হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের দলপতি তামিম ইকবাল খান।
ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সাব্বির রহমান রুম্মান! ব্যাক্তিগত ৫ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের প্রথম শিকার হয়ে নাইম শেখ প্যাভিলিয়নে ফিরলে বেক্সিমকো ঢাকার প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
নাইমের পর ক্রিজে আসেন আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে তাসকিন আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরেন আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র! আল-আমিনের পর ক্রিজে আসেন বেক্সিমকো ঢাকার দলপতি মুশফিকুর রহিম! মুশফিকুর রহিম ক্রিজে আসার পর ব্যাক্তিগত ৮ রানে সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে সাব্বির রহমান সাজঘরে ফিরলে দ্রুতই বেক্সিমকো ঢাকার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
সাব্বিরের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলী রাব্বি! চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম-ইয়াসির আলী গড়েন ৫০ রানের পার্টনারশিপ! ব্যাক্তিগত ৪৩ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির প্রথম শিকার হয়ে মুশফিকুর রহিম প্যাভিলিয়নে ফিরলে বেক্সিমকো ঢাকা তাদের চতুর্থ উইকেটটি হারায়! মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন আকবর আলী! ক্রিজে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা আকবর আলী ব্যাক্তিগত ২১ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান।
আকবরের পর ক্রিজে আসেন মুক্তার আলী! উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ইয়াসির আলী রাব্বি তুলে নিয়েছেন ফিফটি! শেষ পর্যন্ত ব্যাক্তিগত ৫৪ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির আলী রাব্বি! ইয়াসিরের পর ক্রিজে আসেন রবিউল ইসলাম রবি! শেষ ওভারে রান আউটের ফাদে পড়ে ব্যাক্তিগত ৫ রানে সাজঘরে ফিরেন রবিউল ইসলাম রবি! রবিউলের পর ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ! ইনিংসের শেষ বলে ব্যাক্তিগত ১ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন নাসুম আহমেদ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে বেক্সিমকো ঢাকা! বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে ব্যাট হাতে ইয়াসির আলী রাব্বি ৫৪(৪৩) রান, মুশফিকুর রহিম ৪৩(৩০) রান ও আকবর আলী ২১(৯) রান করেন। ফরচুন বরিশালের পক্ষে বল হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি করে উইকেট, তাসকিন আহমেদ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১টি করে উইকেট নেন।
১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ফরচুন বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান! ওপেনিং জুটিতে তারা দুইজনে যোগ করেন ২১ রান! ব্যাক্তিগত ১২ রানে শফিকুল ইসলামের বলে সাইফ হাসান সাজঘরে ফিরলে ফরচুন বরিশালের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।
সাইফের পর ক্রিজে আসেন পারভেজ হুসাইন ইমন! ক্রিজে এসে অনেক্ষন ব্যাটিং করলেও ব্যাক্তিগত ২ রানে রবিউল ইসলাম রবির বলে সাজঘরে ফিরেন পারভেজ হুসাইন ইমন! ইমনের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হুসাইন ধ্রুব! তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ-তামিম স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩২ রান! ব্যাক্তিগত ২২ রানে মুক্তার আলীর বলে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের।
তামিমের পর ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ১২ রানে আল-আমিন হুসাইন জুনিয়রের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়! হৃদয়ের পর ক্রিজে আসেন সোহরাওয়ার্দী শুভ! ক্রিজে আসার পরের বলেই আল-আমিন হুসাইন জুনিয়রের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।
শুভর পরে ক্রিজে আসেন মাহিদুল ইসলাম অংকন! অপরপ্রান্ত আগলে রাখা আফিফ হুসাইন ধ্রুব ব্যাট হাতে তুলে নেন টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় ফিফটি! ব্যাক্তিগত ৫৫ রানে শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে আফিফ হুসাইন ধ্রুব সাজঘরে ফিরলে জয়ের চাকা বেক্সিমকো ঢাকার ঘুরে যায়।
আফিফের পরে ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ!ক্রিজে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করলেও ব্যাক্তিগত ১৫ রানে শফিকুল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মাহিদুল ইসলাম অংকন! অংকনের পর ক্রিজে আসেন সুমন খান! শেষ ওভারে ব্যাক্তিগত ৫ রানে মুক্তার আলীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সুমন খান! সুমনের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ! শেষ বলে মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয় তুলে নিতে সাহায্য করেন মুক্তার আলী!
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ফরচুন বরিশাল! ফরচুন বরিশালের পক্ষে ব্যাট হাতে আফিফ হুসাইন ধ্রুব ৫৫(৩৫) রান, তামিম ইকবাল ২২(২৮) রান ও মাহিদুল ইসলাম অংকন ১৫(৮) রান করেন। বেক্সিমকো ঢাকার পক্ষে বল হাতে মুক্তার আলী ও শফিকুল ইসলাম ৩টি করে উইকেট, আল-আমিন হুসাইন জুনিয়র ২ উইকেট ও রবিউল ইসলাম রবি ১টি উইকেট নেন।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টঃ- ফরচুন বরিশাল ১৬তম ওভারে তৌহিদ হৃদয় ও সোহরাওয়ার্দী শুভর উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে! পাওয়ার প্লেতে রান উঠাতে পারলে জয় পেতে সহজ হতো ফরচুন বরিশালের! সেট ব্যাটসম্যান আফিফ হুসাইন ধ্রুবের উইকেট নিয়ে বেক্সিমকো ঢাকা জয়ের চাকাটা তাদের দিকেই ঘুরিয়ে দেয়।
ব্যাট হাতে ৪৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৫.৫৮ স্ট্রাইক রেটে ৫৪ রান করায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
বেক্সিমকো ঢাকার একাদশঃ- নাইম, সাব্বির, আল-আমিন, মুশফিক(ক্যাপ্টেন), ইয়াসির, আকবর, মুক্তার, রবিউল, নাসুম, রুবেল ও শফিকুল।
ফরচুন বরিশালের একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), সাইফ, ইমন, আফিফ, হৃদয়, সোহরাওয়ার্দী, অংকন, মিরাজ, সুমন, তাসকিন ও রাব্বি।