১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টম লাথামের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড পরিমান রান তাড়া করে জিতলো নিউজিল্যান্ড।

প্রতিবেদক
Musaddik Mitu
মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ , ২০২১ ২:৫১

স্কাইটার্চের দ্যা হেগলি ওভালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড দলপতি টম লাথাম।

প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের উদ্ভোদন করতে আসেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে থেকে বাংলাদেশ যোগ করে ৪ রান। ব্যাক্তিগত শূন্য রানে ম্যাট হেনরির বলে লিটন দাস সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে।

লিটনের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-সৌম্য যোগ করেন ৮১ রান। ব্যাক্তিগত ৩২ রানে মিচেল স্যান্টনারের প্রথম শিকার হয়ে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের। সৌম্যর পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম-মুশফিক যোগ করেন ৪৮ রান। ব্যাক্তিগত ৭৮ রানে রান আউটের শিকার হয়ে তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

তামিমের পর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। ক্রিজে এসে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ মিথুন। মিথুন-মুশফিক জুটি থেকেও বাংলাদেশ পায় পঞ্চাশোর্ধ রান। তারা যোগ করেন ৫২ রান। ব্যাক্তিগত ৩৪ রানে মিচেল স্যান্টনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মুশফিকুর রহিম প্যাভিলিয়নে ফিরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের। মুশফিকের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে মিথুন-রিয়াদ জুটি থেকে আসে ৬৩ রান। ব্যাক্তিগত ১৬ রানে কাইল জেমিসনের বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ইতি ঘটে তাদের পার্টনারশিপের।

রিয়াদের পরে ক্রিজে আসেন মাহেদি হাসান। ক্রিজে এসে ছক্কা হাকানোর পরপরই ব্যাক্তিগত ৭ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাজঘরে ফিরে যান মাহেদি হাসান। এরপর মোহাম্মদ মিথুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মিলে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে আসেন।মোহাম্মদ মিথুন খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৭৩* রান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৭(৪)* রান করেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল ৭৮(১০৮) রান, মোহাম্মদ মিথুন ৭৩(৫৭) রান ও মুশফিকুর রহিম ৩৪(৫৯) রান করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে মিচেল স্যান্টনার ২ উইকেট, কাইল জেমিসন, ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট ১টি করে উইকেট নেন।

২৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংসের সূচনা করতে আসেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। ওপেনিং জুটিতে তারা যোগ করেন ২৮ রান। ব্যাক্তিগত ২০ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মার্টিন গাপটিল সাজঘরে ফিরে গেলে নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম উইকেটটি হারায়।

গাপটিলের পর ক্রিজে আসেন ডেবন কনওয়ে। কনওয়ে- নিকোলস জুটি থেকে আসে ১৫ রান।ব্যাক্তিগত ১৩ রানে মাহেদি হাসানের প্রথম শিকার হয়ে হেনরি নিকোলস সাজঘরে ফিরলে নিউজিল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় উইকেটটি হারায়। নিকোলসের পর ক্রিজে আসেন উইল ইয়াং। ক্রিজে আসার পর নামের পাশে ১ রান যোগ করেই মাহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন উইল ইয়াং।

ইয়াংয়ের পর ক্রিজে আসেন টম লাথাম। কনওয়ে-লাথাম জুটি চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে যোগ করেন ১১৩ রান। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ফিফটি হাকানোর পর ব্যাক্তিগত ৭২ রানে রান আউটের ফাদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন ডেবন কনওয়ে। কনওয়ের পর ক্রিজে আসেন জেমস নিশাম। নিশাম ক্রিজে আসার পর সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন মুশফিকুর রহিম, এরপর টম লাথামের ক্যাচ ছাড়েন মাহেদি হাসান। এরপর জয় থেকে ৩০ রান দূরে থাকতে ব্যাক্তিগত ৩৯ রানে মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন জেমস নিশাম।

নিশামের পর ক্রিজে আসেন ডেরি মিচেল।ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫ম শতক হাকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন টম লাথাম।

শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ব্যাট হাতে টম লাথাম ১১০(১০৮)* রান, ডেবন কনওয়ে ৭২(৯৩) রান ও মার্টিন গাপটিল ২০(২৪) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদি হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ- টম লাথাম।

বাংলাদেশ একাদশঃ- তামিম(ক্যাপ্টেন), লিটন, সৌম্য, মুশফিক, মিথুন, মাহমুদুল্লাহ, মাহেদি, সাইফউদ্দিন, মিরাজ, তাসকিন ও মুস্তাফিজ।

নিউজিল্যান্ড একাদশঃ- গাপটিল, নিকোলস, কনওয়ে, ইয়ং, লাথাম (ক্যাপ্টেন), নিশাম, মিচেল, স্যান্টনার, জেমিসন, হেনরি ও বোল্ট।

, , ,

মতামত জানান :