বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে আজ টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন।
গাজী গ্রুপের অধিনায়কের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে জেমকন খুলনার পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে ক্রিজে আসেন জহরুল ইসলাম অমি ও জাকির হাসান! ইনিংসের প্রথম বলেই জহরুল ইসলাম অমিকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন নাহিদুল ইসলাম। জহরুলের পর ক্রিজে আসেন ইমরুল কায়েস!ব্যাক্তিগত ৮ রানে ইমরুল কায়েসকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম। ইমরুলের পর ক্রিজে আসেন আরিফুল হক! নাহিদুলের পর জেমকন খুলনা শিবিরে আঘাত আনেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত! ব্যাক্তিগত ২৫ রানে জাকির হাসান সাজঘরে ফিরেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকতের বলে। জাকিরের পর ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ-আরিফুলের গড়া ৪০ রানের জুটিতে আঘাত আনেন শরিফুল ইসলাম! ব্যাক্তিগত ২১ রানে আরিফুল হককে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। আরিফুলের পর ক্রিজে আসেন শুভাগত হোম! শুভাগত-রিয়াদ গড়ে তুলে ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। তাদের জুটিতে আঘাত আনেন আবারো শরিফুল ইসলাম। ব্যাক্তিগত ১৫ রানে শুভাগত হোমকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। শুভাগতের পর ক্রিজে আসেন শামীম হুসাইন। রিয়াদের সাথে ভূল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ব্যাক্তিগত শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন শামীম হুসাইন। শামীমের পরে ক্রিজে আসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাক্তিগত ৫ রানে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। মাশরাফির পর ক্রিজে আসেন শহিদুল ইসলাম। ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে ৪২ বলে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন জেমকন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষের দিকে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করে দলকে নিয়ে যান সম্মান জনক স্কোরে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। জেমকন খুলনার পক্ষে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭০(৪৮)* রান, জাকির হাসান ২৫(২০) রান ও আরিফুল হক ২০(২৩) রান করেন। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট, মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত ও মুস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
১৫৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ওপেনি জুটিতে সৌম্য-লিটন যোগ করেন মাত্র ২৬ রান। ব্যাক্তিগত ১২ রানে সৌম্য সরকারকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান শুভাগত হোম। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত মাত্র ৭ রানে আল-আমিন হুসাইনের প্রথম শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন। মিথুনের পর ক্রিজে আসেন সৈকত আলী। সৈকত আলীর সাথে ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিতে চাওয়া লিটন দাস ব্যাক্তিগত ২৩ রানে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন। লিটনের পর ক্রিজে আসেন শামসুর রহমান শুভ। ক্রিজে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং শুরু করলেও ব্যাক্তিগত ২৩ হাসান মাহমুদের বলে সাজঘরে ফিরেন শামসুর রহমান। শামসুরের পর ক্রিজে আসেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত। শেষ ওভারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে জিততে হলে ১৬ রান করতে হতো। প্রথম দুই বলে ৩ এয়ান দিলেও তৃতীয় বলে মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত ও চতুর্থ বলে সৈকত আলীকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন শহিদুল ইসলাম। পঞ্চম বলে ১ রান ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাকান নাহিদুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে ব্যাট হাতে সৈকত আলী ৫৩(৪৫) রান, শামসুর রহমান ২৩(২১) রান ও লিটন দাস ২৩(২৩) রান করেন। জেমকন খুলনার পক্ষে বল হাতে শহিদুল ইসলাম ২ উইকেট, শুভাগত হোম, আল-আমিন হুসাইন ও হাসান মাহমুদ ১টি করে উইকেট নেন।
অভিনন্দন জেমকন খুলনা।