বর্তমানে তামিমের দুইটা জিনিস নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। একটা তামিমের ক্যাপ্টেন্সি, অন্যটা হচ্ছে তামিমের স্ট্রাইক রেট। তামিমের মন্থর ব্যাটিংয়ের জন্য অপরপ্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যানের রান তোলার একটা চাপ তৈরি হয়। রানের চাকা সচল রাখতে বাধ্য হয়েই তাকে অ্যাটাক করে খেলতে হয়। যার ফলশ্রুতিতে দ্রুতই আউট হয়ে যেতে হয় তাকে। কিন্তু তামিম এইসব নিয়ে একদমই ভাবছেন না। স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিসংখ্যানের দোয়ায় দেন।
তামিম একযুগেরও বেশি সময় ধরে লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে খেলছেন। শতক হাকাচ্ছেন, ব্যাটিং গড় বাড়ছে, বাড়ছেনা শুধুমাত্র স্ট্রাইক রেটই। আধুনিক ক্রিকেটে এই স্ট্রাইক রেট আসলেই তামিমের সাথে যায়না। আজকাল বেশিরভাগ সংবাদ সম্মেলনই স্ট্রাইক রেট ইস্যুতে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন খান সাহেব। ব্যতিক্রম ঘটেনি সফরকারী উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে নামার আগমুহূর্তের ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও। তবে স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে বারবার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিরক্ত টিম টাইগার্সের এই ওয়ানডে কাপ্তান। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি পরিসংখ্যানের পাতা উল্টিয়ে বিগত কয়েক বছরের রেকর্ডে চোখ বুলানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন- অনেক দিন ধরেই সংবাদ সম্মেলনের সাক্ষাৎকার গুলোতে আমাকে স্ট্রাইক রেট সম্পর্কে প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। এই ইস্যুতে অনেক কথা বলেছি, আর বলতে চাইনা। আপনারা আমার গত ৫/৬ বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন আমার অবস্থা। আর এই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে আমি এখন আর এনজয় করিনা। তামিম আরও বলেন, সত্যি কথা বলতে যত ক্রিটেসিজম আমি শুনেছি আমার মনে হয় না বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার এমনটা শুনেছে। তো ওইদিক থেকে আমি পুরোপুরি তৈরি। আমার কাছে নিজের দায়িত্বে ঠিক থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ ।
গত ৫/৬ বছর ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটালেও পরিবর্তন হয়নি তামিমের স্ট্রাইক রেটের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তামিমের ওয়ানডে স্ট্রাইক রেট ছিল ৮০’র আশপাশে। গত পাঁচ বছরেও স্ট্রাইক রেটে তেমন পরিবর্তন হয়নি। প্রায় ৮০ স্ট্রাইক রেটেই খেলেছেন তিনি। তামিম আগের চেয়ে এখন অনেক পরিণত। ফিটনেসের পাশাপাশি শট সিলেকশনেরও উন্নতি হয়েছে। আগের মতো বাজে শট খেলেও দ্রুত আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন না তিনি। সেইসাথে লম্বা ইনিংস খেলারও সামর্থ্য বেড়েছে। শুধু বাড়ছেনা ওই স্ট্রাইক রেটই। সত্যি বলতে আধুনিক ক্রিকেটে ৭৮.৬৮ স্ট্রাইক রেট আসলেই মানানসই না। আর এইটার জন্যই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত টিম টাইগার্সের এই ড্যাশিং ওপেনার। তবুও নিজের স্ট্রাইক রেট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না তিনি। তার কাছে নিজের দায়িত্বে ঠিক থাকাই নাকি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।