হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজকের দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ! দুই দলের একাদশে আসছে আজ পরিবর্তন! জেমকন খুলনার একাদশে থেকে বাদ পড়েছেন ইমরুল কায়েস ও আল-আমিন হুসাইন তাদের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন শহিদুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম অপু।বেক্সিমকো ঢাকার একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম সুযোগ পেয়েছেন আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র।
জেমকন খুলনার দলপতির কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সাব্বির রহমান রুম্মান! ওপেনিং জুটিতে নাইম-সাব্বির যোগ করেন ৪১ রান! ব্যাক্তিগত ৩৬ রানে শহিদুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে নাইম শেখ সাজঘরে ফিরে গেলে বেক্সিমকো ঢাকার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
নাইমের পর ক্রিজে আসেন আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র! দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র ও সাব্বির রহমান মিলে গড়েন ৬৪ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ! ব্যাক্তিগত ৩৬ রানে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র সাজঘরে ফিরে গেলে বেক্সিমকো ঢাকা তাদের দ্বিতীয় উইকেট হারায়! আল-আমিনের পর ক্রিজে আসেন বেক্সিমকো ঢাকার দলপতি মুশফিকুর রহিম! ক্রিজে এসে নামের পাশে মাত্র ৩ রান যোগ করেই মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলী রাব্বি! ক্রিজে এসে কোনো বল মোকাবেলা না করেই রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলী রাব্বি! ইয়াসিরের পর ক্রিজে আসেন আকবর আলী! ক্রিজে এসেই আক্রমনাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন আকবর আলী! নামের পাশে দ্রুতই ৩১ রান যোগ করে হাসান মাহমুদের বলে সাজঘরে ফিরেন আকবর আলী!
আকবরের পর ক্রিজে আসেন মুক্তার আলী! ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ব্যাট হাতে সাব্বির রহমান তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি! ফিফটি করার পর আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে নামের পাশে ৫৬ রান যোগ করেই শহিদুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সাব্বির রহমান রুম্মান! সাব্বিরের পর ক্রিজে আসেন রবিউল ইসলাম রবি! ক্রিজে এসে নামের পাশে ১ রান যোগ করেই রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন রবিউল ইসলাম রবি! শেষের দিকে মুক্তার আলী যদি নিজের সহজাত ব্যাটিং করতে পারতেন তাহলে বেক্সিমকো ঢাকা হয়তো আরেকটু বড় রান স্কোরকার্ডে যোগ করতে পারতো!
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে বেক্সিমকো ঢাকা! বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে ব্যাট হাতে সাব্বির রহমান ৫৬(৩৮) রান, নাইম শেখ ৩৬(১৭) রান, আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র ৩৬(২৫) রান করেন। জেমকন খুলনার পক্ষে বল হাতে শহিদুল ইসলাম ২ উইকেট, হাসান মাহমুদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও নাজমুল ইসলাম অপু ১টি করে উইকেট নেন।
১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেমকন খুলনার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন জহরুল ইসলাম অমি ও জাকির হাসান! ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করতে সক্ষম হোন মাত্র ৮ রান! ব্যাক্তিগত ১ রানে রবিউল ইসলাম রবির প্রথম শিকার হয়ে জাকির হাসান সাজঘরে ফিরে গেলে জেমকন খুলনা তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়।
জাকিরের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান! পুরো টুর্নামেন্টের মতো আজও ব্যাট হাতে রান করতে ব্যার্থ সাকিব আল হাসান! ক্রিজে এসে নিজের নামের পাশে মাত্র ৮ রান যোগ করে রবিউল ইসলাম রবির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাকিব আল হাসান ফিরেন সাজঘরে! সাকিবের পর ক্রিজে আসেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ! ক্রিজে এসে অনেকক্ষণ ব্যাটিং করলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ব্যাক্তিগত ২৩ রানে মুক্তার আলীর প্রথম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা! রিয়াদের পর একই ওভারে মুক্তার আলীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যাক্তিগত ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মাশরাফি বিন মর্তুজা! মাশরাফির পর ক্রিজে আসেন আরিফুল হক! ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নেমে জহরুল ইসলাম অমি ব্যাট হাতে তুলে নেন অর্ধশত! ফিফটি হাকানোর পর ব্যাক্তিগত ৫৩ রানে নাসুম আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরে যান জহরুল ইসলাম অমি!
জহরুলের পর ক্রিজে আসেন শামীম হুসাইন! শামীম ক্রিজে আসার পরপরপরই ব্যাক্তিগত ৭ রানে রবিউল ইসলাম রবির তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আরিফুল হক! আরিফুলের ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন শুভাগত হোম! আরিফুল ফিরে যাওয়ার পর বেক্সিমকো ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হোন শামীম হুসাইন! তবে খেলতে পারেননি বড় ইনিংস! ব্যাক্তিগত ২৪ রানে রুবেল হুসাইনের প্রথম শিকার হয়ে শামীম হুসাইন ফিরে যান সাজঘরে!
শামীমের পর ক্রিজে আসেন শহিদুল ইসলাম! শহিদুল আসার পরপরই নিজের উইকেট হারান শুভাগত হোম! ব্যাক্তিগত ৫ রানে রুবেল হুসাইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান শুভাগত হোম! শুভাগতের পর ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ!
শেষ ওভারে জয়ের জন্য জেমকন খুলনার প্রয়োজন ছিল ২৫ রান! ওভারের প্রথম বলেই শহিদুল ইসলামকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন রবিউল ইসলাম রবি! পরের বলে বাউন্ডারি হাকান নাজমুল ইসলাম অপু! তৃতীয় বলে নাজমুল ইসলাম অপুকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রবিউল ইসলাম রবি! একই সাথে প্রথম বোলার হিসেবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন রবিউল ইসলাম রবি!
শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করতে সক্ষম হয় জেমকন খুলনা! জেমকন খুলনার পক্ষে ব্যাট হাতে জহরুল ইসলাম অমি ৫৩(৩৬) রান, শামীম হুসাইন ২৪(৯) রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৩(২৬) রান করেন! বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে বল হাতে রবিউল ইসলাম রবি ৫ উইকেট, রুবেল হুসাইন ও মুক্তার আলী ২টি করে উইকেট এবং নাসুম আহমেদ ১টি উইকেট নেন।
ফলাফলঃ- বেক্সিমকো ঢাকা ২০ রানে বিজয়ী।
বল হাতে ৩.৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন বেক্সিমকো ঢাকার অফ স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি।
জেমকন খুলনার একাদশঃ- জাকির, জহরুল, সাকিব, মাহমুদুল্লাহ(ক্যাপ্টেন), মাশরাফি, আরিফুল, শামীম, শুভাগত, শহিদুল, হাসান, অপু।
বেক্সিমকো ঢাকার একাদশঃ- নাইম, সাব্বির, আল-আমিন, মুশফিক(ক্যাপ্টেন), ইয়াসির, আকবর, মুক্তার, রবিউল, নাসুম, রুবেল, শফিকুল।