এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে ব্যাটে বলের লড়াই জমেছে বেশ। দিনের শুরুটা মুগ্ধ করলেও পিছিয়ে ছিলেন না তুষার ইমরান। সেই সাথে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া জাকির হাসানের দিনে সোহাগ গাজীর ছয় উইকেট। শেষ বিকেলে পিনাকের সেঞ্চুরিতে বড় রানের স্বপ্ন দেখছে চট্টগ্রাম।
এনসিএলের প্রথম দিনটি যে বোলারদের দখলেই ছিলো।সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চার ম্যাচে মোট উইকেটের পতন ৪৪ টি; বিপরীতে তিন সেঞ্চুরি।
*
ম্যাচ নাম্বার -১
খুলনা বনাম রংপুর
দিনের শুরুতেই পেসার মুগ্ধতে দিশেহারা খুলনার টপ অর্ডার। শূন্য রাতে ইমরুল – রবির বিদায়। চারে নামা তুষার গড়েছেন প্রতিরোধ; খেলেছেন ১১৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো খুলনাকে ২২১ রানের পুঁজি এনে দিতে ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক সোহান এবং অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম। ইনিংসে মুগ্ধর ঝুলিতে উঠেছে ৬ উইকেট, বাকি চার উইকেট ভাগাভাগি করেছেন আরিফুল – নবিন।
খুলনার করা ২২১ রানকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর বড় রানের লীডের স্বপ্ন দেখছে নাসির – তানভীরের ব্যাটে। দিনশেষে নাসিরের ১৯ এবং তানভীরের ২৯ রানের উপর ভর করে রংপুরের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
খুলনা – ২২১/১০
তুষার ইমরান ১১৬, সোহান ৩১, নাহিদুল ২৯
মকিদুল মুগ্ধ ৬৪/৬, আরিফুল ৫৪/২, নবিন ৩১/২
রংপুর – ১০৩/৩
জাহিদ ৩২, তানভীর ২৯*, নাসির ১৯*
টুটুল ২৪/১, হালিম ৩৪/১, জিয়াউর ৩৮/১

**
ম্যাচ নাম্বার – ২
সিলেট বনাম ঢাকা
কক্সবাজারে প্রথম দিনটি ছিলো জাকিরের দখলে। চারে নেমে খেলেছেন ১৫৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। যদিও দিনের শুরুতেই সাকিল – সুমনে ঢাকার শুরুটা হয়েছিলো বেশ! চতুর্থ উইকেটে জাকের আলীকে সাথে নিয়ে জাকির তুলে নিয়েছেন টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি। দিনশেষে জাকিরের ১৫৯ এবং জাকেরের ৬৭ রানের উপর ভর করে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ২৮২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
সিলেট – ২৮২/৬
জাকির ১৫৯, জাকের ৬৭, গালিব ২৪*
শুভাগত ৫৬/৩, সুমন ৪৮/২, সাকিল ৪৮/১

***
ম্যাচ নাম্বার – ৩
বরিশাল বনাম রাজশাহী
বিকেএসপির চার নাম্বার মাঠে চলেছে বোলারদের তান্ডবলীলা! দুই দলের মোট ২১ উইকেটের পতনের দিনে সোহাগ গাজীর ৬ উইকেট। এর আগে রাজশাহীর পক্ষে সাঞ্জামুল এবং তাইজুলের শিকারে ছিলো ৪ টি করে উইকেট! বরিশালের বিরুদ্ধে মোহর শেখ তাণ্ডব শুরু করলেও সাঞ্জামুল-তাইজুলে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় রাব্বির দল।
বরিশালের করা ৮২ রানকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীও যেতে পারেনি বেশীদূর। সোহাগ গাজীর স্পিন ঘূর্ণিতে অলআউট হয়েছে ১৫১ রানেই। বোলার তাইজুলের ব্যাটে আসে ৩৭ রান, এছাড়াও ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। ওপেনার তামিমের ব্যাটে আসে ৩৬ রান।
শেষ বিকেলে বরিশাল শিবিরে তাইজুল পেরেক বসালেও দিন পার করেছে ২৩ রানে ১ উইকেট হারিয়ে। প্রথম দিন শেষে রাজশাহী এগিয়ে ৪৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বরিশাল (১ম ইনিংস) – ৮২/১০
খান ১৮, সালমান ১৩, মঈনুল ১২
সাঞ্জানুল ১৮/৪, তাইজুল ৩৯/৪, মোহর শেখ ৭/২
রাজশাহী (১ম ইনিংস) – ১৫১/১০
জুনায়েদ ৪৩, তাইজুল ৩৭, তামিম ৩৬
গাজী ৬৫/৬, মনির ৪/১
বরিশাল (২য় ইনিংস) – ২৩/১
মঈনুল ১১*, রাব্বি ৮*
তাইজুল ৯/১
****
ম্যাচ নাম্বার – ৪
চট্টগ্রাম বনাম ঢাকা মেট্রো
অধিনায়ক মুমিনুলের নেতৃত্বে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের দিনটি কেটেছে বেশ! ওপেনার পিনাকের সেঞ্চুরির সাথে শাহাদাত দীপুর ব্যাটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে চট্টগ্রাম। জয়ের ক্যামিওর সাথে ইয়াসিরের ৪৯। অধিনায়ক মুমিনুল ব্যর্থ হলেও পিনাক তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি, ছয়ে নামা দীপুর অপরাজিত ৩২ রানে দিনশেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪ উইকেটে।২৮১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
চট্টগ্রাম – ২৮১/৪
পিনাক ১৩৭*, ইয়াসির ৪৯, শাহাদাত ৩২*
সানী ৬৬/২, রনি ৩০/১
