হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজকের দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হুসাইন শান্ত।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়কের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার! ওপেনিং জুটিতে এই দুই ওপেনার মিলে গড়েন ১২২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ! ব্যাক্তিগত ৬৩ রানে আনিসুল ইসলাম ইমনের প্রথম শিকার সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন! মিথুন ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ৫৫ রানে রেজাউর রহমান রাজার বলে সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস! লিটনের পর ক্রিজে আসেন শামসুর রহমান শুভ! শামসুর ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২ রানে আনিসুল ইসলাম ইমনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মোহাম্মদ মিথুন!
মিথুনের পর ক্রিজে আসেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ৩ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে সাজঘরে ফিরেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত! মুসাদ্দেকের পর ক্রিজে আসেন জিয়াউর রহমান! দ্রুত চার উইকেট চলে যাওয়ার পর শেষ দিকে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দলকে লড়াকু পুজি এনে দেন শামসুর রহমান শুভ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম! গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে সৌম্য সরকার ৬৩(৪৮) রান, লিটন দাস ৫৫(৪৩) রান ও শামসুর রহমান ৩০(১৮)* রান করেন। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে আনিসুল ইসলাম ইমন ২ উইকেট, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও রেজাউর রহমান রাজা ১টি করে উইকেট নেন।
১৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হুসাইন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন! ব্যাক্তিগত ৫ রানে নাহিদুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে আনিসুল ইসলাম ইমন ফিরে গেলে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
ইমনের পর ক্রিজে আসেন রনি তালুকদার! রনি তালুকদার ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ১১ রানে নাহিদুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হুসাইন শান্ত! শান্তের পরে ক্রিজে আসেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি! ফজলে মাহমুদ ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ১৬ রানে নাহিদুল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন রনি তালুকদার!
রনির পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান! চতুর্থ উইকেট জুটিতে ফজলে রাব্বি-নুরুল হাসান যোগ করেন ৩৬ রান! ব্যাক্তিগত ১৯ রানে রাকিবুল হাসানের বলে ফজলে মাহমুদ রাব্বি সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের! ফজলে মাহমুদের পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান! ক্রিজে এসে দ্রুতই ২৬ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে সাজঘরে ফিরেন মাহেদি হাসান!
মাহেদির পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ৯ রানে জিয়াউর রহমানের বলে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন! সাইফউদ্দিনের পর ক্রিজে আসেন সানজামুল ইসলাম! সানজামুল ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ২৮ রানে সাজঘরে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহান!
সোহানের পর ক্রিজে আসেন আরাফাত সানি! সানি ক্রিজে আসার পরপরই ব্যাক্তিগত ১২ রানে জিয়াউর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সানজামুল ইসলাম! সানজামুলের পর ক্রিজে আসেন রেজাউর রহমান রাজা! আরাফাত সানি এবং রেজাউর রহমান রাজা মিলে খেলে আসেন ইনিংসের বাকি বলগুলো।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী! মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর পক্ষে ব্যাট হাতে নুরুল হাসান সোহান ২৮(২৮) রান, মাহেদি হাসান ২৬(১৭) রান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি ১৯(২০) রান করেন! গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে নাহিদুল ইসলাম ৩ উইকেট, জিয়াউর রহমান ২ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি মূল্যবান উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের একাদশঃ- লিটন, সৌম্য, মিথুন(ক্যাপ্টেন), শামসুর, মুসাদ্দেক, জিয়াউর, জয়, নাহিদুল, মুস্তাফিজ, রাকিবুল, শরিফুল।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর একাদশঃ- শান্ত(ক্যাপ্টেন), ইমন, রনি, রাব্বি, সোহান, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, সানজামুল, সানি, রেজাউর, মুগ্ধ।