তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ওয়ানডে মহিলা দল ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় , এশিয়া কাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ সালমার হাত ধরেই। ২৯ পেরিয়ে ৩০ এ পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক সালমা খাতুন।
“সালমা খাতুন” দেশের নারী ক্রিকেটে এক অতি পরিচিত নাম ২০০৮ থেকে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ওডিআই স্ট্যাটাস পায় তার’ই অধিনায়কত্বের সময়। শুধু শুরু’তেই নয়, দেশের হয়ে অনেক সময়’ই ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেনের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তার’ই অধিনায়কত্বে আসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অর্জন নারী এশিয়া কাপ।
আগে থেকেই বাংলাদেশে মেয়েদেরকে খেলাধুলা থেকে দূরে থাকতে বলা হতো। তবে সেসব বিধি-নিষেধ না শুনে সালমা একমাত্র মেয়ে হিসেবে গ্রামে ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন, এবং তাদেরকে পাল্লা দেওয়ার মত করেই খেলতেন। এর জন্য অনেক কথা শুনলেও কখনও দমে যাননি। একসময় যাকে নিয়ে এত সমালোচনা হতো তার হাত ধরেই বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট অর্জন করেছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব।
বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের হয়ে সালমার ওয়ানডে অভিষেক হয় ২৬শে নভেম্বর ২০১১ তে ৭ নাম্বার ক্যাপে৷ টি-টুয়েন্টিতে অভিষিক্ত হন ৮ নাম্বার ক্যাপে ২৮শে আগস্ট ২০১২ তে৷ মূলত বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার শুরু থেকেই দলের সাথে আছেন তিনি। এখন পর্যন্ত এই অল-রাউন্ডার ৩৪ টি ওয়ানডে খেলে ব্যাট হাতে করেছেন ৩৭৯ রান, সর্বোচ্চ:৭৫। এবং বল হাতে নিয়েছেন ৩৫ উইকেট ৮৭০ রান দিয়ে, বেস্ট বোলিং ফিগার: ৩/১৮। টি-টুয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ব্যাট করে করেছেন ৫৩১ রান, সর্বোচ্চ: ৪৯। বল হাতে ৬৬ উইকেট নিয়েছেন ১৪২৫ রান দিয়ে, বেস্ট বোলিং ফিগার: ৪/৬।
শুরু থেকেই নারী ক্রিকেটের প্রতি ততটা গুরুত্ব নেই বোর্ডের এবং এদেশের মানুষের। নারী ক্রিকেটারদের বেতন নিয়ে সবসময় সমালোচিত হয়ে আসছে বিসিবি। তবে এসবে সালমা তেমন গুরুত্ব দেননি তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি যদি টাকার জন্য ক্রিকেট খেলি তবে আমি কখন’ই ভালো খেলতে পারবো না।’ এছাড়াও সালমা বিভিন্ন সময় বলেছেন, “তিনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের আরো উন্নতি দেখতে চান। যদি বোর্ড সঠিকভাবে নারী ক্রিকেটকে মূল্যায়ন করে তবে এদেশের মানুষও খোঁজ রাখবে নারী ক্রিকেটের।
ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষে কোচ হিসেবে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন খুলনার এই ক্রিকেটার। মোহামেডান ক্লাব থেকে নারী জাতীয় দলের সফল ক্যাপ্টেন তিনি।
আসলেই সালমা খাতুন অনেক সম্মান পাওয়ার দাবিদার। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা তাকে৷ সবসময় তিনি ভালো এবং খুশি থাকুক এইটায় চাওয়া।
