[এক]
অগণিত মহাকাব্যের প্লট দানকারী ক্রিকেটের ইতিহাসটা শতাধিক বছরের। এই শতাধিক বছরে ক্রিকেট নামক বৃক্ষটা বড় হয়েছে অনেক। বিশাল বৃক্ষের শাখা প্রশাখা ছড়িয়েছে খুব; বহু দেশ, বহু জাতি সেই শাখা প্রশাখার ছায়াতলে বসে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছে নিজেদের মতো করে নতুন কোনো মহাকাব্য লেখার। এই শতাধিক বছরে একের পর এক মহাকাব্য লিখে গেছেন অনেক কবিই। স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, গ্রাহাম গুচ, অ্যালান বর্ডার, ব্রায়ান লারাদের মতো অনেকেই একে একে লিখে গেছেন অসংখ্য গল্প, কাব্য, মহাকাব্য।
প্রায় ১৩০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসটা মোটামুটি ৩৪ বছরের পুরোনো। ১৯৮৬ থেকে শুরু করে শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত এককভাবে মহাকাব্য লিখে যেতে পারেন এমন কোনো কবি আসেননি এদেশে। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও যখন শচীন, সাঙ্গাকারারা ব্যাটকে নিজেদের কলম বানিয়ে নিয়ে মহাকাব্য লেখার চেষ্টায় ব্যস্ত তখনও এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের লাল-সবুজের বাংলাদেশে কোনো মহাকবি ছিলেননা। ‘৯৭ এর আইসিসি ট্রফি জয়, ‘৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর গল্প দুটি দলীয়ভাবে লেখা। এককভাবে নতুন কোনো কাব্য লিখতে জানা কবির অভাব তখন বড্ড বেশিই অনুভব করছিলো ক্রিকেট পাগল এই জাতি।
[দুই]
৬ সেপ্টেম্বর ২০০১। নিজেদের পঞ্চম টেস্ট খেলতে লঙ্কাদ্বীপে পাড়ি জমায় আমিনুল-দুর্জয়দের বাংলাদেশ। সাথে ১৭ বছরের এক ছোট্ট মতিন। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই টেস্টের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মতিন খেলেছে শুধু একটি ওডিআই।
আগের ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে ইনিংস আর ২৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারার পর এ ম্যাচেও এমন কিছুই অনুমেয় ছিলো। ফলাফলও তাই; এবারে হারের ব্যবধান ইনিংস আর ১৩৭ রান। তবে এটা শুধু ম্যাচ শেষের জয় পরাজয়ের হিসাব, সব প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব নয়।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং এ পাঠায় শ্রীলংকার অধিনায়ক সনাৎ জয়সুরিয়া। চামিন্দা ভাস, মুরালিধরণদের বিপক্ষে বড্ড অনুমেয়ভাবেই ৯০ রানে অলআউট বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ইনিংসটি সেই ছোট্ট মতিনের ব্যাট থেকেই। জবাবে প্রতিপক্ষের সংগ্রহ ৫৫৫।
রান পাহাড়ে চাপা পরা বাংলাদেশের ২য় ইনিংসেও ৮১ রানে নেই ৪ উইকেট। ক্রিজে আসলো মতিন, একেবারে ভিন্নভাবে, আরও পরিণত ভাবে। ভাস-মুরালিদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মতিন। লঙ্কার মাটিতে সে সময়কার বিশ্বসেরা বোলারদের বিপক্ষে ২১২ বল খেলে করে ফেললেন ১১৪ রান। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হয়ে যায় মতিন। ম্যাচের ফলাফলে নাটকীয় কিছু ঘটেনি ঠিক, হারতেও হয়েছে ইনিংস ব্যবধানে, তবে “বাঙালিদের এতোদিনের চাওয়া সেই কবি হয়তো এসে পরলেন, মহাকাব্য এবার লেখা হবে, লাল-সবুজের কালিতে মহাকাব্য লেখবে সেই মতিন, সেই আশার ফুল, আশরাফুল!” এমনটাই ভেবে নিলো কোটি বাঙালি।
[তিন]
এক যুগ পর!
২০১৩ সালের মে মাসের একদিন। অশ্রুসিক্ত নয়নে ক্যামেরার সামনে এসে একে একে বোমা ফাঁটালেন সেদিনের সেই আশারফুল আশরাফুল।
বিপিএল এর ২য় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে খেলার সময় স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগে অভিযুক্ত হন আশরাফুল। শুরু হয় আকসুর তদন্ত। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যেন বেরিয়ে আসে মস্ত বড় সাপ। বিপিএলের গন্ডি পেড়িয়ে আশরাফুল একের পর এক শোনাতে থাকলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের সাথে করা বিশ্বাসঘাতকার গল্প।
শাস্তি পেতে হলো আশরাফুলকে। প্রথমে ৮ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেও পরে সেটা কমিয়ে ৩ বছর সব ধরনের ক্রিকেট আর সাথে আরও ২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। কিছুটা আর্থিক জরিমানাও গুণতে হয়।
মোহাম্মদ আশরাফুল।
বাংলার ক্রিকেট আকাশে হঠাৎ উদিত হয়ে হঠাৎ-ই আবার উল্কা হয়ে ঝরে পরা এক নক্ষত্রের নাম। জন্ম ১৯৮৪ সালের ৭ জুলাই, ঢাকায়। জন্মগত ডাকনাম মতিন, ক্রিকেটপারায় পরিচিত অ্যাশ নামে। ৭ জুলাই তার জন্ম হলেও সার্টিফিকেটে তারিখটা ৯ সেপ্টেম্বর। যদিও জন্মতারিখ যেটাই হোক না কেন, সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটা তারই। হাল আমলের ক্রিকেটখোরদের কাছে আশরাফুলকে নিয়ে এতো এতো মাতামাতিকে অনেক বেশি বলেই মনে হতে পারে। পরিসংখ্যানের দিক থেকেও আশরাফুল সে রকমই, পরিসংখ্যানে তাকালে আশরাফুলকে নিয়ে মাতামাতির কোনো পথ খোলা পাওয়ার কথা না কারোই।
অভিষেক সেঞ্চুরির পরের ১০ টেস্ট ইনিংসে আশরাফুলের সংগ্রহ মোটে ১২০ রান। ১০ ইনিংস পর ২০০২ সালের ২৮ জুলাই আবার সেই কলোম্বো, আবার সেই শ্রীলংকাকে পেয়ে ম্যাচের ২য় ইনিংসে খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। এর পর যেনো আবার কক্ষপথ পরিবর্তন তার। এরপরের ১২ ইনিংসে মোট রান মাত্র ১৫৭। পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশোয়ার টেস্টের ১ম ইনিংসে ৭৭ আর ২য় ইনিংসে আবার ১০ এর নিচেই আউট মোহাম্মদ আশরাফুল।
১ ম্যাচ পরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারাতে ৯৮ রানের ইনিংস দিয়ে প্রবেশ করেন নিজের ক্যারিয়ারের সেরা বছর ২০০৪ এ। গত ৩ বছরে টেস্ট ক্যারিয়ারে এক শতক আর এক অর্ধশতকের আশরাফুল ২০০৪ এই করেন ৪ অর্ধশতক আর একটি সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের এম. এ. আজিজ স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষের সেই ১৫৮ রানের ইনিংসটিকে ইতিহাসের অন্যতম ক্লাসিক ইনিংস বলাই যায়। ভারতের সেই দলের দলপতি গাঙ্গুলিও এই ইনিংসটিকে তার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস বলেছিলেন। ভারতের ৫৪০ রানের জবাব দিতে নেমে হরভজন সিং – অনিল কুম্বলেদের বিপক্ষে সেই ইনিংসটি আশরাফুলের ক্যারিয়ারের ২য় সর্বোচ্চ ইনিংস।
এরই মধ্যে আশরাফুল রঙিন পোষাকেও খেলে ফেলেছেন ৪০ ইনিংস। যেখানে অর্ধশতক ৪ টি; নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলংকার বিপক্ষে। এর পর সাদামাটাভাবে খেলে ফেললেন আরও ৯ টি ওডিআই ম্যাচ। নিজের ৫০ তম ওডিআইকে করে রাখলেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। যুগের পর যুগ জনশ্রুতি হয়ে রবে এই ইনিংস, এই ম্যাচ। ১৮ জুন ২০০৫। ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি, গিলক্রিস্টদের অস্ট্রেলিয়া দল, নেতৃত্বে রিকি পন্টিং। অজি দলের প্লেয়ারদের নামের ভারেই হেরে যেত অনেক দল। তাদের বিপক্ষে কার্ডিফে সেদিন ২৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইকেটের ৪ দিকেই দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে ১০১ বলে ১০০ রান করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরের খুব কাছে নিয়ে গিয়ে আউট হন বাংলার ক্রিকেটের প্রথম মেগা স্টার আশরাফুল। কেনো তাকে নিয়ে সমর্থকদের উচ্চাশা তা আরও একবার বুঝিয়ে দেন ভালোভাবেই। ম্যাচ জয়ের ক্রেডিট অবশ্য বোলারদেরও, তারকাঠাসা ব্যাটিং লাইনআপকেও সেদিন ২৪৯ এ আটকে রেখেছিলো মাশরাফি, রফিকরা।

দারুণ এই ইনিংসের পরের ম্যাচে আরও অতিদানবীয় আশরাফুল। আকস্মিকভাবে ইনিংসের প্রথম বলেই জীবন পাওয়া অ্যাশ সেদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৫২ বলে ৯৪ রানের ইনিংস। ইনিংসে ছিলো ১১ টি চার আর ৩ টি ছয়। এরপর আবার বিরতি। হঠাৎ করে জ্বলে উঠবেন আশারফুল, এমন প্রত্যাশা নিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকা বাঙালিকে অপেক্ষা করতে হয় ২০০৭ পর্যন্ত। সেপ্টেম্বরে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬১ আর ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফ্রিকার বিপক্ষে হার না মানা ৮৭ রানের ইনিংস আসে ২০০৭ এ। আরও এমন অনেক ছোট বড় কীর্তি গড়েই এগোচ্ছিলেন আশরাফুল, আলোর জগতের আশরাফুল। তার আরও একটি জগত আছে, সেটা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন। স্বার্থপরতা, হিংসা আর প্রতারণার অন্ধকার।
বিপিএল এর ২য় আসরে গ্ল্যাডিয়াটর্সের হয়ে খেলার সময় করা ফিক্সিং সম্পর্কে সবারই জানা। প্রথম বড়সড় সন্দেহে যে তখনই পরেন আশার ফুল হয়ে থাকা আশরাফুল। বিপিএলের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেশের জার্সি গায়ে ফিক্সিং করেছে কয়েকবার। নিজের অন্যতম সফল বছর ২০০৪ এ ফিক্সিং জগতে হাটাচলা শুরু মোহাম্মদ আশরাফুলের। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শততম ওডিআই ম্যাচ, ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপে করা ফিক্সিং নিয়ে লেখালেখি হয়েছে প্রচুর। নিজের ক্যারিয়ারে বারবার ব্যর্থ হওয়ার মতো ফিক্সিং এও ব্যর্থ হয়েছেন কয়েকবার। আশরাফুলের এই অন্ধকার জগতের আলোচনায় তখনই উঠে আসে সাবেক কিছু খেলোয়ারের নামও। এসব তো সবারই জানা। ফিক্সিং এর বাইরে চোখ বুলানো যাক।
ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ বা আইসিএল। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মাঠে ছিলো এই টি২০ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে একটা দল ছিলো, ঢাকা ওয়ারিয়র্স নামে। আইসিএল থেকে প্রস্তাব আসে তখনকার ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেগা স্টার আশরাফুলের কাছেই। তাকে অধিনায়ক বিবেচনা করে দল গোছানোর কাজ চলে। অজি সফরে গিয়ে বাংলাদেশের একের পর এক ম্যাচ হারছে, তাতেও মন নেই তার। গোপনে চালিয়ে যাচ্ছেন আইসিএলের দল গোছানোর কাজ।
দলে তখন নতুনদের আনাগোনা। শাহরিয়ার নাফিস আছেন ফর্মে। দলে নিজের যায়গা নিয়ে তাই চিন্তিত আশরাফুল আইসিএলের জন্য দল গুছিয়ে শেষ মুহূর্তে ঘুরে গেলেন ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে। আশরাফুলের যায়গায় নেয়া হলো হাবিবুল বাশারকে। আশরাফুল হয়ে গেলেন নায়ক, তবে পর্দার আড়ালে তিনিই যে স্বার্থপর, প্রতারক। আশার ফুল ভেবে আশা নিয়ে তাকে দিনের পর দিন সাপোর্ট দেয়া সমর্থকদের সাথে, টিমমেটদের সাথে, লাল সবুজের পতাকার সাথে তিনি করে গেছেন প্রতারণা।
এতোকিছুর আড়ালেও বোকা বাঙালির লিটল মাস্টার নিয়মিতই জাতীয় দলে আসা যাওয়ার উপরে ছিলেন। এর মাঝেই করেছেন আরও কিছু কীর্তি। ২০১৩ সালের শ্রীলংকা সফরে দেশের প্রথম পোস্টার বয় দেশের হয়ে প্রথম ডবল হান্ড্রেড করতে করতে থেমে যান ১৯০ রানে। তার নিজের স্বপ্নটা সত্যি না হলেও বাংলাদেশ দলের অবশ্য হয়েছিলো মুশফিকুর রহিমের ২০০ রানের ইনিংসে। ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সেই বিপিএলে খুলনার বিপক্ষে শতকও করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালের এপ্রিলেই শেষ আশরাফুলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, অঘোষিতভাবে।

এই এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আশরাফুল খেলেছেন ৬১ টেস্ট, ১৭৭ ওডিআই আর ২৩ টি টি২০। ৬১ টেস্টে ৬ শতক আর ৮ অর্ধশতকে মোট রান ২৭৩৭, গড় ২৪। একদিনের ক্রিকেটে ২২.২৩ গড়ে ৩ শতক আর ২০ অর্ধশতকে মোট রান ৩৪৬৮। ১৯.৫৬ গড়ে আর ১২৬.৪ স্ট্রাইক রেটে টি২০ তে সংগ্রহটা ৪৫০ রানের। তিন ফরমেট মিলিয়ে ৪৭ টি উইকেটও নিয়েছেন বল হাতে। ফার্স্ট ক্লাশ আর লিস্ট এ ক্রিকেটেও গড়টা একেবারেও সাদামাটা ২৯.৪৫ আর ২৫.৪৫।
আইসিএল কান্ডের পর আইসিএলের ওই ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১১ টি২০, ৩৮ ওডিআই আর ১৩ টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট হয়তো আরও কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে অঘোষিতভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা হয়েই গেছে ২২.২৩ আর ২৪.০০ গড় নিয়েও দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপার স্টার, প্রথম পোস্টার বয়ের খেতাব পাওয়া, অগণিত ক্রিকেটপ্রেমীর ভালোবাসা পাওয়া সেদিনের সেই ছোট্ট মতিনের।
২২ গজের ক্রিকেটে প্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার, অনুসরণও হয়তোবা করতেন লিটল মাস্টারকে। তবে আশরাফুল যদি বিষাক্ত জুয়াড়িদের কাঁধে চড়ে অমৃত পান করার চেষ্টা না করে ক্রিকেট সমর্থক, সতীর্থদের কাঁধে চড়তে পারতেন তাহলে হয়তোবা অমরত্ব না পেলেও বাংলার ক্রিকেট আকাশে লিটল মাস্টারের জায়গাটা স্থায়ীভাবে নিজের করে নিতে পারতেন।