রূপকথার গল্পের মতো রচিত হয়েছিলো মহাকাব্যিক এক ইনিংস। ৩৯ তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমেও কি এমন মহাকাব্য লেখা সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। নামটি যেখানে এ বি ডি ভিলিয়ার্স; সেখানে এমন মহাকাব্য অসম্ভবও নয়।
ক্রিকেট যদি গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হয়ে থাকে তাহলে এবিডির এই ইনিংসটি থাকবে গৌরবময় হয়েই। ৩৯ তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমেও যে ১৬ টি ছক্কা হাঁকানো যায় সেটির বাস্তব উদাহরণ হয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান।
১৬ বল; সময়ের হিসেবে মাত্র ১৯ মিনিট! আর এতেই পুরোনো রেকর্ড ছারখার। ১৯৯৬ সালে সনাৎ জয়াসুরিয়ার করা ১৭ বলে ফিফটির রেকর্ডটি ভেঙ্গেছিলেন ১ বল আগেই! আহ;
ঘড়ির কাঁটায় তখন মাত্র ৪০ মিনিট যুক্ত হয়েছে। আর এতেই এবিডি উঠে গেছে রেকর্ড বুকের পাতায়। ভেঙ্গেছিলেন এন্ডারসনের করা দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি। যেভাবে মাত্র ৩১ টি বল খরচ করেছিলেন মিস্টার ৩৬০°
১৯-৪০ মিনিট; ১৭-৩১ বল!
ততক্ষণে ইতিহাস রচিত হয়েছিলো নতুন করে। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিপক্ষের বোলারদের উপর এমন নির্মম তাণ্ডব এর আগে দেখেনি বিশ্ব। কেননা ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে মোটেই একবার।
ক্রিকেট মাঠে ব্যাটিং তাণ্ডবের উদাহরণ কম নেই। কিন্তু ২০১৫ সালের আজকের দিনটি হয়তো ভুলেই থাকতে চাইবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার, রাসেল, সামীরা! কেননা সেদিন ২২ গজে তাদের তুলোধুনো করেছিলেন বিশ্বের সেরা হার্ডহিটারের একজন ডি ভিলিয়ার্স!
সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম তিনজন সেঞ্চুরির দেখা পেলেও এবিডি ছিলেন সকলের মধ্যমণি হয়ে। যেখানে আর একটি রান করতে পারলেই ইতিহাসে যুক্ত হতো নতুন রেকর্ড। দিনশেষে সেই ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়া এবিডি হয়তো নিজেও আক্ষেপ করেছিলো।
কিন্তু এমন মহাকাব্যের রচিত হবার কথাই ছিলোনা। অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স সেদিন দলের সেরা ফিনিশার মিলারকেই আগে ব্যাটিংয়ে চেয়েছিলেন, কিন্তু কোচের কথায় এবিডিকেই নামতে হয়েছিলো ওয়ান ডাউনে। আর নেমেই করেছিলেন বাজিমাৎ; শুধুই বাজিমাৎ নয়, করেছিলেন বিশ্ব রেকর্ড, লিখেছিলেন নতুন মহাকাব্য। যেটি স্হায়ী ছিলো মাত্র ৫৯ মিনিট!