আজ সকালে বিকেএসপিতে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ একাদশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ! তামিম একাদশের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ব্যক্তিগত ২ রানে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় তামিম ইকবাল একাদশ।
লিটনের ফিরে যাওয়ার পর তিন নাম্বারে ব্যাটিং করতে আসেন নাজমুল হুসাইন শান্ত!! তামিম-শান্ত মিলে উইকেটে অনেক্ষন ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আঘাত আনেন হাসান মাহমুদ! ব্যাক্তিগত ২৮ রানে ফিরিয়ে দেন তামিম ইকবালকে! তামিমের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন! মিথুন আসার পর ব্যাক্তিগত ২৭ রানে হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকার হোন নাজমুল হুসাইন শান্ত।
শান্তের পরে ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। সৌম্য-মিথুনের জুটিকে বেশি দূর আগাতে দেন নি মেহেদি হাসান মিরাজ! ব্যাক্তিগত ১৬ রানে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ মিথুনকে! মিথুনের পর ক্রিজে আসেন আফিফ হুসাইন ধ্রুব! আফিফ-সৌম্য মিলে শা জাগানো জুটি গড়ার স্বপ্ন দেখালেও তাদেরকে বেশীদূর যেতে দেন নি শরিফুল ইসলাম। ব্যাক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান সৌম্য সরকারকে। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ক্রিজে এসে ১ রান করেই আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহেদি হাসান।
মাহেদির পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন! সাইফ ক্রিজে আসার পর নিজের উইকেট হারান আফিফ হুসাইন ধ্রুব! ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন আফিফ! আফিফের পরে ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ! ক্রিজে এসে ব্যাক্তিগত ২ রানে হাসান মাহমুদের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন নাসুম! নাসুমের পরে ক্রিজে এসে রুবেল হুসাইন ব্যাক্তিগত শূন্য রানে হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে মুস্তাফিজুর রহমান রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন।
শেষ পর্যন্ত ৩৭.২ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় তামিম ইকবাল একাদশ! তামিম ইকবাল একাদশের পক্ষে আফিফ হুসাইন ৩৫(৩২) রান, তামিম ইকবাল ২৮(৪৩) রান ও নাজমুল হুসাইন ২৭(৩৫) রান করেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ৪ উইকেট, শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট, আল-আমিন ২ উইকেট ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১টি উইকেট নেন।
১৬২ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশের পক্ষে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন নাইম শেখ ও ইয়াসির আলী! ব্যাক্তিগত ৩ রানে ইয়াসির আলীকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দলকে প্রথম ব্রেক-থ্রো দেন মুস্তাফিজুর রহমান! ইয়াসিরের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান! দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউটের ফাদে পড়ে ব্যাক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান! সাকিবের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম! দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ব্যাক্তিগত ২৮ রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ।
মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ-নাইম জুটি দুর্দান্ত খেলতে থাকলেও তাদের পথের কাটা হয়ে দাড়ান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন! ব্যাক্তিগত ৪৩ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে দেন নাইম শেখকে! নাইমের পর ক্রিজে আসেন মুসাদ্দেক হুসাইন সৈকত! ব্যাক্তিগত ৩ রানে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মুসাদ্দেক। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সাথে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ! রিয়াদ একাদশের অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে।
শেষ পর্যন্ত ৩৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক ১৬২ রান সংগ্রহ করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশ! মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশের পক্ষে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫১(৬৪)* রান, নাইম শেখ ৪৩(৫২) রান ও মুশফিকুর রহিম ২৮(৪৮) রান করেন। তামিম ইকবাল একাদশের পক্ষে বল হাতে নাসুম আহমেদ ২ উইকেট, মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
তামিম একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), লিটন, শান্ত, মিথুন, সৌম্য, আফিফ, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, নাসুম, রুবেল, মুস্তাফিজ।
মাহমুদুল্লাহ একাদশঃ- নাইম, ইয়াসির, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ(ক্যাপ্টেন), মুসাদ্দেক, মিরাজ, তাইজুল, হাসান, আল-আমিন, শরিফুল।