প্রথমদিনে জমজমাট খেলার পর দ্বিতীয় দিনেও খেলা জমেছে দারুণ। এদিনে সেঞ্চুরি হয়েছে দুইটি। আগেরদিন ভিত গড়ে যাওয়া শাহাদাত এদিনের শুরতেই শতক স্পর্শ করেছেন। ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইউবও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ওদিকে নাসির ৯৩* রানে থেকে সেঞ্চুরির ভিত গড়ে নিয়েছেন, আগামীকাল শতক পাবার জন্য ব্যাটিংয়ে নামবেন তিনি। অন্যদিকে ফরহাদ রেজা ঝলকের পরও বড়সড় লিডে আছে চট্টগ্রাম, দুই ইনিংসে রেজার ঝুলিতে ৭ উইকেট।
প্রথম ম্যাচ:
খুলনা 🆚 সিলেট, খুলনা স্টেডিয়াম।
টস: সিলেট, ফিল্ডিং।
৩০৮-৭ এ দ্বিতীয় দিন শুরু করে খুলনা। আগেরদিনে শেষবিকেলে প্রতিরোধ গড়া নাহিদুল ৪৮ করে আউট হলে এরপরই ২৩ রানে আউট হন আব্দুল হালিম। ফলে ৩৭৫ রানে শেষ হয় খুলনার প্রথম ইনিংস। আবু জায়েদ ও এবাদত উভয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরতেই উইকেট হারায় সিলেট। আরেক অপেনার ইমতিয়াজ করেন ৩৭। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট দল। ফলশ্রুতিতে ১৩০ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘটায় তারা। ৩০ রানে অপরাজিত আছেন এনামুল জুনিয়র। মাসুম খান টুটুল ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ২৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছেন সিলেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
খুলনা: ৩৭৫-১০।
তুষার-৯৯, ইমরুল-৯০, নাহিদুল-৪৮, রবিউল-৩৭; আবু জায়েদ- ৯৪/৩, এবাদত- ৭৯/৩।
সিলেট: ১৩০-৮।
ইমতিয়াজ-৩৭, এনামুল জুনিয়র-৩০*; মাসুম- ৩২/৪।
দ্বিতীয় ম্যাচঃ
ঢাকা 🆚 রংপুর, বিকেএসপি-৩।
টস: ঢাকা, ব্যাটিং।
২৯৭-৮এ দ্বিতীয় দিন শুরু করে ঢাকা। নবম উইকেটে আরাফাত সানি জুনিয়র ও সুমন ইসলাম ৬৩ রানে জুটি গড়েন। সুমন আউট হবার কিছুক্ষণ পরই তাদের সবকটি উইকেটের পতন ঘটে। ইনিংস থামে ৩৬৫-১০ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় রংপুর। ২৬ ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৪১-৫ এ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাসির মাহমুদুলকে সাথে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। মাহমুদুল আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন নাসির। আকবরের সাথে ৩১ রানের জুটি শেষ হয় দ্রুতই। এরপর আলাউদ্দিনকে সাথে নিয়ে ১৭১ রানে পিছিয়ে থেকে দিনের খেলা শেষ করেন নাসির। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে হাজার রান করার প্রতিশ্রুতি দেয়া নাসির অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
ঢাকা: ৩৬৫-১০।
সাইফ-১২৭, নাদিফ-৬৯, অংকন-৪৭, জুনিয়র সানি-৪২*; আলাউদ্দিন- ৪৬/৪, মাহমুদুল- ৭৮/২।
রংপুর: ১৯৪-৭।
নাসির-৯৩*, মাহমুদুল-২৭;
অপু- ৬৯/৩, সুমন- ২৩/২।
তৃতীয় ম্যাচঃ
বরিশাল 🆚 ঢাকা মেট্রো, বরিশাল স্টেডিয়াম।
টস: বরিশাল, ব্যাটিং।
আগেরদিন বরিশালকে ২৪১ রানে অল আউট করে নিজেরা দিন শেষ করেছিলো ২৯ রানে। দ্বিতীয় দিনে শামসুর ২৩ রানে আউট হলে জাহিদ-মার্শাল ম্যাচের হাল ধরেন। দুজনে তুলে নেন অর্ধশত, গড়েন ৯৩ রানের জুটি। জাহিদুজ্জামান ৬০ রানে আউট হন। এরপর জাবিদকে সাথে নিয়ে ৮৩ রানের জুটি গড়েন মার্শাল। একপ্রান্ত আগলে রেখে মার্শাল আইউব টুর্নামেন্টে তার প্রথম শতক তুলে নেন। মার্শাল ১১২ রানে আউট হন। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৬০ রানে অবিচ্ছিন্ন থেক্র দিন শেষ করেন শহিদুল-হায়দার। দিনশেষে ঢাকা মেট্রোর স্কোর ৩২৪-৭। ৮৩ রানে এগিয়ে আছে মেট্রো।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বরিশাল: ২৪১-১০।
আশরাফুল-৪৮, আবু সায়েম-৪৬, সোহাগ গাজী-৪৫, সৈকত-৩৬; আবু হায়দার- ৩৪/৩, রকিবুল- ৭৬/৩, আরাফাত সানি- ৫৯/২।
ঢাকা মেট্রো: ৩২৪-৭।
মার্শাল আইউব-১১২, জাহিদুজ্জামান-৬০, শহিদুল-৪২*, জাবিদ-৪১;
কামরুল রাব্বী- ৪৪/২, মনির- ৬৩/২।
চতুর্থ ম্যাচঃ
চট্টগ্রাম 🆚 রাজশাহী, রাজশাহী স্টেডিয়াম।
টস: চট্টগ্রাম, ব্যাটিং।
আগেরদিন ২৫৬-৭ এ খেলা শেষ করা চট্টগ্রাম পরের দিনে অল আউট হয় দ্রুতই। এর আগে দিনের শুরুতেই শাহাদাত দীপু তুলে নেন টুর্নামেন্টে তার প্রথম শতরান। ২৮৭ রানে অল আউট হওয়া চট্টগ্রাম বোলিংয়ে নেমে ঝলক দেখায়! শুরু থেকে নোমান-মেহেদি মিলে চাপে রাখে বরিশালকে, যার ফলে মাত্র ১৫২ রানে সবকটি উইকেট হারায় তারা। প্রথম ইনিংসে ১৩৫ রানের লিড পায় চট্টলার ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে দ্রুতই দুই অপেনারকে হারায় চট্টগ্রাম, দুজনেই ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন। এরপর মুমিনুল-জয় মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও মিমি আউট হন দ্রুতই। এরপর আরো দুইটি উইকেট হারালে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘটে। দিনশেষে তাদের স্কোর ৪৩-৫, ১৭৮ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
প্রথম ইনিংসঃ-
চট্টগ্রাম: ২৮৭-১০।
শাহাদাত-১০৮, মেহেদি-৫৫, ইয়াসির-৬৩; ফরহাদ- ৪৪/৪, আসাদুজ্জামান- ৬১/২, তাইজুুল- ৬৩/২
রাজশাহী: ১৫২-১০।
ফরহাদ- ২৭, সাব্বির-২৪, ফরহাদ-২৪, প্রিতম-২১; নোমান- ৪৭/৪, মেহেদি- ২২/৩, মুরাদ- ৩৫/২। দ্বিতীয় ইনিংসঃ চট্টগ্রাম: ৪৩-৫। মাহমুদুল জয়- ২৬, মুমিনুল- ১৩;
ফরহাদ- ১৮/৩।
চারদিনের ম্যাচের তৃতীয় দিনে আগামীকাল সবগুলো দলই চাইবে জয়ের ভিত গড়ে নিতে। খেলা শুরু হবে সকাল ৯.৩০ মিনিটে।