম টার্গেট! আর সেই টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গায়ানা। দলীয় ২৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান গায়ানার টপ অর্ডার তিনজন ব্যাটসম্যান। এরই সাথে শঙ্কা জাগে অল্প রানে অলআউট হবার। কিন্তু তখনো যে অনেকটা পথ বাকি! ক্রিকেট যে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা, যেখানে প্রতি বলে বলে বদলে যায় খেলার দৃশ্যপট। সেটি যেনো আরো একবার প্রমাণ করলেন নিকোলাস পুরান এবং রস টেলর।
শুরু থেকেই মারমুখী ব্যাটিং করা পুরান মাত্র ৪৫ বলের মোকাবেলায় ৪টি চার এবং ১০ টি ছক্কায় ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতানোর পাশাপাশি সিপিএলে নিজের প্রথম এবং চলতি আসরের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। পুরানের সাথে অভিজ্ঞ টেলরের অপরাজিত ২৫ রানে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় গায়ানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
সেন্ট কিটস- ১৫০/৫ (২০)
সিলভা ৫৯(৪৬), রামদিন ৩৭*(৩০), ডাঙ্ক ১৯(২৩)
গ্রিন ৩১/২, সিনক্লেয়ার ৯/১
গায়ানা অ্যামাজন- ১৫৩/৩ (১৭.৩)
পুরান ১০০(৪৫), টেলর ২৫(২৭), কিং ১৪(১৪)
জাগেসার ৩৩/২, জোসেফ ২৪/১
ফলাফল: গায়ানা অ্যামাজন ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নিকোলাস পুরান।