দিনের শুরুটা সুমন, মকিদুলরা নিজেদের করে নিয়ে ১৮২ রানেই আটকে দিয়েছিলো সফরকারী আয়ারল্যান্ড উলভস দলকে। দিনের বাকি সমময়টা মিরপুরের বাইশ গজে রাজত্ব চালিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী দুই সদস্য মাহমুদুল জয় এবং তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচে তৌহিদ-জয়ের অপরাজিত রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সেই সাথে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো সাইফ হাসানের দল।
এর আগে চট্টগ্রাম থেকে উড়াল দিয়ে মিরপুরে খেলতে নামে দুই দল। টস ভাগ্যে জয়ী বাংলাদেশের কাপ্তান সাইফ হাসান নেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত! অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে সময় নেননি বোলাররা। মাত্র ৫৪ রানেই ৪ উইকেটের পতন ঘটায় সফরকারীদের। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট শিকার করে মাত্র ১৮২ রানে অলআউট করে সিরিজ জয়ের পথ সুগম করেন সুমন-মকিদুলরা। আয়ারল্যান্ড উলভসের পক্ষে মার্ক আদাইর ৪০ এবং শেষ দিকে প্রেটোরিয়াসের ৩৫ এবং গ্রাহাম হিউমের অপরাজিত ২৯ রানে সম্মানজনক পুঁজি পায় সফরকারীর। বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে সুমন খান ৪ উইকেট এবং মকিদুল, রাকিবুল ও সাইফ হাসান ২ টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৮৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে আসে পরিবর্তন! আগের ম্যাচগুলোতে ওয়ান ডাউনে খেলা জয়কে দেখা যায় ওপেনিংয়ে। আগের ম্যাচগুলোর মতো আজও হতাশ করেন তামিম। এরপর তিনে নামা ইয়াসির আলী দ্রুত ফিরে গেলে মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে সাইফ হাসানের দল।
ওপেনিংয়ে নামা জয়কে সঙ্গ দিতে চার নাম্বারে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়। চাপের মুখে জয়কে সাথে নিয়ে বাইশ গজে ব্যাট হাতে মেলে ধরতে থাকেন তৌহিদ। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকলেও সময়ের সাথে সাথে খোলাসা হয় তাদের ব্যাট। দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দুইজনঔ তুলে নেন ফিফটি। এরপর দু’জনই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করলে ৪২ তম ওভারের তৃতীয় বলেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
৫১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো সাইফ হাসানের দল। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রান আসে তৌহিদের ব্যাটে, এবং জয় অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের পক্ষে দুইটি উইকেটই শিকার করেন পিটার চেজ!
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
আয়ারল্যান্ড উলভস – ১৮২/১০(৪৬.২)
মার্ক আদাইর ৪০, প্রেটোরিয়াস ৩৫, হিউম ২৯*
সুমন ৩১/৪, সাইফ ২৫/২, মকিদুল ২৯/৩, রাকিবুল ৩৬/২
বাংলাদেশ ইমার্জিং – ১৮৬/২(৪১.৩)
তৌহিদ ৮৮, জয় ৮০
পিটার চেজ ২৯/২
ফলাফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
